a আজ ঋতুরাজ বসন্ত!
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আজ ঋতুরাজ বসন্ত!


খোরশদ আলম, সম্পাদক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১৪ ফেরুয়ারী, ২০২৪, ০৯:৩৪
আজ ঋতুরাজ বসন্ত!

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

আজ ঋতুরাজ বসন্ত!

 

পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়ার ডালে

ফাগুনের আগুন ফুল ও ফলে

বসন্তের হাওয়া আজ লাগে মনে

মন আনচান করে উতালা প্রাণে।

 

ভ্রমরের গুঞ্জনে মুখরিত বনে

বসন্তের বাতাসে ফুলের ঘ্রাণে,

ফুল ফুটুক আর নাই বা ফুটুক

সেজেছে প্রকৃতি বসন্তের আহ্বানে।

 

প্রকৃতির রং আজ লেগেছে মনে

উতালা মন আজ বাঁধনহারা,

বারো মাসে যদিও ৬টি ঋতু

ঋতুরাজ বসন্ত যেন পাগলা ঘোড়া!

 

পহেলা ফাগুনে প্রকৃতির রঙ লেগেছে

নানান ফুলে আজ বাহারি রূপ!

ফুল ফুটুক আজ নাই বা ফুটুক

আজ ঋতুরাজ বসন্ত।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বৌলাইবাড়ির সন্তান সাঈদ আহমদ আনীস


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ০১:০৭
বৌলাইবাড়ির সন্তান সাঈদ আহমদ আনীস

সাঈদ আহমদ আনীস

ভারাক্রান্ত হৃদয় বেদনায় আচ্ছন্ন। করোনাকালের এ কঠিন অন্ধকার তাঁকে এবং তাঁর সহধর্মিণীকে পরপারে চলে যেতে হলো। আমি বিশ্বাস করি মানুষকে বা প্রাণকূলের জীবনকে মহান সৃষ্টিকর্তা নিজেই দান করেন এবং যেকোনো উছিলায় তিনিই জীবনকে নিয়ে নেন। তিনি সৃষ্টি করেন, আবার তিনিই লুপে নেন তাঁর ইচ্ছেমতো। 

এই মহাজাগতিক ভ্রম্মান্ড তাঁর নিয়ন্ত্রণাধনী আমাদের কোন হাত নেই সেখানে। তবে যাই হোক মনুষ্য জগতের এ বিশ্বে মানুষের কৃতকর্ম ইহকাল এবং পরকালের জন্য মঙ্গলকর হয়ে প্রতিভাত হয়। মানুষের সুন্দর কর্মের মাধ্যমে ইহজগতের নানা পরিসরে মানব মনে জায়গা করে নেয়া মানুষ প্রজন্মান্তরে নিদর্শন হয়ে বেঁচে থাকে। সমাজে অনেক গুণী মানুষ তাঁদের কৃতকর্মেরগুণে আমাদের মনে অমর হয়ে বেঁচে রয়েছেন। 

সাঈদ আহমদ আনীস তেমনই একজন সুজন মানুষ। সাঈদ আহমদ আনীস স্কুল জীবন থেকেই প্রগতিশীল সংগঠন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি উনসত্তরের ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের 'জীবন থেকে নেয়া' ছবিতে অভিনয়ে সুযোগ পান। গানের জগতে তাঁর ঐকান্তিক বিচরণ ছিল। তিনি ভারত থেকে আগত প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী সুচিত্রা মিত্র, দেবব্রত বিশ্বাস প্রমুখের সঙ্গে তিনি একুই মঞ্চে গানে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পূর্বাহ্নে পিতা মনিরউদ্দীন ইউসুফ যখন বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত্ করেন তখন সাঈদ আহমদ আনীস সঙ্গে ছিলেন কথোপকথনের এক পর্যায়ে তাঁর 'সকল ছাত্র মিলে আমরা কি শান্তি কমিটি তৈরি করবো' জিজ্ঞাসার জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, 'শান্তি কমিটি না, সংগ্রাম কমিটি তৈরি করো।' ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন সাঈদ আহমদ আনীস সেই সকাল থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেন এবং বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী গাড়ির পেছনে মিছিলে অংশ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভায় যোগদান করেন। তিনি তা দেশাত্মবোধ থেকে দেশপ্রেমে অবদান রেখেছেন।

সাঈদ আহমদ আনীস, বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সবসময়ই লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯৩ থেকে সমকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন পোর্টালে তাঁর লেখা গদ্য প্রকাশিত হয়েছে।
 
একজন সাহিত্যসেবী হিসাবে তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। পিতা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কালান্তক প্রকাশনীকে দীর্ঘদিন সফলভাবে পরিচালনা করেছেন।

সাঈদ আহমদ আনীস বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের আজীবন সদস্য, কিশোরগঞ্জ সমিতি ও কিশোরগঞ্জ লাইব্রেরির সদস্য, বাংলা- উর্দু সাহিত্য ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, হাসনরাজা ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক,  সাহিত্য সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, আন্তর্জাতিক নজরুল চর্চাকেন্দ্রের সদস্য, মনিরউদ্দীন ইউসুফ গবেষণা কেন্দ্রকরে সদস্য ও মনিরউদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পরিষদের নির্বাহী সদস্য হিসেবে সামাজিক এবং সাহিত্যকর্মে নিবেদিত ছিলেন।

তিনি ১৯৫৩ সালের ৭ অক্টোবর ময়মনসিংহ শহরের কৃষ্টপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রখ্যাত অনুবাদক ও সাহিত্যিক মনিরউদ্দীন ইউসুফ- মাতা সাজেদা খাতুন। তিনি জগন্নাথ কলেজ থেকে ১৯৭৮ সালে বি এ পাশ করেন।

ব্যক্তিজীবনে সাঈদ আহমদ আনীস সহজ-সরল স্পষ্টভাষী মানুষ। তিনি বন্ধু এবং আত্মীয়বতসল এবং ধর্মপরায়ণ আধুনিক মানুষ। ধর্মান্ধতায় তিনি কষ্ট পেতেন। সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র তাঁর অন্যতম জায়গা হিসেবে দেখতে পাই। ১৯৭৪ সালে আয়কর বিভাগে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯১৪ সালে সহকারী কমিশনার হিসাবে অবসর নেন।
 
তাঁর সাথে আমাদের যে সখ্যতা ও আত্মীয়তা ছিল তা আমাদের মনে চিরদিন অটুট হয়ে থাকবে। আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং পরপারে তিনি এবং তাঁর সহধর্মিণী যেনো শান্তিতে থাকেন আল্লাহ'র কাছে সে প্রার্থনা জানাই। আমিন

----চৌধুরী নূরুল হুদা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পেরুকে হারিয়ে ব্রাজিল ফাইনালে (ভিডিও)


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই, ২০২১, ১০:১৬
পেরুকে হারিয়ে ব্রাজিল ফাইনালে, ভিডিও

সংগৃহীত ছবি

কোপার প্রথম সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল খেলল দাপটের সাথে। আগের ম্যাচে জয়ের দুই কুশীলবই গড়ে দিলেন ব্রাজিলের ভাগ্য। নেইমারের বাড়ানো বলে লুকাস পাকেতার গোলে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সেলেসাওরা। তাতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো উঠে গেছে প্রতিযোগিতার ফাইনালেও।

আজকের ম্যাচে দুরন্ত ছিলেন নেইমার, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হতে পারে ম্যাচের প্রধমার্ধে ব্রাজিল ১-০ গোলে যায় ব্রাজিল, তবে গোলটার রূপকার যে নেইমার ছিলেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 

৩৫ মিনিটে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন লুকাস পাকুয়েতা। পেরুর রক্ষণের দরজা অনায়াসেই খুলে দেন নেইমার। রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে সেমি-ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। 

এই এক গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় আর ব্রাজিলকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে নিয়ে যায়। যদিও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পেরু ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেলেসাওদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি পেরু।

শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল ১-০ গোলেই সন্তোষ্ট থাকতে হয় পেরুর বিরুদ্ধে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - শিল্প ও সাহিত্য