a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
আজ ঋতুরাজ বসন্ত!
পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়ার ডালে
ফাগুনের আগুন ফুল ও ফলে
বসন্তের হাওয়া আজ লাগে মনে
মন আনচান করে উতালা প্রাণে।
ভ্রমরের গুঞ্জনে মুখরিত বনে
বসন্তের বাতাসে ফুলের ঘ্রাণে,
ফুল ফুটুক আর নাই বা ফুটুক
সেজেছে প্রকৃতি বসন্তের আহ্বানে।
প্রকৃতির রং আজ লেগেছে মনে
উতালা মন আজ বাঁধনহারা,
বারো মাসে যদিও ৬টি ঋতু
ঋতুরাজ বসন্ত যেন পাগলা ঘোড়া!
পহেলা ফাগুনে প্রকৃতির রঙ লেগেছে
নানান ফুলে আজ বাহারি রূপ!
ফুল ফুটুক আজ নাই বা ফুটুক
আজ ঋতুরাজ বসন্ত।
ফাইল ছবি
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আজ দেশ নানাভাবে বিপর্যস্ত। তাই নানান প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও 'বৃহত্তর ময়মনসিংহ লেখক সাংবাদিক ফাউন্ডেশন এর মুখপত্র 'ফুলেশ্বরী' ফেব্রুয়ারি সংখ্যা সংকলনটি প্রকাশিত হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে স্বনামধন্য লেখকদের লেখনী দিয়ে সংকলনটি সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
দ্রুততার সহিত সংকলনটি প্রকাশ করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি-বিচ্যুতিকে মার্জনার চোখে দেখতে সম্মানিত পাঠক এবং লেখকদের অনুরোধ করেছেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে অনেক স্বনামধন্য গুণী লেখক ও গবেষক রয়েছেন, তাদের নিকট থেকে স্বল্প পরিসরে ও সীমাবদ্ধতার মাঝে লেখা সংগ্রহ করতে না পারায় ফাউন্ডেশনের কর্তা ব্যক্তিরা দু:খ প্রকাশ করেছেন। পরবর্তী সংখ্যায় তারা সেসব গুণী, স্বনামধন্য লেখক-গবেষকদের লেখা সংগ্রহ করে সংকলনটিকে সূচিবদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ লেখক সাংবাদিক ফাউন্ডেশন-এর সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নূরুল হুদা নিম্নোক্ত ই-মেইলে লেখক-গবেষকদের প্রবন্ধ, গবেষণা এবং পদাবলী পাঠাতে অনুরোধ করেছেন।
চৌধুরী নূরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক
বৃহত্তর ময়মনসিংহ লেখক সাংবাদিক ফাউন্ডেশন
Email : nurulhudajgc@gmail.com
ফাইল ছবি
ক্যাসিনো-কাণ্ডে অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত নেতাদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলেছে, একজন সংসদ সদস্যের সাংগঠনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দেখে নেওয়ার হুমকি একসূত্রে গাঁথা।
টিআইবি বলেছে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের হাতে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার জিম্মি করার এই হীন প্রচেষ্টায় তারা হতাশ। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেন টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ক্যাসিনো-কাণ্ডে অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত নেতা বিদেশে দীর্ঘদিন পলাতক থেকে চমকপ্রদ উপায়ে দেশে ফিরে দায়িত্বশীলদের উপস্থিতিতে হকি ফেডারেশনে পুনর্বহাল হয়েছেন। একই সঙ্গে আরও একাধিক অভিযুক্ত নেতা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুনরায় সক্রিয় হওয়ার সুযোগ করে নিচ্ছেন। এটি সরকার প্রধানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার ঘোষণাকে পদদলিত করার প্রকট দৃষ্টান্ত।
যুবলীগের সাবেক নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ওরফে ‘ক্যাসিনো সাঈদ’ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর আলোচনায় আসেন। তখন ক্যাসিনো-কাণ্ডে যুবলীগের মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী (সম্রাট), সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ অনেকে গ্রেপ্তার হলেও সাঈদ ধরা পড়েননি।
কারণ, অভিযান শুরুর কয়েক দিন আগেই তিনি দেশের বাইরে চলে যান। এরপর ওই বছরের ১৭ অক্টোবর তাঁকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ করে সরকার। তিনি গত জানুয়ারির শেষ দিকে দেশে আসেন। দেশে ফিরে ক্যাসিনো সাঈদ প্রথম প্রকাশ্যে আসেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ফ্যালকন হলে হকি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়মিত সভায় আকস্মিকভাবে হাজির হন তিনি।
আজ ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, ক্ষমতাসীন জোটের একজন সংসদ সদস্য দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করার কারণে দুদককে যে ভাষায় হুমকি দিয়েছেন, তা শুধু আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনই নয়। তার কর্তৃত্বাধীন সাংগঠনিক সক্ষমতাকে পেশিশক্তি হিসেবে ব্যবহারের নগ্ন উদাহরণ। অথচ আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নির্দোষ প্রমাণ করার প্রয়াসের পথে হাঁটতে পারতেন।
গত সোমবার দুদকের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এই সংসদ সদস্য সেদিন বলেন, ‘দুদক নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে চেনেনি। যা তা কমেন্ট করছেন সহকারী পরিচালক। চামড়া সব ছিঁড়ে ফেলব। মাইজভান্ডারীর গায়ে হাত!’
সংসদ সদস্য নজিবুল বশরের এই বক্তব্যের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। নজিবুল বশরের এই বক্তব্য দেওয়া সমীচীন নয় বলে মনে করেন হাইকোর্ট।
গতকাল বৃহস্পতিবার নজিবুল বশরের বক্তব্য নজরে আনার পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘আমরা সবাই কেমন যেন অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছি। সিভিল সোসাইটির একজন মানুষ, ভালোভাবে বলতে পারতেন। তাঁর মন্তব্য আরও সুন্দর হওয়া উচিত ছিল।’
টিআইবির প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এই পরিস্থিতি দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধক আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের হাতে জিম্মি করার হীন প্রয়াস। সরকার ও ক্ষমতাসীন দল দেশবাসীকে কী বার্তা দিতে চাইছে? ‘যেকোনো অপরাধই করা হোক না কেন, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তা থেকে পার পাওয়া যাবে! রাজনৈতিক অঙ্গনকে পেশিশক্তি ও দুর্বৃত্তায়নের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের এই অশুভ প্রক্রিয়াকে প্রতিহত করার দায়িত্ব সরকার ও ক্ষমতাসীন জোটকেই নিতে হবে।’ সূত্র: প্রথম আলো