a কবির গভীর অভিমান
ঢাকা শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কবির গভীর অভিমান


ফেসবুক ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০১ জুন, ২০২১, ১১:৫৮
কবির গভীর অভিমান

ফাইল ছবি। কাজী নজরুল ইসলাম

 
কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিদ্রাহী কবি বিশেষণটি না দিলে মন ভরে না। এই মহান কবিকে আমরা এখনও বিদ্রোহী বলে জানি এবং সেভাবেই জানতে ও ভাবতে আমরা বেশি পছন্দ করি। যৌবনের কবিও বলা হয়। যে কবি যৌবনের তার বিদ্রোহী হতে কোনো বাধা নেই। একালের কবিও তো সে কথাই বলেন। ‘এখন যৌবন যার , যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়' " (হেলাল হাফিজ)। যুদ্ধ আর বিদ্রোহের মধ্যে ব্যবধান আছে। সব যুদ্ধ বিদ্রোহ নয়। পক্ষান্তরে বিদ্রোহ থেকে যুদ্ধ উৎপন্ন না হয়েই পারে না। সে যুদ্ধ  হতে পারে সশস্ত্র , হতে পারে সামাজিক প্রতিরোধ কিংবা সাংস্কৃতিক লড়াই। বাংলাদেশের মানুষ তো বটেই, গোটা উপমহাদেশের জনগণ দু’শ বছর লড়াই করেছেন্। বুকের ভেতর দ্রোহের আগুন জ্বেলে তারা ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। সেই সংগ্রামের বিচিত্রতা ও বহুমাত্রিকতার ইতিহাস কমবেশি আমরা সবাই জানি। দুই শতাব্দির লালিত দ্রোহে ভাষা দিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।

সেই সংগ্রাম আবারও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি পাকিস্তানের তেইশ বছরের দুঃশাসনের মধ্যে। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে  নজরুলের কবিতা ও গান আমাদের সাহস জুগিয়েছে, প্রাণিত করেছে যুদ্ধের ময়দানে, অবরূদ্ধ জনপদে। তবু, বিদ্রোহ বা যুদ্ধ প্রৌঢ়- প্রাচীনের জন্য সহজ নয়। নজরুল যখন বলেন, আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙঙ্খল!’Ñতখন বিচলিতবোধ করেন শান্তিপ্রিয় কোনো কোনো প্রৌঢ়বোদ্ধা।  কিন্তু ক্ষুব্ধ তরুণ বলেন, এই তো  আমার প্রাণের কথা। অতঃপর বিদ্রোহ আর যৌবনকে সমান্তরাল বলে ভেবে নেয়া যায় বৈ কি!
 
নিশ্চয়ই কবি  জানতেন যে, লোকে তাঁকে বিদ্রোহী বলেই বেশি ভালবাসেন। তাসত্তে¡ও মাঝে মাঝে মনেহয়, তিনি নিজেও এই অভিধায় বিব্রতবোধ করতেন। সে জন্যে তিনি কৈফিয়ৎ দিতেও কুণ্ঠিত হননি। চির-বিদ্রোহী কবিতায় তিনি বলছেন,
‘বিদ্রোহী করেছে মোরে আমার গভীর অভিমান।
তোমার ধরার দুঃখ কেন
আমায় নিত্য কাঁদায় হেন?
বিশৃঙ্খল সৃষ্টি তোমার, তাই তো কাঁদে আমার প্রাণ!
বিদ্রোহী করেছে মোরে আমার গভীর অভিমান।’
বোঝাই যায়, অভিমানী কবির এই কৈফিয়ৎ কোনো মানুষের কাছে নয়, এই কৈফিয়ৎ ;নাকি জিজ্ঞাসা তাঁর স্রষ্টার কাছে । অন্তর্যামীর প্রতি কতটা গভীর ভালবাসার দাবি বুকের ভেতর লালন করলে পরে এমন উদ্ধত ভাষাভঙ্গি প্রয়োগ করা যায়, তা সহজেই অনুমেয়।  এ-ও একধরণের সমর্পণ। রবীন্দ্রনাথও সমর্পিত কবি। কিন্তু দু’জনের প্রকাশভঙ্গি আলাদা। একজন রাগী , অভিমান ক্ষুব্ধ, আরেকজন বিনীত, মার্জিত প্রার্থনায় আনত।

নজরুল বিদ্রোহী। তিনি দার্শনিকও বটে। তিনি যখন বলেন, আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে? Ñ তখন চট করে মাথায় প্রশ্ন এসে যায়, সকাল হলে মানুষ জাগে নাকি মানুষ জাগলে সকাল হয়? প্রশ্নটি খুবই জটিল নিঃসন্দেহে। একজন কিশোর পাঠক যখন কবিতাটি পাঠ করে, তখন তার মনে কোনো প্রশ্নের উদ্রেক নাও হতে পারে। তার কাছে এ শুধু একটি ভাললাগার পদ্য। কিন্তু প্রাপ্তমনস্ক মানুষ আপনমনে প্রশ্নবিদ্ধ হতেই পারেন। এই জিজ্ঞাসার জবাব খুঁজতে গেলেই আমরা মুখোমুখি হই কঠিনতর জীবন সত্যের। রাত পোহালে , সূর্য উঠলেই সকাল হয়। ভোরের আলো ফোটে। আলো ফুটলেও সব সময় কিন্তু সে আলোতে জীবনের অন্ধকার ঘুচে যায় না। মানুষ জাগলে, তার দীর্ঘ, দীর্ঘতর সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আলোকমন্ডিত হয় জীবন। কাল হতে কালান্তরের, দেশ হতে দেশান্তরের ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার প্রমাণ রয়েছে। সেই সত্যেরই প্রতিধ্বনি করেন বিদ্রোহী কবি।  উষার দুয়ারে আঘাত হেনে তিমির রাত টুটাবার আহবান শুনি আমরা তাঁর  কণ্ঠে। তিনি ভীত- সন্ত্রস্ত মানুষকে শোনান অভয়ের বাণী, মাভৈঃ,মাভৈঃ। তাঁর অভয় মন্ত্র;
ওরে    যে যায় যাক সে, তুই শুধু বল ‘আমার হয়নি লয়’।
বল    আমি আছি, আমি পুরুষোত্তম, আমি চির দুর্জয়!
বল    নাহি ভয়, নাহি ভয়,
বল    মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়।’

এ হলো আত্মশক্তি উদ্বোধনের গান। ব্যক্তি বা  জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে তার নিজের মনের শক্তি। ইংরেজিতে একে বলা হয়, পাওয়ার অব পজেটিভিটি। মানুষ যতদিন নিজেকে ভয় থেকে মুক্ত করতে না পারে, ততদিন তার মুক্তি নাই। ভয়ের হাত ধরেই আসে পরাজয়। ভয় থেকে পলায়ন করার সুযোগ নেই বরং জয় করতে হয়, জয় করতে হবে। একে জয় না করে স্বাধীনতাও আসে না। আবার সমাজে ভয় কায়েম রেখে স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় না। রুজভেল্টের ফোর ফ্রিডম তত্তে¡ও বলা হয়েছে একই কথা। নজরুল তাই সবসময় প্রাসঙ্গিক এবং সর্বজনীন। তিনি দূত মানবমুক্তির।

 

--------- ফাইজুস সালেহীন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ লেখক-সাংবাদিক ফাউন্ডেশন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পেপার ও পেপার বোর্ড আমদানিতে প্লাস্টিক শিল্পের অনুরূপ শুল্ক কর ৫% বা তার কম চায় ব্যবসায়ী মহল


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৪৯
পেপার ও পেপার বোর্ড আমদানিতে প্লাস্টিক শিল্পের অনুরূপ শুল্ক কর ৫% বা তার কম চায় ব্যবসায়ী মহল

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  বাংলাদেশ পেপার ইম্পোর্টাস এসোসিয়েন, দি বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস এসোসিয়েশন, মেট্রোপলিটন প্রেস ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায় শৃঙ্খলা, দূর্নীতি হ্রাস ও কর ফাঁকি রোধে প্রকাশনা, মোড়কজাত ও ঔষধ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল (যা দেশে উৎপাদিত হয়না) উন্নতমানের পেপার ও পেপার বোর্ড আমদানিতে প্লাস্টিক শিল্পের অনুরূপ শুল্ক কর (সিডি) ৫% বা তার ও কম করার আবেদন করেন। 

আজ ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক কর (সিডি) ৫% করা হলে ব্যবসায় শৃঙ্খলা, দূর্নীতি হ্রাস ও কর ফাঁকির হার কমে আসবে ফলে সরকারের রাজস্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে যা হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা।

উক্ত চারটি সংগঠনের উদ্যোগে আজকের সভার সভাপতি বলেন, ব্যক্তিগত/কোম্পানী আয়করের (Income Tax) উপর অডিট আপত্তির বিপরীতে আপিলাত ট্রাইবুনালে আপিল দায়ের করতে হলে আপত্তিকৃত মোট টাকার উপর ১০% সরকারি কোষাগারে জমা করার বিধান রয়েছে এবং উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করার ক্ষেত্রে ২৫% জমা করার বিধান রয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের কাছে আবেদন উভয়ক্ষেত্রে ৫% করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। কিছু অসাধু কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যক্তিগত/কোম্পানী আয়করের (Income Tax) উপর অযাচিত অডিট আপত্তি দিয়ে থাকেন এ ক্ষেত্রে ৫% করা হলে অসাধু কর্মকর্তদের দৈরাত্বও কিছুটা কমে আসবে।

ভ্যাট কমিশনার কর্তৃক দাবীকৃত মূসকের বিপরীতে আপীলাত ট্রাইবুনালে আপীল দায়ের করার ক্ষেত্রে বিধিবদ্ধ জমা ১০% এবং উচ্চ আদালতে ইনকাম ট্যাক্স রেফারেন্সের ক্ষেত্রে ১০% জমা করার বিধান রয়েছে । এমতাবস্থায় মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ সংশোধন পূর্বক উভয় ক্ষেত্রে ৫% করার জন্য আবেদন করছি। এক্ষেতে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অযাচিত অডিট আপত্তি দেওয়ার প্রবনতা হ্রাস পাবে এবং ব্যবসায়ীরা হয়রানি মুক্ত পরিবেশে ব্যবসা করতে পারবেন।

বানিজ্যিকভাবে আমদানীকৃত ডুপ্লেক্স বোর্ড (Duplex Board) ও আর্টকার্ড (HS Code 4810) এর মূল্য আর্ন্তজাতিক বাজারে কমে যাওয়ায় প্রকৃত বিনিময় মূল্যে শুল্কায়নের আবেদন। শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালা ২০০০ এর বিধি-৪ এ বলা আছে পণ্যের প্রকৃত পরিশোধিত মূল্য উক্ত পণ্যের বিনিময় মূল্য, এক্ষেত্রে পেপার এন্ড পেপার বোর্ড (HS Code 4810) আমদানীর ক্ষেত্রে পণ্যের প্রকৃত বিনিময় মূল্যকে শুল্কায়ন যোগ্য মূল্য হিসাবে বিবেচনা করে শুল্কায়নের আদেশ প্রদান করে ব্যবসায়ীদেরকে বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতি হতে রক্ষা করার আবেদন। নচেৎ বন্ডের অপব্যবহারকারীরা সুবিধা পাবে এবং সরকার বিপুল রাজস্ব হারাবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং তারিখের একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে এবং কমলাপুর আইসিডিতে স্থিত আমদানিকৃত এফসিএল কন্টেইনারের Common Landing Date এর ৮ম দিন হতে প্রযোজ্য Slab এর ০৪ (চার) গুন হারে "স্টোর রেন্ট" আরোপ করেছে। ঈদের ছুটির ১/২ দিন পূর্ব হতে আগত কন্টেইনারসহ ছুটির মধ্যে বন্দরে আগত কন্টেইনার নির্ধারিত ৪ দিনের মধ্যে খালাস করা সম্ভব ছিল না এছাড়াও বন্দর বা আইসিডি হতে মালামাল খালাসে বন্দর কর্তৃপক্ষ ছাড়াও আরও অন্যান্য এজেন্সি/ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা থাকে এবং এসব ডকুমেন্টেশন প্রসেসিং এ অনেক সময় লেগে যায়।

আমদানীকারদের উপর এরূপ অযৌক্তিক উচ্চহারে "স্টোর রেন্ট" আরোপের ফলে শিল্প উৎপাদন বা অভ্যন্তরীণ ব্যবহার উভয় ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসায়গন অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুক্ষীন হবেন। এমতাবস্থায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং তারিখের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৪ (চার) গুন হারে "স্টোর রেন্ট" আরোপের সিদ্ধান্ত বাতিল করতঃ পূর্বের ন্যায় "স্টোর রেন্ট" বহাল রাখার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পেপার ইম্পোর্টাস এসোসিয়েশন, দি বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট এসোসিয়েশন, মেট্রোপলিটন প্রেস ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ এই ৪টি সংগঠনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে বালাদেশব্যাপী অন্তত ০৫ (পাঁচ) লক্ষাধিক মানুষ কর্মসংস্থানে জড়িত আছেন। আমাদের সংঠনগুলোর পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবীগুলো আসন্ন বাজেটে কার্যকর করতঃ এ সেক্টরে কর্মরত ০৫ (পাঁচ) লক্ষাধিক মানুষের জীবনধারনের গতিধারা অব্যাহত রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আর্জেন্টিনা আবারও দূতাবাস খুলবে বাংলাদেশে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ০১:২৮
আর্জেন্টিনা আবারও দূতাবাস খুলবে বাংলাদেশে

ফাইল ছবি

চার দশক পর বাংলাদেশে আবারও দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এ ঘোষণা দিয়েছেন।

ক্যাফিয়েরো জানান, ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর তিনি বিস্তারিত চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সফর করবেন।

কাতারে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবলে মেসির দলের প্রতি বাংলাদেশিদের সমর্থনের বিষয়টি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যরকম ভূমিকা রাখছে বলে জানা যায়।

বাংলাদেশে বরাবরই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের একনিষ্ঠ ভক্ত-সমর্থক ছিল। তবে কাতার বিশ্বকাপে দলটির প্রতি বাংলাদেশিদের অপরিসীম আবেগ-অনুরাগ বিশ্ববাসীর মনোযোগ কেড়েছে।

কাতার বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে মেসির গোলের পর উল্লাসরত বাংলাদেশি সমর্থকদের একটি ভিডিও ফিফার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার পর তা বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে।

ভিডিওটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়।

পরে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে টুইট করে বলা হয়, 'আমাদের দলকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ! ওরা (বাংলাদেশিরা) আমাদের মতোই পাগল!'

এর পরিপ্রেক্ষিতে আর্জেন্টিনার সাধারণ নাগরিকরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশিদের অকুণ্ঠ ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য একটি আর্জেন্টাইন ফ্যান গ্রুপও তৈরি করা হয়।

পরে গত শনিবার এক টুইটবার্তায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো বাংলাদেশে পুনরায় দূতাবাস চালু করার পরিকল্পনার কথা জানান। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - শিল্প ও সাহিত্য