a
ফাইল ছবি। কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিদ্রাহী কবি বিশেষণটি না দিলে মন ভরে না। এই মহান কবিকে আমরা এখনও বিদ্রোহী বলে জানি এবং সেভাবেই জানতে ও ভাবতে আমরা বেশি পছন্দ করি। যৌবনের কবিও বলা হয়। যে কবি যৌবনের তার বিদ্রোহী হতে কোনো বাধা নেই। একালের কবিও তো সে কথাই বলেন। ‘এখন যৌবন যার , যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়' " (হেলাল হাফিজ)। যুদ্ধ আর বিদ্রোহের মধ্যে ব্যবধান আছে। সব যুদ্ধ বিদ্রোহ নয়। পক্ষান্তরে বিদ্রোহ থেকে যুদ্ধ উৎপন্ন না হয়েই পারে না। সে যুদ্ধ হতে পারে সশস্ত্র , হতে পারে সামাজিক প্রতিরোধ কিংবা সাংস্কৃতিক লড়াই। বাংলাদেশের মানুষ তো বটেই, গোটা উপমহাদেশের জনগণ দু’শ বছর লড়াই করেছেন্। বুকের ভেতর দ্রোহের আগুন জ্বেলে তারা ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। সেই সংগ্রামের বিচিত্রতা ও বহুমাত্রিকতার ইতিহাস কমবেশি আমরা সবাই জানি। দুই শতাব্দির লালিত দ্রোহে ভাষা দিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
সেই সংগ্রাম আবারও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি পাকিস্তানের তেইশ বছরের দুঃশাসনের মধ্যে। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে নজরুলের কবিতা ও গান আমাদের সাহস জুগিয়েছে, প্রাণিত করেছে যুদ্ধের ময়দানে, অবরূদ্ধ জনপদে। তবু, বিদ্রোহ বা যুদ্ধ প্রৌঢ়- প্রাচীনের জন্য সহজ নয়। নজরুল যখন বলেন, আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙঙ্খল!’Ñতখন বিচলিতবোধ করেন শান্তিপ্রিয় কোনো কোনো প্রৌঢ়বোদ্ধা। কিন্তু ক্ষুব্ধ তরুণ বলেন, এই তো আমার প্রাণের কথা। অতঃপর বিদ্রোহ আর যৌবনকে সমান্তরাল বলে ভেবে নেয়া যায় বৈ কি!
নিশ্চয়ই কবি জানতেন যে, লোকে তাঁকে বিদ্রোহী বলেই বেশি ভালবাসেন। তাসত্তে¡ও মাঝে মাঝে মনেহয়, তিনি নিজেও এই অভিধায় বিব্রতবোধ করতেন। সে জন্যে তিনি কৈফিয়ৎ দিতেও কুণ্ঠিত হননি। চির-বিদ্রোহী কবিতায় তিনি বলছেন,
‘বিদ্রোহী করেছে মোরে আমার গভীর অভিমান।
তোমার ধরার দুঃখ কেন
আমায় নিত্য কাঁদায় হেন?
বিশৃঙ্খল সৃষ্টি তোমার, তাই তো কাঁদে আমার প্রাণ!
বিদ্রোহী করেছে মোরে আমার গভীর অভিমান।’
বোঝাই যায়, অভিমানী কবির এই কৈফিয়ৎ কোনো মানুষের কাছে নয়, এই কৈফিয়ৎ ;নাকি জিজ্ঞাসা তাঁর স্রষ্টার কাছে । অন্তর্যামীর প্রতি কতটা গভীর ভালবাসার দাবি বুকের ভেতর লালন করলে পরে এমন উদ্ধত ভাষাভঙ্গি প্রয়োগ করা যায়, তা সহজেই অনুমেয়। এ-ও একধরণের সমর্পণ। রবীন্দ্রনাথও সমর্পিত কবি। কিন্তু দু’জনের প্রকাশভঙ্গি আলাদা। একজন রাগী , অভিমান ক্ষুব্ধ, আরেকজন বিনীত, মার্জিত প্রার্থনায় আনত।
নজরুল বিদ্রোহী। তিনি দার্শনিকও বটে। তিনি যখন বলেন, আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে? Ñ তখন চট করে মাথায় প্রশ্ন এসে যায়, সকাল হলে মানুষ জাগে নাকি মানুষ জাগলে সকাল হয়? প্রশ্নটি খুবই জটিল নিঃসন্দেহে। একজন কিশোর পাঠক যখন কবিতাটি পাঠ করে, তখন তার মনে কোনো প্রশ্নের উদ্রেক নাও হতে পারে। তার কাছে এ শুধু একটি ভাললাগার পদ্য। কিন্তু প্রাপ্তমনস্ক মানুষ আপনমনে প্রশ্নবিদ্ধ হতেই পারেন। এই জিজ্ঞাসার জবাব খুঁজতে গেলেই আমরা মুখোমুখি হই কঠিনতর জীবন সত্যের। রাত পোহালে , সূর্য উঠলেই সকাল হয়। ভোরের আলো ফোটে। আলো ফুটলেও সব সময় কিন্তু সে আলোতে জীবনের অন্ধকার ঘুচে যায় না। মানুষ জাগলে, তার দীর্ঘ, দীর্ঘতর সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আলোকমন্ডিত হয় জীবন। কাল হতে কালান্তরের, দেশ হতে দেশান্তরের ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার প্রমাণ রয়েছে। সেই সত্যেরই প্রতিধ্বনি করেন বিদ্রোহী কবি। উষার দুয়ারে আঘাত হেনে তিমির রাত টুটাবার আহবান শুনি আমরা তাঁর কণ্ঠে। তিনি ভীত- সন্ত্রস্ত মানুষকে শোনান অভয়ের বাণী, মাভৈঃ,মাভৈঃ। তাঁর অভয় মন্ত্র;
ওরে যে যায় যাক সে, তুই শুধু বল ‘আমার হয়নি লয়’।
বল আমি আছি, আমি পুরুষোত্তম, আমি চির দুর্জয়!
বল নাহি ভয়, নাহি ভয়,
বল মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়।’
এ হলো আত্মশক্তি উদ্বোধনের গান। ব্যক্তি বা জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে তার নিজের মনের শক্তি। ইংরেজিতে একে বলা হয়, পাওয়ার অব পজেটিভিটি। মানুষ যতদিন নিজেকে ভয় থেকে মুক্ত করতে না পারে, ততদিন তার মুক্তি নাই। ভয়ের হাত ধরেই আসে পরাজয়। ভয় থেকে পলায়ন করার সুযোগ নেই বরং জয় করতে হয়, জয় করতে হবে। একে জয় না করে স্বাধীনতাও আসে না। আবার সমাজে ভয় কায়েম রেখে স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় না। রুজভেল্টের ফোর ফ্রিডম তত্তে¡ও বলা হয়েছে একই কথা। নজরুল তাই সবসময় প্রাসঙ্গিক এবং সর্বজনীন। তিনি দূত মানবমুক্তির।
--------- ফাইজুস সালেহীন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ লেখক-সাংবাদিক ফাউন্ডেশন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
কামরুল হোসেন, ঢাকা: ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগের মাধ্যমে সম্মাননা এবং পুরস্কার প্রদান করলেন জাতীয় কবিতা পরিষদ। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার উদ্দেশ্যে এবারের জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ২০২৫ প্ৰদান করা হয় বীর শহীদদের পরিবারের সদস্যদের হাত দিয়ে।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব ‘জহুর হোসেন মিলনায়তন’-এ ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ২০২৫' প্রদান করা হয়। কবিতায় কবি মতিন বৈরাগী, শিশু সাহিত্যে ‘ফয়েজ আহমেদ পুরস্কার' কবি হাসান হাফিজ এবং ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা পুরস্কার' কবি জুলফিকার হোসেন তারা'কে প্রদান করা হয় ।পুরস্কার প্রদান করেন জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ'র বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদ গোলাম নাফিজের বাবা মোঃ গোলাম রহমান, শহীদ আলভীর বাবা মোঃ আবুল হাসান এবং শহীদ ইয়াসিনের মা শিল্পী আক্তার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি শাহীন রেজা এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রচার সম্পাদক, কবি আসাদ কাজল। অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য লেখক, কবি, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণ এবং বিশেষ সম্মাননা প্রদান করার পর জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ'র বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদ গোলাম নাফিজের বাবা মোঃ গোলাম রহমান, শহীদ আলভীর বাবা মোঃ আবুল হাসান এবং শহীদ ইয়াসিনের মা শিল্পী আক্তার বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই সময় তারা সবাই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। উপস্থিত সকল সাংবাদিকদেরকে অভ্যুত্থানের সময় যারা নিহত হয়েছেন এবং শহীদ হয়েছেন তাদের বিচার যেন বিলম্বিত না হয় সেই প্রত্যাশা করেন। শহীদদের জন্য কেউ ভুলে না যায় এবং তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায় সেই কামনা করেন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আংশিক নয়, পূর্ণবাস্তবায়ন এবং ঈদের কমপক্ষে ১০ দিন আগে পূর্ণবোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধ এর দাবি নিয়ে সরব হয়েছে ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক শ্রমিক ইউনিয়ন।
শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে শ্রম আইন সংশোধন করে প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস চালকসহ সকল শ্রমজীবীদের নিয়োগপত্র,
কর্মঘন্টা, চাকরির নিরাপত্তা, ন্যায্যমজুরি, অতিরিক্ত কাজের মজুরি, চাকরির অবসানে ক্ষতিপূরণ, উৎসব ভাতা, ছুটি, দূর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ,
ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ আই.এল.ও কনভেনশনের আলোকে স্বীকৃত শ্রমাধিকারসমূহ সকলের জন্য নিশ্চিত করা এবং ২৭ মে’র মধ্যে পূর্ণ
ঈদ বোনাস, বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আজ ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার, সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও
বিক্ষোভ মিছিল করেছে “ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ ঢাক-২২৮০)।
সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু’র সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে
বক্তব্য রাখেন কার্যকরি সভাপতি বিরেশ চন্দ্র দাশ, সহ-সভাপতি আলমগির হোসেন, সধারণ সম্পাদক আহাসান হাবিব বুলবুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল মিয়া, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক দুলাল হাওলাদার, শাহবাগ উপকমিটির সাধারণ সম্পাদক জিলানী মোল্লা, হাতিরঝিল উপকমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ীর চালকসহ অনানুষ্ঠানিক খাতের কোটি কোটি শ্রমিকের কোন সুরক্ষা না দিয়ে শ্রম আইন
সংশোধনের নামে দুইবার শ্রমজীবী মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে বিগত ফ্যাসিবাদি সরকার। সেই যন্ত্রনা থেকেই প্রাইভেট কার চালক দুলাল মাতবর, মামুনসহ কয়েক হাজার শ্রমজীবী মানুষ জুলাই আন্দোলনে জীবন দিয়েছে। জুলাই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দায়িত্ব গ্রহণকারী অন্তবর্তী সরকার শ্রম খাতে ন্যয্যতা নিশ্চিত করতে একটি সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। সেই সংস্কার কমিশন গত ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সরকারের কাছে রিপোর্ট দাখিল করেছে। কমিশন তার রিপোর্টে প্রাইভেট গাড়ীর চালকসহ সকল শ্রমজীবী মানুষের শ্রম
অধিকার কে আইনে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, শ্রম উপদেষ্টা এবং শ্রম সচিব, কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি যে আগামী জুলাই -আগষ্ট মাসে শ্রম আইন সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারী করা হবে যেখানে সংস্কার কমিশনের কয়েকটি সুপারিশের প্রতিফলন থাকবে। প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস চালকসহ অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমজীবীদের প্রত্যাশা এই সংশোধনীর পরে দেশের মোট শ্রমশক্তির ৮৫ শতাংশ সুরক্ষার বাইরে থাকবেনা।
অবিলম্বে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পূর্ণ বাস্তবায়নে কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বান্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করতে কারখানা মালিকদের পোষ্য কিছু শ্রমিক নেতা কে তৎপর হতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দাবি করে সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিয়ে সুবিধা না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কেীশলে শ্রম প্রশাসনে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছেন শ্রমিক নেতা নামের মালিকদের পক্ষের এই দালালরা যাতে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্থ হয়। শ্রম প্রশাসন কে অবশ্যই দূর্ণীতিমূক্ত হতে হবে তবে ঝাঁজর হয়ে সুইয়ের ফুটোর বিচার দাবি করা যায় না। ঝাঁজর দ্বারা সুইয়ের ফুটোর বিচারের দাবি উত্থাপন করার চেষ্টা উদ্দেশ্য
প্রণোদিত। শ্রমিক নেতার পরিচয় ধরে যারা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করছে সকল শ্রমজীবীদের এই ধরণের দালালদের অপতৎপরতা বন্ধে সোচ্চার হতে হবে আর প্রশাসন কে এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বৈষম্য বিলোপের প্রতিশ্রæতি দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। নিশ্চয় সকলের উৎসব পালনের অধিকারের কথা সরকার স্বীকার করবেন। কিন্তু প্রাইভেট গাড়ীর চালকসহ পরিবহন খাতের সংখ্যাগরিষ্ট চালক-শ্রমিকরা উৎসব বোনাস বা উৎসব ছুটি থেকে বঞ্চিত। বরং উৎসবের আগমন গাড়ী চালকদের চাকরি হারানোর আতংক হিসাবে দেখা দেয়। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস চালকসহ
হালকা যানবাহন চালকদের এই অমানবিক জীবন থেকে উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ কে উদ্যোগ নিতে হবে। নেতৃবৃন্দ, ঈদেও কমপক্ষে ১০ দিন পূর্বে অর্থাৎ ২৭ মে’র মধ্যে সকল গাড়ী চালকদের পূর্ণবোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধের জোর দাবি এবং সকল ধরণের নিপীড়ন-ছাঁটাই বন্ধের আহবান জানান।