a তোমাকে খুঁজে...
ঢাকা সোমবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

তোমাকে খুঁজে...


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:১১
তোমাকে খুঁজে

ছবি সংগৃহীত

তোমাকে খুঁজে...

আজও বিষাদ মাখা মনে
বসে আছি তোমার পথ চেয়ে,
হঠাৎ তুমি বদলে গেলে
কোন যাদুর ছোঁয়া পেয়ে।

হারিয়ে তোমায় খুঁজি
বসে থাকি অপেক্ষায়,
জানি, আলেয়ার ঘোরে আছি
কখনোই পাবনা তোমায়!

কি আদর! মায়াবী ভালবাসায়
সযতনে রেখেছিলে আমায়,
কোথা থেকে এক ঝড় এসে
ছিন্ন করে দিলো আমায়-তোমায়।

হয়তো তুমি আমায় রাখোনি মনে
ভালোই আছো অন্যের আলিঙ্গনে,
তবুও দিন-রাত খুঁজি নির্ঘুম রাতে
বিষন্ন ভরা অবসন্ন মনে!

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বই দিবসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১০:১৩
বই দিবসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত

ফাইল ছবি

আলোকিত হই নতুনত্বের জ্ঞান ভাণ্ডারে ডুবে, সমাজের কুসংস্কার গোঁড়ামিকে তুচ্ছ করে নবদ্বার উন্মোচিত হোক বই এর হাত ধরে।

আজ ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস। ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো।

বিশ্ব বই দিবসের মূল ধারণাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে। ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের আরেক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। আন্দ্রেস ছিলেন তার ভাবশিষ্য। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস স্পেনে পালন করা শুরু করেন বিশ্ব বই দিবস। এরপর দাবি ওঠে প্রতিবছরই দিবসটি পালন করার। অবশ্য সে দাবি তখন নজরে আসেনি কারোই। বহুদিন অপেক্ষা করতে হয় দিনটি বাস্তবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য।

অবশেষে ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং পালন করতে শুরু করে। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, ২৩ এপ্রিল শুধুমাত্র বিশ্ব বই দিবসই নয়, শেক্সপিয়র, সত্যজিৎ রায়, ইনকা গার্সিলাসো ডে লা ভেগাসহ প্রমুখ খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের জন্ম ও প্রয়ান দিবসও। আর এ কারণেও ২৩ এপ্রিলকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।

বই দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মনোভাব নিয়ে পর্যালোচনায় দেখা গেছে সকলের আগ্রহের জায়গা বই, যদিও তা এখন বিলুপ্তির পথে পা বাড়াচ্ছে রোজ রোজ।

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওনাদের মধ্যে অধ্যাপক ড.রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, (সাবেক চেয়ারম্যান, গণিত বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন, জাতির মেরুদন্ডকে শক্তিশালী করতে বইয়ের কোন বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে দেশ গড়ার লক্ষ্যে বই পড়তে হবে সকলকেই। ধারণ করতে হবে বইয়ের জ্ঞানকে, আলোকিত মানুষ গড়ে উঠতে হবে।"

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক  ড. হেলেনা ফেরদৌসী বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বই পড়া থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে পাঠক-লেখক উভয়ই। যার দরুন বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় নতুন ভালোমানের বই এর আবির্ভাব ঘটছে না আগের মতন। বই দিবস অবশ্যই গুরুত্ববহ।

অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস, (বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন,"বই দিবসর প্রাসঙ্গিকতা অবশ্যই রয়েছে। তবে বর্তমান সমাজের সকলেই অনলাইন বা ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় আসায় ছাপা বই এর গুরুত্ব প্রায় বিলুপ্তির দিকে। তাই বইকে পরম বন্ধুর মতো রাখা হলে সেও তার মর্যাদা রাখে।"

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট এর সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার বলেন, "বই এর বিকল্প হয় না। নিজের জীবন থেকে বললে সবগুলো কঠিন সময়ের সঙ্গী হিসেবে বইকে পেয়েছি পাশে। বই আমাদের কষ্ট ভোলায়, প্রশান্তি দেয়।প্রিয়জনের চাহিদা পূরণ করে।"

সোমা রানী দেবী, (বিভগীয় প্রধান, সমাজকর্ম, ময়মনসিংহ কলেজ) বলেন, "বই দিবস সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং তথাকথিত সাধারণ জনগণ অনন্য জ্ঞানভান্ডার বইকে আপন করে নিতে পারলে জাতীয় উন্নতির পথে ধাপে ধাপে এগোবে।বন্ধুত্বের অনন্য সাক্ষী যেমন বই, তেমনি বই পড়ার অভ্যাসটাও ভালো মানুষ হওয়ার পূর্বশর্ত।"

শিক্ষার্থীদের মনোভাব ও চিন্তা ভাবনা জানতে চাওয়ায়, আলভি সরকার সূচনা, (শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন, "জ্ঞানার্জনের সর্বোত্তম পন্থা বই।  আজকের দিনের অঙ্গীকার হোক বই পড়বো, বই কিনবো আর বই পড়বো। বই পড়ার মাধ্যমেই জীবনেকে সঠিক উপলব্ধি করা যায়। কেবলমাত্র বই পড়লেই সুস্থ মস্তিষ্কের ভালো মানুষ হওয়া সম্ভব। সুস্থ মানুষ হলেই সুস্থ সুন্দর পৃথিবী হবে।"

এভাবেই যেন এক এক করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে গুরুত্ববহ এই বই দিবস ছড়াচ্ছে আলোকবার্তা। বই এর জ্ঞান এর আলোয় আলোকিত হয়ে যেন দেশ তথা জাতি গড়ে উঠে সমৃদ্ধ হয়ে। বই দিবসের প্রত্যাশায় হোক সকলের জ্ঞান ভাণ্ডারের প্রতি সখ্যতা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে শিক্ষকদের ১১ নির্দেশনা


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:৪২
প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে শিক্ষকদের ১১ নির্দেশনা

ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়াতে ও পড়ার ঘাটতি পূরণ করতে শিক্ষকদের ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। 

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়। 

এদিকে নতুন নির্দেশনা ঠিকমত বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা নজরদারিতে রাখতে আলাদা আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এজন্য সকল বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

১১ দফা নির্দেশনা:
অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তথ্য রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করতে হবে। তাতে শিক্ষার্থীর নাম, শ্রেণি, রোল, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, কী কারণে অনুপস্থিত, গৃহীত পদক্ষেপসহ অন্যান্য বিষয় উল্লেখ থাকবে। 

অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করবেন শিক্ষকরা। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে হোম ভিজিট করতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির (শ্রেণিভিত্তিক) হার নিয়মিতভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। উপস্থিতির ঘাটতি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। 

কোভিড-১৯ প্রভাবজনিত শিখন ঘাটতি পূরণে শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীদের পারঙ্গমতা যাচাই করে বিভিন্ন দলে ভাগ করে শ্রেণিশিক্ষক ও বিষয় শিক্ষকদের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড নির্দেশিত পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। অনলাইন ক্লাস চলমান থাকবে। সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সম্প্রচারিত 'ঘরে বসে শিখি’র পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। 

বিদ্যালয়ের বিষয় শিক্ষক ও শ্রেণি শিক্ষকরা শ্রেণিভিত্তিক প্রতিটি শিশুর শিখন যোগ্যতার প্রোফাইল (শিখন ঘাটতি পরিস্থিতি) প্রণয়ন করে এ সম্পর্কিত অগ্রগতির রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন। শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক মূল্যায়নে শ্রেণির কাজ, বাড়ির কাজ (ওয়ার্ক শিট) যাচাইকরণে একই শ্রেণির শিক্ষার্থীর ঘাটতি নিরূপণে শিক্ষকদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রধান শিক্ষক, শ্রেণি শিক্ষক, বিষয় শিক্ষক এবং কর্মচারীদেরকে শিক্ষার্থীদের মনো-সামাজিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে সহনশীল ও মানবিক আচরণ করতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ২টি শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রুটিন অনুযায়ী যেসকল শিক্ষকের পাঠদান কার্যক্রম থাকবে না তারা বিদ্যালয়ে বসে অবশিষ্ট ৩টি শ্রেণির জন্য গুগল মিট-এ (যেখানে সম্ভব) কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। 

মাঠপর্যায়ের প্রত্যেক মেন্টরকে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ থেকে প্রেরিত মেন্টরিং গাইডলাইন (মেন্টরদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সংক্রান্ত) ও মেন্টরিং টুলস অনুসরণ করে নিজ দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - শিল্প ও সাহিত্য