a
ফাইল ছবি
রাজধানীর যে এলাকায় গ্যাস থাকবে না মঙ্গলবার গ্যাস পাইপলাইন প্রতিস্থাপন কাজের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উত্তর যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসা রোড এলাকায় গ্যাস সবরবাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া চাপ কম থাকবে আশপাশের এলাকায়। আজ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিতাস গ্যাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্যাস পাইপলাইন প্রতিস্থাপন কাজের জন্য মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উত্তর যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসা রোড এলাকায় গ্যাস সবরবাহ বন্ধ থাকবে। চাপ কম থাকবে আশপাশের এলাকায়। এর আগে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্যাস পাইপলাইন প্রতিস্থাপন কাজের জন্য রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আওরঙ্গজেব রোড, শের শাহপুরী রোড, তাজমহল রোড এলাকায় আবাসিকসহ সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া আশপাশের এলাকায় চাপ কম থাকতে পারে । সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। মূলত গ্যাস পাইপলাইন প্রতিস্থাপন কাজের জন্যই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। এদিকে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিদ্যুতের পিক-আওয়ার বিবেচনায় প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত, এ ৬ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। সহকারী সচিব সায়মা আক্তার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহের গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের স্বল্প ও দীর্ঘমিয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফাইল ছবি
বৃষ্টির অভাবে যখন চারিদিক ফেটে চৌচির মানুষ এক ফোটা পানির জন্য হাহাকার করছে। এই গ্রীষ্মের দুপুরে রোদের তাপমাত্রার কারনে অসহনীয় হয়ে পড়ছে মানুষের জীবন। সে উদ্দেশ্যে একটু বৃষ্টির জন্য ফেনিতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে নামাজ আদায় করা হয়েছে।
গতকাল ৩০ এপ্রিল শুক্রবার জুমার নামাজের পর দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মুফতি মোহাম্মদ আলী। নামাজের ভিডিও ইতোমধ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। নামাজের আগে তিনি মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ানে বলেন, বৃষ্টির জন্য নামাজ ঈদের নামাজের মতই হবে দুই রকাত, নামাজ শেষে মুনাজাত হবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো নামাজ ও মুনাজাত শেষে দেখা যায় মুসল্লিরা খুশিতে তাকবির দিচ্ছেন।
কারন তাদের দোয়া মনে হয় আল্লাহ তায়ালা সাথে সাথেই কবুল করেছেন, বৃষ্টি ইতিমধ্যে চলে এসেছে। ভিডিওতে এক মুসল্লি বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়লাম, আর এখন নামাজ শেষ হতেই আমরা বৃষ্টিতে ভিজতেছি, আলহামদুলিল্লাহ।
ছবি সংগৃহীত
অনেক ভালো ফলাফলের পরও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কেন শিক্ষকতা করিনি যেখান থেকে আমি অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারতাম, এই ধরনের মন্তব্য অনেকেরই। কেন আমি কানাডায় চলে এসেছি তার অনেক কারণ রয়েছে। একটি উন্নত দেশে আসার জন্য সবারই স্বপ্ন থাকে। প্রায় প্রত্যেকটি বাবা-মা ই চান সন্তানকে বিদেশে পাঠাতে সেটা উচ্চশিক্ষার জন্যেই হোক বা চাকরি র কারণেই হোক অথবা সুন্দর এবং নিরাপদ একটি দেশে বসবাস করার জন্যে ই হোক। আর কানাডার মত একটি সশৃংখল নিরাপদ দেশে আসা তো প্রায় সবারই স্বপ্ন থাকে। আমিও সেই স্বপ্নের বহির্ভূত নই। তারপরও শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশকে আরো অনেক কিছুই দেওয়ার ইচ্ছে ছিল। তবে আমার ১২ বছরের শিক্ষকতার জীবনে অনেক ছাত্র গড়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। আমার সর্বশেষ পোস্টটিতে অনেকের মতোই খন্দকার মোস্তফা কামাল আমাকে একটি কমেন্ট করেছিলেন তার রিপ্লাই দিতে গিয়ে রিপ্লাই টা এত বড় হয় যে রিপ্লাই হিসেবে সেটিকে পোস্ট করতে পারছিলাম না। ৮০০ অক্ষরের বেশি হলে রিপ্লাই ফেইল্ড হয় তাই এখানে পোস্ট করলাম যাতে অন্যান্যরাও যারা ভাবেন আমি শিক্ষকতা করে বাংলাদেশে আরো অবদান রাখতে পারতাম, কেন আমি কানাডায় চলে এসেছি? তাদের কৌতুহল মেটাতে আমার রিপ্লাই থেকে জেনে নিতে পারেন।
Khondker Mostafa Kamal আপনি বেশি বলে ফেলেননি তবে অনেক কিছু না জেনে আপনার মত করে আপনি বলে গেছেন, আপনার না জানারই কথা কারণ এগুলো আমার না বলা কিছু কথা, যার কারণে আপনার পক্ষে সবকিছু জানা সম্ভবও নয়। আসলে আমি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে কর্মরত অবস্থায় যখন এমফিল করছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগে তখন পরপর দুবার বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির জন্য এপ্লাই করেছি। (সঙ্গত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের পদে আবেদনের জন্য যে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন তা আমার ছিল। আমি এসএসসিতে স্টার মার্কস প্রাপ্ত এবং উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান এবং সম্মিলিত মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিলাম। অনার্স, মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাসসহ প্রথম স্থান অধিকার করেছি এবং এমফিল করেছি। আমার কিছু পাবলিকেশনও ছিল। ঐ সময়ে আমার চেয়েও কম যোগ্যতার মানুষকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, যেহেতু তারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং রাজনৈতিক দলের বড় বড় ব্যক্তিত্বদের সাহায্য নিয়েছিল। আমার শ্বশুর এবং শাশুড়ি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আমার শাশুড়ি ডক্টর সুলতানা বানু আমারই বিভাগের চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু নীতিগত কারণে আমরা কোন রাজনৈতিক দলের সাহায্য নেইনি। আমাদের সময়ে দলীয় সাহায্য ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা সম্ভব ছিল না। এরপর আর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করি এবং একইভাবে বঞ্চিত হই। এর দু বছর পর একটি সুনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এ এপ্লাই করি, সেখানেও একই অবস্থা। ওই সময়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের (আমি সঙ্গত কারণেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ভাইয়ের ছেলে আমার সঙ্গে একজন ক্যান্ডিডেট ছিলেন। আমার ইন্টারভিউতে সিলেকশনের পর ডেমোনস্ট্রেশনও হয়ে গিয়েছিল। ডেমোনস্ট্রেশনের পর সিদ্ধান্ত হলো আমি এক সপ্তাহের ভেতরেই জয়েন করছি। আমার বেতন কত হবে, আমার ক'টা থেকে ক'টা পর্যন্ত সপ্তাহে কতদিন ক্লাস নিতে হবে, চিটাগংয়ের ব্রাঞ্চে জয়েন করলে দ্বিগুণ বেতন পাবো, আরো অনেক সুবিধা পাবো ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনাও হয়েছিল। তারপর এক সপ্তাহ, দু' সপ্তাহ হয়ে গেল জয়েনিং লেটার আসছিল না। খোঁজ নিয়ে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেল সিলেকশনের পুরো প্রক্রিয়াটাই বাতিল করে দেয়া হয়েছে। কারণ ওই চেয়ারম্যান দেশের বাইরে ছিলেন এবং তিনি দেশে ফিরে জানলেন তার ভাইয়ের ছেলেকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। সে কারণে তিনি এই কাজটি করেছিলেন।
এখানে আরেকটি কথা বলি, প্রথমবার যে বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করেছিলাম সেখানে আমার বদলে যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল তাদের ব্রেক অফ স্টাডি ছিল এবং শিক্ষক হিসেবে তারা অনেক দুর্নাম কুড়িয়েছে। যে ছেলেটিকে নেওয়া হয়েছিল (আমি এখানে নাম উল্লেখ করছি না) তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির কেস হয়েছিল কোন এক ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জন্য। আর যে মেয়েটিকে নেয়া হয়েছিল সে আমারই সহপাঠী ছিল তার বিরুদ্ধেও ছাত্রী নির্যাতনের অনেক দুর্নাম রয়েছে। প্রশাসনিকভাবে তাকে চার্জশিট করা হয়েছিল কারণ সে একজন ছাত্রীকে সময় মত এসাইনমেন্ট জমা দেয়নি বলে মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণাগারে তালা বন্দী করে রেখেছিল। এই ধরনের শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল অথচ আমি মেধার দিক থেকেও তাদের চেয়ে যথেষ্ট যোগ্য ছিলাম এবং সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে আমি শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের সম্মান অর্জন করেছিলাম। এখনো ছাত্রীরা আমাকে ভালোবাসে এবং আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।
এবার বলুন যে দেশ মেধার মর্যাদা দেয় না, সম্মানী দেয় না সে দেশের কাছে কি আশা করতে পারি? কানাডায় বিদেশি কোম্পানি গুলোকে আমার মেধা এবং শ্রম দিয়েছি এবং তারা আমাকে সম্মানিত করেছে। হয়তো এখানকার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হইনি। এর পেছনেও কারণ ছিল আমার হাজবেন্ডের ব্রেইন স্ট্রোক এবং আমার সন্তান অনেক ছোট ছিল যার জন্য আমি পড়াশোনা শুরু করেও ছয় মাস পর অনেক ভালো রেজাল্ট করা সত্ত্বেও স্থগিত করতে হয়েছিল এবং সংসারের পুরো দায়িত্বটা আমাকেই নিতে তে হয়েছিল। যার কারনে আমি ছোট ছোট কিছু কোর্স করে নিয়েছিলাম এবং সেই অনুযায়ী চাকরি করেছি, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা হলো না। কিন্তু আমি যে চাকরিগুলো করেছি সেগুলো অনেক সম্মানের সাথেই করেছি এবং আর্থিকভাবে ও সফল হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এই দেশ যে কোনো শ্রমের মূল্য দেয়, সম্মান করে। আর শিক্ষকতার সঙ্গে একদমই যে নেই তা কিন্তু না। কানাডাতে আমি ডে কেআর এ শিক্ষকতা করেছি, এবং বর্তমানে এখানকার new Immigrants এর মধ্যে যারা ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না এবং কমিউনিকেশন করতে পারেনা তাদের ইংলিশ ও লিশকমিউনিকেশন স্কিল টিচার হিসেবে কাজ করছি।
এবার নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে অনেক কিছু পরিষ্কার হয়েছে।
ধন্যবাদ
আপনাদের জন্যে শুভকামনা
....ফেসবুক পাতা থেকে