a
ফাইল ছবি
সম্প্রতি বন্ধু ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাইডেনের ওপর কি স্যাংশন দিতে পারেন? যা মনে হয় প্রধানমন্ত্রী তাই বলেন।
খেয়াল করবেন, প্রায় অপ্রকৃতস্থ (একজনের) পাল্লায় পড়েছেন সেই দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনিও আরেক পাগল হয়েছেন— কা কা করতেই থাকেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পুরোনা পল্টনের কালভার্ট রোডে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে’ সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মান্না আরও বলেন, সে (ওবায়দুল) যাই করুক না কেন, ভদ্রলোক আমার একসময়ের বন্ধু ছিলেন, এখনো আছেন। একসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন করেছি। কেউ জিতেছি, কেউ হেরেছে সেটা অন্য কথা। উনি (কাদের) আজকাল এমন এমন কথা বলছেন, এসব শুনে মানুষ এখন হাসে।
কয়েক দিন আগে কাদের বললেন ‘তলে তলে আপস’ হয়ে গেছে। মানে কী? আপস করে কি স্যাংশন র্যারেব ওপর থেকে উঠে গেছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা কি ওঠে গেছে। বলছেন আপস হয়ে গেছে। আবার বলছেন, আমরাও স্যাংশন দেব। এগুলো বলতে লজ্জা করে না তার।
তিনি আরও বলেন, তারা বলল আমেরিকা ভারতকে ছাড়তে পারবে না। আর আমরা ভারতের সঙ্গে আছি। তা হলে আমার প্রশ্ন— ভারতের সঙ্গে থাকলেই যদি কাজ হয়, তা হলে বাইডেনের সঙ্গে কেন সেলফি তোলা লাগে? কেন বাইডেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে হয়— এটি আমার প্রশ্ন।
মান্না বলেন, কেন গ্রিন কার্পেট রেখে বাম পাশ দিয়ে সেলফি তোলার জন্য বাইডেনের কাছে গেলেন। কোনো একজন সরকারপ্রধানকে কেন বাধা দিতে হলো। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে দলটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।
এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মৎসজীবী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মোটর চালক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানায়।
রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা হয়। এতে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।
ফাইল ছবি
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি না পাওয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশ স্থগিত করেছে দলটি। তবে শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি।
আজ বুধবার রাত ৯টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে আগামী ২৮ জুলাই শুক্রবার-সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেলা ২টায় নয়াপল্টনে পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার কিংবা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান বাধা সৃষ্টি করবে না। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে আগামী শুক্রবারের (২৮ জুলাই) মহাসমাবেশ সফল করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
গত ২২ জুলাই তারুণ্যের সমাবেশ থেকে ২৭ জুলাই ঢাকা মহাসমাবেশের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তার জন্য নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জন্য অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দেওয়া হয়। ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি সেখানে সমাবেশে করতে অস্বীকৃতি জানায়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন