a আজ দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আজ দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১, ০৮:২৯
আজ দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে

ফাইল ছবি

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোট হচ্ছে মোট ৮৩৮ ইউপিতে। চারটির কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। একটির ভোট বাতিল করেছে ইসি। আর পাঁচটিতে সব প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে ২৬টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ঈদে ৬৫ লাখ মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন 


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ১৪ মে, ২০২১, ০৪:৩৮
ঈদে ৬৫ লাখ মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন 

ঈদুল ফিতরে এবার প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। দেশের একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবারের ঈদে প্রায় ৬৫ লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।

ওই মোবাইল কোম্পানির অপারেটর তাদের তথ্যভান্ডার ও কল প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এ হিসাব গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। সংখ্যাটি ‘ইউনিক ইউজার’ ধরে। এর মানে হলো, এক ব্যক্তির একাধিক সিম থাকা  সত্ত্বেও তাকে একজন গ্রাহক হিসেবেই গণ্য করা হয়েছে।

এর আগে (১২ মে) বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ৪ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত একটি হিসাব তুলে ধরে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন।

এতে তিনি লেখেন, করোনার সামনের দিনের সম্ভাব্য কিছু ভয়ংকরতার তথ্য তুলে ধরছি। গত ৪ থেকে ১১ মে পর্যন্ত ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে গেছে ৬০ লাখ ৭২ হাজার ১৭৮ জন মানুষ। এর মধ্যে গ্রামীণের সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৯২ জন। রবি সিম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৩ জন, বাংলালিংক সিম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৩ এবং টেলিটক সিম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮০৩ জন।

তবে মোবাইল ফোন বা ফোনের সিম ব্যবহার ধরে তৈরি করা এই হিসাবের আওতায় মুঠোফোন ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ ও শিশুদের হিসেব করা যায়নি। আবার এক ব্যক্তির একাধিক মোবাইল ফোন থাকতে পারে, সে ক্ষেত্রেও এই হিসাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য যে, এবার ঢাকা ছাড়ে যাওয়া মুঠোফোন গ্রাহকের সংখ্যাটি গত বছরের করোনা ঠেকাতে দেওয়া সাধারণ ছুটির সময়কার তুলনায় কম। করোনা সংক্রমণরোধে গত বছর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ মুঠোফোন ব্যবহারকারী মানুষ ঢাকা ছেড়ে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / Amin Hossain

আরও পড়ুন

ক্ষুদ্র-মাঝারিদের টিকে থাকাই দায়, সংবাদপত্র শিল্প উপেক্ষিত


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১, ১১:২০
ক্ষুদ্র-মাঝারিদের টিকে থাকাই দায়, সংবাদপত্র শিল্প উপেক্ষিত

ফাইল ফটো

করোনার প্রভাব যতই বাড়ছে, ততই উদ্বেগ বাড়ছে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা আবারও নতুন করে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার বিস্তার অব্যাহত থাকলে ক্ষুদ্র ও মাঝারিদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে।

ইতিমধ্যে প্রণোদনার নামে ঋণসুবিধা দেওয়া হলেও তা সবাই পায়নি। এমনকি সংবাদপত্রকে শিল্প বলা হলেও এই শিল্পের জন্য কোনো সুবিধাই ঘোষণা করা হয়নি। করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাবের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে সংবাদপত্রশিল্পে। করোনায় ঝুঁকি নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করলেও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ছিল উপেক্ষিত।

এখানকার কর্মীদের জন্য নতুন ওয়েজবোর্ডও আইনগত কারণে বাস্তবায়ন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলেন, সংবাদপত্রশিল্পের বিনিয়োগও কম নয়। করোনায় অন্যান্য খাতের মতো সংবাদপত্রশিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব খাতের সমস্যা সংবাদপত্রগুলো সামনে নিয়ে এলেও সংবাদপত্রের সমস্যা সমস্যাই রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদপত্রের কাঁচামালের দামও বেড়েছে। 

একইভাবে অসংগঠিত খাত, ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পসহ মাঝারি শিল্পগুলোও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত মাঝে পড়েছে। চাকরি হারিয়ে বেকার জনগোষ্ঠীও অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের হাতে টাকা নেই। বিশ্বের অপরাপর দেশ ব্যক্তি পর্যায়েও টাকা দিয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানকেও নগদ অর্থ দিয়েছে এবং দিচ্ছে। 

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, করোনার কষাঘাতে স্থবির অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সমাজের সবার হাতেই টাকার সরবরাহ থাকতে হবে। যেমনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও করা হচ্ছে। কারণ, শুধু উত্পাদকদের হাতে টাকা গেলে হবে না। উত্পাদিত পণ্য কিনবেন যিনি, তার হাতেও টাকা থাকতে হবে। নইলে পণ্য কিনবেন কে? উত্পাদক-ভোক্তা কাউকে এখানে খাটো করে দেখার কোন রকম সুযোগ নেই।

একইভাবে একজন চা-দোকানি থেকে শুরু করে মাঝারি উদ্যোক্তা পর্যন্ত—সবার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সবাইকে আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-ব্যবসা খাত শ্রমঘন। প্রচুর কর্মী এসব খাতে কাজ করেন। ফলে শুধু বড় উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা দিলেই অর্থনীতি ঠিক থাকবে এমন ধারণা ভুল। সব খাতকেই প্রণোদনার আওতায় এনে আর্থিক সহায়তা দিলে সব খাত যখন চাঙ্গা হবে, তখনই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। 

তদুপরি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভোগব্যয়ের ওপর অধিকতর নির্ভরশীল। ভোগব্যয় বাড়াতে হলে ক্রেতাশ্রেণির হাতে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বিশাল এক কর্মীবাহিনী। ইতিমধ্যে অনেকেই আয়ের সংস্থান না থাকায় শহর থেকে গ্রামমুখী হয়েছেন। সব দিক বিবেচনা করেই সরকারকে সুবিধা প্রদান করতে হবে।

এদিকে, অনেকেই ব্যাবসায়িক মন্দায় ব্যাংকের কিস্তি দিতে পারছেন না। অনেকে একটু নাড়াচাড়া দিলেও করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় ঝুঁকিতে পড়ে গেছেন। এ অবস্থায় ঋণ পরিশোধে সময় বর্ধিতকরণের দাবি জানিয়ে উদ্যোক্তারা বলেছেন, অতীতেও ক্ষেত্রেবিশেষে ঋণ পরিশোধে লম্বা সময় দেওয়া হয়েছিল। অনেক উদ্যোক্তাই এই সুবিধা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কিস্তি পরিশোধ করেছেন। ঋণ পরিশোধে সময়সীমা বাড়িয়ে দিলে উদ্যোক্তা যেমন বাঁচবেন, ব্যাংকও আটকা পড়বে না। ব্যাংকের বিনিয়োগের টাকা ফেরতে এটিই হতে পারে কার্যকর পদক্ষেপ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি প্রদানে শিথিলতা ছিল। পরে মার্চ পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে বাড়ানো হলেও সবাই এই সুবিধা নিতে পারেননি। তাই আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের সময় বৃদ্ধি করার জোর দাবি উঠেছে।

এই দাবিকে যৌক্তিক বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই সময়ে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে নমনীয় হতে হবে। ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিতে হবে, যাতে কলকারখানা চালু রাখা যায়। কর্মসংস্থান ঠিক রাখা যায়। সবকিছু কঠিন করে ফেললে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাতে করে প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা পূরণ হবে না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ