a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন (কাকরাইল মোড়, ঢাকা)
আপিল বিভাগ থেকে ‘আপাতত কোটা বাতিলের পরিপত্র বহাল রাখা’ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হলেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি থেকে সরছেন না, উপরন্ত কিছু কিছু জায়গায় ছাত্ররা আরও বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। কোটা সংস্কার চেয়ে রাজধানীসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া তাদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। দুপুর পৌনে ২টায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি থেকে তিনি এই ঘোষণা দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত চলবে। আমরা সব জায়গায় আমাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
এর আগে, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) দেন আপিল বিভাগ। ফলে আপাতত কোটা বাতিল করে দেওয়া পরিপত্র বহাল থাকবে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। যদিও এর পক্ষে-বিপক্ষে অনেক বিতর্ক রয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
চুনারুঘাটে কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কিশোর গ্যাং কর্তৃক ধারালো ছোরা কিংবা ক্ষুরের আঘাতে মর্মান্তিকভাবে আহত হচ্ছে সমবয়সী বন্ধু-বান্ধব বা জনসাধারণ।
জানা যায়, নূন্যতম কথা কাটাকাটি বা মতের অমিল হলেই দলবদ্ধভাবে আক্রমণ করে বসছে কিশোর গ্যাং। এই আক্রমণ টানা হেছড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মর্মান্তিক আঘাতে রক্ত ঝড়ছে অনেকের।
জানা যায়, গত কয়েকদিন পূর্বে চুনারুঘাট পৌর শহরের বাল্লারোডে প্রজেক্টরের পর্দায় বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা দেখতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় কিশোর গ্যাং। এতে ভয়াবহ রক্তারক্তির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আক্রমণকারী এবং আক্রমণের শিকার উভয়ই ১৮ বছরের কম বয়সী।
কিশোর গ্যাংয়ের দ্বারা তৎসময়ে আক্রমণের শিকার এক কিশোর মাথায় মর্মান্তিক চারটি আঘাত নিয়ে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আক্রমণের শিকার আরেক কিশোরের আঙুল বিশ্রীভাবে কেটে যায়, তাকেও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুশীল সমাজ ও স্থানীয় নাগরিকেরা। তারা কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
ফাইল ছবি:শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে লাগবে ২০২৫ সাল (দশম শ্রেণি পর্যন্ত)। ২০২৬ সালে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া শুরু করবে’।
সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। তবে এর বিভিন্ন দিক বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভ্যস্ত হতেও কিছুটা সময় লাগবে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পুরোটাই মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন ধরনের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে, মানে পরীক্ষার ভিত্তিতে। সূত্র: ইত্তেফাক