a
ফাইল ছবি
পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আবারও ধাক্কা দিয়েছে ফেরি। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে কাকলি নামে একটি ফেরি পিলারটিতে ধাক্কা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাকলির চালক মো. বাদল হোসেন। এসময় তিনি এ ঘটনায় কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও জানান।
তিনি আরও জানান, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরিটির র্যাম্পের একটু ক্ষতি হয়। এছাড়া আর কিছু হয়নি। পানির স্তরের উপরে থাকায় ফেরিতে পানিও ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনও ক্ষতি হয়নি। ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিয়ে নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে পেরেছি। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটলো। এর আগেও চার বার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি।
গত ৬, ২০, ২৩ জুলাই ১৭, ১৬, ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে এবং সর্বশেষ আজ আবার ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিলো। এসব ঘটনায় থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন ও ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে, দেশবাসীর প্রাণের পদ্মাসেতুর পিলারে বারবার ধাক্কা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর স্থায়ী সমাধানের দাবি সচেতন মহলের এবং এসব ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত তা ক্ষতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।
ফাইল ছবি
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) শুরু হয়েছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচন সিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচন মনিটরিং করছে ইসি।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে একযোগে স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে বড় এই নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা এই নির্বাচনের ভোটার। মূলত তারাই ভোট দিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন, সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬০৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার রয়েছেন ৬০ হাজার ৮৬৬ জন।
এর আগে, শনিবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২৭ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৬৯ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সূত্র: ইত্তেফাক
সংগৃহীত ছবি
তুরস্কের স্থলবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল উমিত ডুন্ডার রাওয়ালপিন্ডির গত সোমবার (৫ জুলাই) পাকিস্তানের চিফ অফ আর্মি স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেনা সদর দপ্তরে (জিএইচকিউ) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুইটি দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করা হয়।
সফররত তুর্কি জেনারেলকে গার্ড অব অনার দিয়ে পাকিস্তানে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়াও পাকিস্তান তুরস্কের সাথে তার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ বলে উল্লেখ করে জেনারেল কামার বলেন, 'এই সম্পর্ক আমাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্কের পাশাপাশি ইতিহাসের সাথেও গভীরভাবে জড়িত।'
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈঠকে দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা সহযোগিতার উপর বিশেষ জোর দিয়ে পারস্পরিক ও পেশাদার আগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উভয় পক্ষই বিশেষত প্রশিক্ষণ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করার ক্ষেত্রে সামরিক সম্পর্কে আরও বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছে। তুর্কি জেনারেল আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, তুর্কি জেনারেল প্রেসিডেন্ট ডক্টর আরিফ আলভীর সাথে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপরে প্রেসিডেন্ট তুর্কি স্থলবাহিনী কমান্ডার জেনারেল উমিত ডুন্ডারকে ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’ (সামরিক) পুরষ্কার প্রদান করেছেন। পাকিস্তান-তুর্কি সম্পর্ক জোরদারে তার ভূমিকাকে স্বীকৃতি জানাতে আইওয়ান-ই-সদরে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট আলভী বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তুরস্কের সাথে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদারের জন্য পাকিস্তানের দৃঢ়তা পুনর্ব্যক্ত করেন। সফরকারী কমান্ডারের সাথে আলাপকালে তিনি দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুরস্কের সাথে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিদ্যমান স্তরের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, উভয় দেশই অনুকরণীয় সম্পর্ক উপভোগ করেছে যা বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও বৃদ্ধি করা দরকার। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দুই দেশের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সামরিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
জেনারেল উমিত বলেন, অভিন্ন বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও ঐতিহাসিক যোগসূত্রের উপর ভিত্তি করে সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস থাকার কারণে পাকিস্তান ও তুরস্ক অবিচ্ছেদ্য। তিনি বলেন, তুরস্কের জনগণ পাকিস্তানিদের তাদের ভাই হিসেবে বিবেচনা করে এবং সব দিক বিশেষত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। তিনি প্রেসিডেন্টকে ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’ (সামরিক) পুরষ্কার প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন/বিডি প্রতিদিন