a আবারও পদ্মা সেতুর পিলারে কাকলি ফেরির ধাক্কা
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আবারও পদ্মা সেতুর পিলারে কাকলি ফেরির ধাক্কা


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ১৩ আগষ্ট, ২০২১, ১২:২১
আবারও পদ্মা সেতুর পিলারে কাকলি ফেরির ধাক্কা

ফাইল ছবি

পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আবারও ধাক্কা দিয়েছে ফেরি। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে কাকলি নামে একটি ফেরি পিলারটিতে ধাক্কা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাকলির চালক মো. বাদল হোসেন। এসময় তিনি এ ঘটনায় কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও জানান।

তিনি আরও জানান, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরিটির র‌্যাম্পের একটু ক্ষতি হয়। এছাড়া আর কিছু হয়নি। পানির স্তরের উপরে থাকায় ফেরিতে পানিও ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনও ক্ষতি হয়নি। ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিয়ে নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে পেরেছি। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটলো। এর আগেও চার বার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি। 

গত ৬, ২০,  ২৩ জুলাই ১৭, ১৬,  ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে এবং সর্বশেষ আজ আবার ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিলো। এসব ঘটনায় থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন ও ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

এদিকে, দেশবাসীর প্রাণের পদ্মাসেতুর পিলারে বারবার ধাক্কা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর স্থায়ী সমাধানের দাবি সচেতন মহলের এবং এসব ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত তা ক্ষতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চুয়াডাঙ্গায় গ্রামবাসীর হামলায় রক্তাক্ত ইউএনও


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২১, ১১:৪৭
চুয়াডাঙ্গায় গ্রামবাসীর হামলায় রক্তাক্ত ইউএনও

সংগৃহীত ছবি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিম লিংকন গ্রামবাসীর হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। 

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাটাপোল গ্রামে মাটিকাটা ট্রাক্টরের চাপায় ওহিদুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয় এবং তার ছেলে ইয়াসিন আলী (৭) গুরুতর আহত হওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিম লিংকন এলাকায় জনরোষের মুখে পড়েন। এরপর তার ওপর হামলা চালালে মাথায় আঘাত পান।

এলাকাবাসী তথ্য মতে, বারবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবৈধভাবে ফসলের জমি নষ্ট করে মাটিকাটা বন্ধ করার জন্য লিখিত আবেদন করলেও কোনো কর্ণপাত করেননি। পরবর্তীতে এ দুর্ঘটনা ঘটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তিনি জনরোষের মুখে পড়েন ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন।

এ ব্যাপারে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকনের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি। জীবননগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, এখন এলাকার পরিবেশ শান্ত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজ বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসার ভাল আছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পরিবারের সবাইকে হত্যা করে কাউন্সিলরকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি!


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১০:১৮
পরিবারের সবাইকে হত্যা করে কাউন্সিলরকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে ব্যাকমেইল করে ও হুমকি ধমকি দিয়ে এক মহিলা তাকে বিয়ের করার জন্য তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনকি তার স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল সেই নারী। 

শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে লাইভে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব অভিযোগ করেন কাউন্সিলর খোরশেদ। এ সময় তার পাশেই ছিলেন স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। লাইভের শেষের দিকে স্ত্রীও কথা বলেন এবং রাষ্ট্রের কাছে তার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান। 

ফেসবুক লাইভে খোরশেদ জানান, সাইদা শিউলি নামে ওই নারী ভয়ংকর চরিত্রের অধিকারী। তার সঙ্গে প্রশাসন ও উচ্চ মহলের বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের উঠাবসা। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও তিনবার বিয়ে করেছেন। ওই নারীর দুটি সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এবং এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশুনা করেন।
  
খোরশেদ বলেন, ‌‘আমি করোনার শুরু থেকেই করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিয়েছি ও সম্মুখে থেকে লডাই করে দাফন সৎকার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। একপর্যায়ে গত মে মাসে আমি ও আমার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হই। তখন অক্সিজেনের অভাবে আমার স্ত্রীকে একপর্যায়ে আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়। তখন একটি সংবাদের নিচে ওই মহিলা কমেন্ট করে জানান, তিনি অক্সিজেন দিতে চান এবং আমার সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেন। তখন থেকেই তিনি আমার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত হন এবং কথা বলা শুরু করেন।’

‘একপর্যায়ে আমি বুঝতে পারি তার মতলব ভিন্ন। আমি তাকে তখন দূরে সরাতে চেষ্টা করি এবং বোঝাই। এরপর তার ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেকেও আমি এসব ঘটনা জানাই, তখন সে আমাকে বলে তার মা হয়তো দুষ্টুমি করছে, এরকম কিছু সম্ভব নয়। কাজ হবে না বুঝে পরবর্তীতে নভেম্বর-ডিসেম্বরে তার ভগ্নিপতিকে জানাই। এতে তিনি আরও ক্ষুব্ধ হন এবং আমার পেছনে উঠেপড়ে লাগেন।’  

তিনি আরও বলেন, ‘সম্মানকে ভয় পাই বলেই এতদিন মুখ খুলিনি। আমি ধৈর্য ধরেছি। কারণ, আল্লাহ হয়তো একটি ফয়সালা করবেন। তবে দুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় দুটি পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে এ সংক্রান্ত নিউজ হওয়ায় আমি নিজেই বিষয়টি সবার কাছে বলতে এসেছি। আমার পাশে থাকার জন্য আমি আমি সাংবাদিক, আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও প্রতিপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ।’  

খোরশেদ বলেন, ‘২১ জানুয়ারির পর থেকে হোয়াটস অ্যাপে, ম্যাসেঞ্জারে, টেলিফোনে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন এবং হত্যার হুমকি জানাচ্ছেন ওই মহিলা। আমার পরিবারের সবাইকে মারাত্মক মানষিক অত্যাচার করছেন। সর্বশেষ আমার স্ত্রী ও সন্তান নকিবকে তুলে নিয়ে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেন। আমি এসব ঘটনায় শুরু থেকেই সরকারি সংশ্লিষ্ট সব দফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং অবহিত করেছি। বিভিন্ন ঘটনা ঘটার পর পরই তাদের অবহিত করা হয়।’  

তনি বলেন, ‘আমার বাড়ি একটি মরা বাড়ি হয়ে গেছে। একের পর এক লাশ দাফন করি। আবার আমার বাচ্চাদের থেকে এসব কারণে লুকিয়ে থাকতে হয়। ওদের জীবনের ভয়ে আছি আমি। আমার ছেলে মেয়ে আমার চিন্তায়, পারিবারিক অশান্তিতে অসুস্থ হয়ে গেছে। এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার কারণ কি? আমি এসব থেকে মুক্তি চাই আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে।’  

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষকে ব্যবহার করে তিনি আমাদের জ্বালাতন করতেন। এতদিন কষ্ট সহ্য করেছি, আর পারছি না। অনেকে লজ্জায় আমার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন না। আপনাদের কাছে এ ঘটনার বিচার চাই। সাংবাদিক ভাইরা লেখনি ও প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে আমাকে এ অবস্থা থেকে বাঁচান। আমি এ নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই। আমি আমার পরিবারের কাছেও ক্ষমা চাই এসব ঘটনায়।’  

কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডের সচিবকে ফোন দিয়ে বলেছেন, আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে ঐ মহিলা হত্যা করবে। আমার সাথে তার সব কথার রেকর্ড আছে। সাংবাদিকসহ যে কেউ চাইলে আমরা এসব রেকর্ডিং দেব। আমি আমার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তা চাই রাষ্ট্রের কাছে।’  

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ