a
সংগৃহীত ছবি
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দি স্থানে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১০ জন। অন্যদিকে, ভাঙ্গায় প্রাইভেটকার-মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আরও ২ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঝিনাইদহ থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন। আহত হয় মাইক্রোবাসের আরও ১৪ যাত্রী। তাদের মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও ৪ জন। সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় এখনো মেলেনি।
এদিকে, রবিবার ভোরে ভাঙ্গা সদরের চৌরাস্তা মোড়ে প্রাইভেটকার-মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় ১ জন। নিহতরা হলেন মোটর সাইকেলের আরোহী সাকিল খান ও নাইমুর রহমান। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
শেখ মো: আব্দুল কাদির কাজল
যুব ও কিশোররা সময় নষ্ট করে চলেছে- চায়ের ষ্টলসহ বিভিন্ন রকম খেলার আড্ডায়। তাদের পারিবারিক সমন্বয়হীতায়, হিরোইজম, অর্থের মোহ, প্রযুক্তির বেপরোয়া ব্যবহার, বেপরোয়া বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হয়ে পারিবারিক জীবনে মহাক্ষতির সম্মুখিন হতে যাচ্ছে।
দেশের যুব ও কিশোরদের প্রভাবশালীরা তাদের ভবিষ্যত নিয়ে না ভেবে তাদের ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে চলেছেন। দেশের বিভিন্ন গ্রাম্য হাটবাজার পরিদর্শনকালে যাহা চোখে পড়ে-চায়ের ষ্টলগুলিতে, ক্রাম বোর্ড, লুডু গুডির খেলায় (টাকা দিয়ে) আসক্ত হয়ে মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট করে। আবার এদের অনেকেই উচ্চ বিলাসী জীবন গঠনের লক্ষ্যে- চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা, ঠকবাজিসহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে।
হেরোইজমে জড়িয়ে পড়ার পেছনে দায়ী কিছু দেশদ্রোহী বিপদগামী ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক চক্র। দেশে এমন কোন সমাজ বা প্রতিষ্ঠান কিশোরদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সুন্দর আগামীর দিকে ঠেলে দেয়ার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছেনা।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে দেশ অনেক দূরে। ব্যক্তি কেন্দ্রীক নেতৃত্ব, পরিবারতান্ত্রিক কর্তৃত্ব বহাল তবিয়তে রাখতে- দেশের কিশোর ও যুব সমাজকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পারিবারিকভাবেও এরা নিগৃহিত কারণ অনেক অভিভাবকগণ তাদের সঠিক খোঁজখবর রাখতে না পারায় তারা বিপথে যাচ্ছে।
আজ গডফাদার নামে ব্যক্তিরা তাদের নিজস্ব বলয়ে এক বাহিনী গড়ে তুলে তারা প্রচলিত আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে, আবার অনেক ক্ষেত্রে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে তারা অন্যের সম্পদ জোরপূর্বক আত্বসাৎ করে ধরাকে সরাজ্ঞান করে সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।
এ প্রতিবেদনের লেখক আমি শেখ মো: আব্দুল কাদির কাজল। আমার জমিও জবর দখলকারীরা ভোগ বিলাস করে চলেছে যারা, তারা কি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য? ঐ এলাকায় কি নের্তৃবৃন্দের অভাব? অভাব নয়- কিন্তু জুলুমবাজরা সামাজিক সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা করছেনা। আমি ভদ্র শান্তিপ্রিয় এক সুনাগরিক ও একজন কলমসৈনিক। আমার পক্ষে লাঠিয়ালী, মোনাফেকী করা আদৌ সম্ভব নয়।
আমি আশরাফুল মাখলুকাত শব্দের অর্থ জানি, শ্রেষ্টত্বের বিসর্জন আমি কখনো দেইনি, দেবনা, দেয়ার সম্ভাবনাও নাই। নতুবা এসব পরসম্পদলোভী, কুখ্যাতদের বিরুদ্ধে সশস্র সংঘাতে যেতাম। আমার পরম শ্রদ্ধেয় পিতা তাঁর জীবদ্দশায় আমাকে সুপথে চলার, মানুষের কল্যাণে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। আমি আমার পিতার অতিবাধ্যগত এক সন্তান।
আমি এক পেয়ালা চাও কখনো সঙ্গী-সাথীদের ছাড়া পান করিনা। দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে, সত্য সুন্দর নিয়ে প্রকাশ প্রচার আমার পেশাগত দায়িত্ব। যুব-কিশোরদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তোলা, নষ্ট পথ থেকে ফেরাতে কাজ করা আমি দায়িত্ব হিসেবেই মনে করি।
অনেক কাজ করতে গিয়ে হয়তো কোন কাজে ভুল-ক্রুটি থাকতে পারে। তবে সমাজের সকল মানুষকে একত্রে করে সর্বদায় কাজ করার চেষ্টা করি, বিশেষ করে জনকল্যাণমূলক এবং জনবান্ধব কাজসমূহ।
এক্ষেত্রে, এই সমাজের ও রাষ্ট্রের কাছে আমারও দাবি রয়েছে। আমি নিরলসভাবে অন্যের কাজ করে যাচ্ছি। অথচ আমার সততা ও ভদ্রতার সুযোগে কিছু জবর দখলকারী ব্যক্তি আমার সম্পত্তি ভোগ-দখল করে খাচ্ছে। আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই সমাজের নিকট ও রাষ্ট্রের নিকট দাবি করে যাব বেআইনীভাবে জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া এবং আসল হকদার ব্যক্তি যেন তার সম্পত্তি ভোগ দখল করতে পারে তা নিশ্চিত করা।
ফাইল ফটো:
দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনের জেরুজালেম ও পশ্চিমতীরে বেপরোয়া আগ্রাসন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। ফিলিস্তিনে কর্মরত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ারস আন দ্যা প্যালেস্টাইন টেরিটরিসের (ওসিএইচএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে তাদের ভিটেমাটি দখল করার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে শুধু এ বছর তাদের জবরদখল বেড়েছে ৬৫ শতাংশ।
পশ্চিমতীর ও জেরুজালেমে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৫৩ ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ও স্থাপনা ধ্বংস করে ফেলে ইসরাইল। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর থেকে জোর করে রাস্তায় বের করে দিচ্ছে। তাদের পক্ষে কোন বাধা দিলে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা হত্যা করা হয়।
এসব এলাকায় নারী ও শিশুদের নিয়ে প্রচণ্ড শীতে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো।
দখলদার ইসরাইল আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি উপেক্ষা করে এসব জায়গাগুলোতে বাড়িঘর থেকে গত মাসে ১২৭ শিশুসহ ৩০৫ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করেছে।