a আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউন
ঢাকা বুধবার, ২ পৌষ ১৪৩২, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:৩১
আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউন

ফাইল ছবি

কোভিড–১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু এবং শনাক্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন আরও ১ সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জানান, চলমান পরিস্থিতির কারনে লকডাউন আরও ১ সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার (১৯ এপ্রিল ২০২১ইং) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শানুযায় সরকার দেশে আরও এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা করছে।
 
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ২০২১ ইং ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। লকডাউন ঘোষণা করে গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। লকডাউন পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়, তারমধ্যে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়।

চলমান লকডাউনে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ সংক্রান্ত অফিসগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রয়েছে। শিল্পকারখানা গুলো চলছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। তবে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু  বেড়ে যাওয়ায় সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

এরও আগে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ওই সময়ে গণপরিবহন, মার্কেট সীমিত সময়ের জন্য চালু রাখা হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পিঠে সিলিন্ডার ও মাকে নিয়ে অনিশ্চিত হাসপাতালের খুঁজে অসহায় ছেলে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৬:০৫
পিঠে সিলিন্ডার ও মাকে নিয়ে অনিশ্চিত হাসপাতালের খুঁজে অসহায় ছেলে

মায়ের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন ছেলে

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের হিরণ পয়েন্ট এলাকা। সেখানকার তল্লাশিচৌকিতে গতকাল শনিবার বিকেলে দায়িত্বরত ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদ টুটুল জানান, দুজন আরোহীর একটি মোটরসাইকেল আসতে দেখে থামার জন্য সংকেত দেই। কাছে আসতেই দেখতে পাই চালকের পিঠে বাঁধা অক্সিজেনের সিলিন্ডার। পেছনে বসে থাকা নারীর মুখে অক্সিজেন মাস্ক। তাৎক্ষণিক তাঁদের এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দেন।

এমন সময় পথচারীদের কেউ দৃশ্যটি মুঠোফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন। দ্রুতই সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, মুমূর্ষু মাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে মোটরসাইকেলে এভাবেই ১৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন জিয়াউল হাসান নামের সেই যুবক।

জিয়াউল হাসানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা এলাকায়। তাঁর মা নলছিটি বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহেনা পারভীন (৫০) দশ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার নমুনাও দেন। কিন্তু প্রতিবেদন পাননি। 

এর মধ্যেই গতকাল সকালে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। কষ্ট কমাতে একটি সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে আনেন তরুণ ব্যাংক কর্মকর্তা ছেলে জিয়াউল হাসান। লাগানো হয় সেটি। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্টও তা বাড়তে থাকে রেহেনা পারভীনের। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না জিয়াউল।

এরপর মাকে বরিশালের হাসপাতালে আনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্য যানের খোঁজ করেন কিন্তু পাচ্ছিলেন না। নিরুপায় হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে মাকে হাসপাতালে আনার সিদ্ধান্ত নেন। পিঠের সঙ্গে শক্ত করে বাঁধলেন অক্সিজেন সিলিন্ডারটি। এরপর মাকে পেছনে বসিয়ে তাঁর মুখে পরানো হলো অক্সিজেন মাস্ক। এভাবে ১৮ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মাকে নিয়ে পৌঁছান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পাশে আরেকটি মোটরসাইকেলে ছুটছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট ভাই রাকিব। বর্তমানে তাঁদের মা করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

রেহেনা পারভীনের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে মাঝেমধ্যে অক্সিজেন লেভেল ওঠানামা করছে বলে গণমাধ্যমকে জানালেন জিয়াউল হাসান। তিনি বলেন, ‘শনিবার মা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অক্সিজেন লেভেল ৯৪-৯৩ নেমে যাচ্ছে। দুপুরে দেখলাম মায়ের অক্সিজেন শেষ হয়ে আসছে। সে জন্য ভাবলাম ঝুঁকিটা নেওয়া ঠিক হবে না।’

কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠি সদর শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিয়াউল বলেন, ‘মোটরসাইকেলে না এসে আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। আমাকে যে যেতেই হবে। দৌড়ে যেতে পারব না। চেষ্টা করেও কিছু করতে পারিনি। শেষে আমার গায়ের সঙ্গে গামছা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে নিয়ে এসেছি। আমি বুঝতে পারছিলাম মায়ের কষ্ট হচ্ছে। আমি তখন মাকে একটি কথা বলেছিলাম, উপায় নেই মা। আমার মায়ের কষ্ট হচ্ছিল, তা আমি সহ্য করতে পারিনি।’
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

তেলের লরির ট্যাংকে পাওয়া গেল গাঁজা!


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১, ১০:৩৮
তেলের লরির ট্যাংকে পাওয়া গেল গাঁজা!

ফাইল ছবি

জ্বালানি তেল সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হয় ঢাকা মেট্রো ল-২৯৭৪ নম্বরের লরিটি। তবে বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, লরির ট্যাংকির ঢাকনা খুলে জ্বালানি তেলের পরিবর্তে পাওয়া যায় ট্যাংক ভর্তি অনেকগুলো বস্তা স্কস্টেপ দিয়ে পেঁচানো এসব চটের বস্তায় রয়েছে গাঁজা। 
যার পরিমাণে ৩৬ কেজি।
 
অপরদিকে ইয়াবা আনা হচ্ছে প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারের বিশেষ কায়দায়। বুধবার (২৩ জুন) পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।

যে  পাঁচজন গ্রেফতার হলেন- মো. রিগান খাঁন (২৭), মো. জনি খান (২৫),  মো. জাকির হোসেন  (২৪), মো. খোকন মৃধা (২৬) ও মো. হৃদয় শিকদার (২১)।
 
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ডিবি গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম সাকলায়েন সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম সাকলায়েন বলেন, দেশের সীমান্তবর্তী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে তা ঢাকায় আনতে পুরোনো কৌশলগুলোকে নতুনভাবে ব্যবহার করছে মাদককারবারিরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে ট্রাক-লরি, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, যানবাহনের তেলের ট্যাংক-গ্যাসের সিলিন্ডারে করে আসছে ইয়াবা, গাঁজা ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদক।

গোলাম সাকলায়েন আরও বলেন, এমন দুটি অভিনব কায়দায় মাদক বহনকালে গাঁজা ও ইয়াবাসহ ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ডিবি গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম সাকলায়েন সাংবাদিকদের জানান, কতিপয় মাদককারবারি কক্সবাজার থেকে ঢাকা হয়ে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে অভিনব কৌশলে প্রাইভেটকারের মধ্যে ইয়াবা নিয়ে আসছে এমন খবর পেয়ে বুধবার যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশিকালে নম্বরবিহীন প্রাইভেটকারসহ জনি খান ও হৃদয় শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়।

গোলাম সাকলায়েন বলেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিদের দেখানো মতে প্রাইভেটকারের পেছনের ব্যাক ডালায় সংযুক্ত খালি গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতর থেকে বিশেষ কায়দায় পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

একই দিন বিকেলে অন্য এক অভিযানে শেওড়া বাসস্ট্যান্ড বটতলা থেকে জ্বালানি তেল বহনকারী ট্যাংক লরির মধ্যে ৩৬ কেজি গাঁজা বহনকালে রিগান, জাকির ও খোকনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা এ বিপুল পরিমাণ গাঁজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে আসছিলো বলেও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম সাকলায়েন।

ডিবি গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম সাকলায়েন জানান, গ্রেফতার আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - সারাদেশ