a
ফাইল ছবি
সরকারি ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়া ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবশেষে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন জেলা প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় বাস করেন বৃদ্ধ ফরিদউদ্দিন আহমেদ। কিছুদিন আগে ফরিদউদ্দিন আহমেদ সরকারি হটলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সহায়তা পাননি বরং তাকে জরিমানা হিসেবে ১০০ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হয়েছিলো।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন গতকাল রবিবার সকালে জানিয়েছেন বয়োজ্যেষ্ঠ ফরিদউদ্দিনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ডিসি বলেন, ফরিদউদ্দিনের পরিবারের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রথমে খবর বের হয়েছিল তিনি একজন বাড়িওয়ালা হয়েও ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন এজন্য তাকে জরিমানা করা হয়েছিল এতে তিনি অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরে বিষয়টির সত্যতা খুজে বের করে তাদের যে পরিমাণ খরচ হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আজ সোমবারের মধ্যেই সেসব ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আছে ১৬ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী ছেলে, স্নাতক পড়ুয়া মেয়ে ও স্ত্রী। জানা যায়, তিনি এক সময় হোসিয়ারি কারখানায় কাটিং মাস্টার হিসেবে কাজ করতেন। তিনবার ব্রেনস্ট্রোক করার পর এখন কাজ করতে পারেন না। এখন মাসে মাত্র আট হাজার টাকা বেতনে সেই কারখানাতেই শ্রমিকদের দেখবালের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান করোনাকালীন মহামারিতে সংকটে পড়ে নিরুপায় হয়েই জাতীয় কলসেন্টারের ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন তিনি। ওই কলই তার জীবনে কাল হয়েছিল।
সরকারি সহায়তার আশায় তিনি কল করেছিলেন ওই নম্বরে। কিন্তু সহায়তা তো পাননি, উল্টো তিনি চারতলা ভবনের মালিক এমন তথ্যের কারণে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে তাকে। স্থানীয় লোকদের থেকে ধার করে তিনি জরিমানা পরিশোধ করেছিলেন বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরার নির্দেশে তাকে ১০০ জনের মধ্যে চাল, আলু, ডাল, লবণ ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে হয়েছিলো।
চোখের জলই যেন এখন আছমা বেগমের একমাত্র সম্বল। এবারের কঠোর লকডাউনে অভাবের তাড়নায় আছমা বেগম রাজধানীর রাস্তায় মাস্ক বিক্রি করা শুরু করেছেন, এর আগে তিনি গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
কিন্ত আছমা আগে যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেই বাড়ির মালিকের চাকরি চলে যাওয়ায় তারাও এখন গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। আর তাই আছমা বেগম কঠোর লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়ে।
তিন সন্তানের জননী। স্ট্রোক করার পর থেকে স্বামী এখন পর্যন্ত কোন কাজ করতে পারে না। আছমার কাজের টাকা দিয়েই তাদের সংসার চলতো। তাই তিনি মানিকনগর তার বাসা থেকে একটি কাজের সন্ধানে বের হয়েছিল। কিন্ত এ কঠোর লকডাউনে কোন কাজের ব্যবস্থা করতে না পেরে মাস্ক বিক্রির কথা ভাবেন। দোকানে গিয়ে তিনি দেখেন এক বক্স মাস্ক কিনতে লাগে ১১০ টাকা অর্থাৎ এক প্যাকেট মাস্কের দাম ১১০ টাকা। কিন্তু আছমার কাছে ছিল মাত্র ৯০ টাকা। এক প্রকার আকুতি-মিনতি করেই তিনি এক প্যাকেট মাস্ক কিনে বিক্রি শুরু করেন সন্তানদের মুখে দু'মুঠো খাবারের ব্যবস্থা করতে।
ফাইল ছবি
এই প্রথম ইউরোপীয় কোনো রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদ জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড সরকার। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সহিংসতার প্রতিবাদে সংসদে একটি প্রস্তাবে পাস করেছে দেশটির সরকার। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
জানা গেছে, প্রস্তাবটি পাস হলে সেখানে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং ইসরায়েলের ওপর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা হতে পারে।
আর এক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডই হবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্রটি পশ্চিম তীরে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে।