a গাজীপুর এলিগ্যান্ট ওয়াশিং প্লান্টের হেড অফ ওয়াশ এন্ড অপারেশন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনাব নজরুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে মতবিনিময় সভা
ঢাকা বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩২, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

গাজীপুর এলিগ্যান্ট ওয়াশিং প্লান্টের হেড অফ ওয়াশ এন্ড অপারেশন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনাব নজরুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে মতবিনিময় সভা


মনির, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:৫২
গাজীপুর এলিগ্যান্ট ওয়াশিং প্লান্টের হেড অফ ওয়াশ এন্ড অপারেশন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনাব নজরুল ইসলাম স্য

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের  ডেমরা গেন্ডারিয়া উপজেলার সাবেক  যুবদলের নেতা, সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদের বিশস্ত সহচর গাজীপুর এলিগ্যান্ট ওয়াশিং প্লান্টের হেড অফ ওয়াশ এন্ড অপারেশন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনাব নজরুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়।

স্যার শ্রমিক কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং তিনি দেশ নায়েক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আহবান জানান। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সেকশনের শ্রমিক-কর্মচারী বৃন্দ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জামালপুর সরিষাবাড়ীতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলায় ৬ পুলিশ আহত


মাসুম, জামালপুর প্রতিনিধি:
শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০২২, ০৬:৪৪
জামালপুর সরিষাবাড়ীতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলায় ৬ পুলিশ আহত

ফাইল ছবি

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার রোধে পুলিশ এগিয়ে গেলে উচ্ছৃংখল ব্যক্তিরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ৬ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। শুক্রবার তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি থানায় জিডি করেন। এ ঘটনায় সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন ওইদিন রাতভর তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় আতশবাজি করে। শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় পুলিশ পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের মো. আব্দুল মজিদের ছেলে মো. বিদ্যুৎ হোসেন (২০) ও কান্দারপাড়া গ্রামের দানেশ মণ্ডলের ছেলে মোর্শেদকে (৪০) আটক করে। এতে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলে দেয়ালের উপর দিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ, এসআই শফিউল আলম সোহাগ, এসআই সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান আহত হন।

তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান, একাধিক মামলার আসামি মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০ থেকে ৭০ জন লোক সকাল থেকে কারখানা এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। মোর্শেদকে আটক করা হলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দেশ গঠনে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে না উঠলে জাতির ভবিষ্যৎ অচিরই সংকটে পড়বে


কর্নেল(অব.) আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ০৪:৫৩
দেশ গঠনে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে না উঠলে জাতির ভবিষ্যৎ অচিরই সংকটে পড়বে

ছবি সংগৃহীত

 

সংকট জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে সমান গুরুত্বপূর্ণ। সংকট সমাধানের জন্য তার মূলসূত্র জানা অপরিহার্য। যদি সংকটের প্রকৃত কারণ বোঝা না যায়, তাহলে ব্যক্তিগত বা জাতীয়—কোনো ক্ষেত্রেই কার্যকর সমাধান সম্ভব নয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই নানা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে ভুগছে।  

আমাদের জাতীয় সংকটের শেকড় মূলত রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্বলতায় নিহিত। দেশভাগের আগের সময়টিতে আমাদের ভাগ্য ভালো ছিল যে কিছু উজ্জ্বল মুসলিম নেতা পেয়েছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দেশভাগের পর সঠিক নেতৃত্বের অভাব দেখা দেয়।  

পাকিস্তান শুরু থেকেই তীব্র নেতৃত্ব সংকটে পড়েছিল। প্রথমত, প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুর পর দেশটি গভীর সংকটে পড়ে। এরপর লিয়াকত আলী খানের হত্যার মাধ্যমে পাকিস্তান নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে। পাকিস্তানের সেই দুর্বল অবস্থার সুযোগ নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে খাজা নাজিমুদ্দিন নেতৃত্বে এলেও তার মৃত্যুর পর সংকট আরও গভীর হয়। চৌধুরী মোহাম্মদ আলী (বগুড়া) এবং পরে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন, কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হয়, যা ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের পতনের মাধ্যমে শেষ হয়।  

পূর্ব পাকিস্তান থেকে তিনজন প্রধানমন্ত্রী আসলেও আমাদের জনগণ তখনো রাজনৈতিক বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছিল। যদিও পাকিস্তান তখন 'উন্নয়নের দশক' পার করছিল, কিন্তু একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক চর্চা ধ্বংস হয়েছিল, যা জাতীয় ঐক্যের ব্যর্থতার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  

দুর্বল নেতৃত্ব ও সামরিক শাসনের সুযোগ নিয়ে ভারত তার পূর্ব পাকিস্তানি এজেন্টদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ছিল ভারতীয় রাজনৈতিক সংযোগের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ, যা স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব নিজেই স্বীকার করেছিলেন।  

নিঃসন্দেহে, বাংলাদেশের জন্ম ভারতীয় কৌশলগত রাজনীতির ফল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভারত পূর্ব পাকিস্তানে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা শুরু করেছিল। যদিও আমরা একাত্তরে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতীয় রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছি। এখন ভারত ১৯৭১ সালের বিজয়কে তার নিজের জয় হিসেবে তুলে ধরতে চায়।  

ভারত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে শুরু থেকেই নিজের উপর নির্ভরশীল করার চেষ্টা করেছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে ভারতের উপনিবেশে পরিণত করা এবং আমাদের নেতৃত্ব তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলো—বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্বল করা। ভারত এতে সফল হয়েছে, আমাদের নেতৃত্বকে কার্যত শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।  

আমাদের দুর্ভাগ্য যে, দূরদর্শী ও যোগ্য নেতৃত্ব এখনো আমরা পাইনি, ব্যতিক্রম শুধু জিয়াউর রহমান। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতি বুঝতে পেরেছিলেন এবং একটি টেকসই রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-কেন্দ্রিক জাতীয় রাজনীতির অবসান ঘটে।  

১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে আমরা নেতৃত্ব সংকটে ভুগছি। গত চার দশকে সমাজের জন্য যোগ্য নেতাদের তৈরি করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি, এমনকি বিএনপিও তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।  

বর্তমানে আমাদের জাতীয় জীবন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে প্রকৃত পেশাদার নেতৃত্বের অভাব সর্বস্তরে দৃশ্যমান। গত সরকার কৌশলে সমাজের সব স্তর থেকে নেতৃত্ব বিকাশের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগকে দিয়ে একটি পারিবারিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যা শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে।  

২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর নতুন পরিবেশে আমরা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। প্রথমত, এই বিপ্লবের কিছু অংশগ্রহণকারী বিপ্লবের চেতনাকে অগ্রাহ্য করছে। বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন এবং নবগঠিত এনসিপি (NCP) গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয়গুলোর—বিশেষ করে নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্যে আসতে পারছে না।  

তারা জাতীয় স্বার্থের পরিবর্তে দলীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। অথচ জুলাই বিপ্লবে ছাত্ররা অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে, যা ইতিহাস কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।  

তবে নেতৃত্বের জন্য শুধু আবেগ নয়, অভিজ্ঞতাও জরুরি। অল্পবয়সী ছাত্ররা এখনো রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট পরিপক্ব নয়। তাদের ধাপে ধাপে রাজনীতি, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আমরা তাদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারি না, কারণ এটি কোনো পরীক্ষার বিষয় নয়। তাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং প্রকৃত নেতা হয়ে উঠতে হবে।  

আমাদের সমাজের নেতৃত্ব সংকট দূর করতে হলে সুপরিকল্পিত নেতৃত্ব তৈরির কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু শেখ হাসিনা তার ভারতীয় প্রভুদের সহায়তায় ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছেন।  

জনপ্রশাসনের কোনো খাতই তিনি অক্ষত রাখেননি। যদি নেতৃত্ব বিকাশের জন্য জরুরি সংস্কার না করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ তার সার্বভৌমত্ব ধরে রাখতে পারবে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে, যা তাদের স্থানীয় দোসরদের সহায়তায় ভারত অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে।  

যোগ্য ও মেধাবী মানুষ ছাড়া আমাদের পক্ষে এই বিশাল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে টিকে থাকা অসম্ভব। ভারতের সমাজে মেধাবী ও দক্ষ মানুষের অভাব নেই। শুধু আবেগ ও বড় বড় কথা বলে এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।  

আমরা এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিতে পারিনি, অথচ নেতৃত্ব সংকট এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের হাতে সময় খুবই কম। এখনই যদি নেতৃত্ব গঠনের ওপর গুরুত্ব না দিই, তাহলে জাতির ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে।


লেখক: ড. শেখ আকরাম আলী
কলাম লেখক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ