a
ফাইল ছবি
আগামীকাল রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকামুখী পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি।
গাজীপুরের সালনা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্লোথ গতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে ঢাকামুখী ময়মনসিংহ অঞ্চলের গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা পরিবহন মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান।
এর আগে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ নিরসনে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছিল ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজ ও ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি। এজন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল আল্টিমেটাম। বেধে সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে রবিবার ভোর থেকে বন্ধ হচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকামুখী সকল যানবাহন।
তাই আগামীকাল রবিবার থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল) যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানা ঈদুল আজহার ছুটি ঘোষণা করায় পোশাক শ্রমিকদের বড় একটি অংশই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সাভারে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেডসহ শাখা সড়কে প্রায় ২৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
পাশাপাশি গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। শুক্রবার সকালে সাভারে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেডসহ শাখা সড়কগুলোতে এরকম দৃশ্য চোখে পড়ে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এরই মধ্যে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আশুলিয়ার কারখানাগুলোতে। তাই বাসস্ট্যান্ডগুলোতে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কেউ আবার বাসের অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছিলেন। কেউবা চলতি গাড়িতেও নানা ঝক্কি-ঝামেলা ঠেলে ওঠে যাচ্ছেন। তবে, যাত্রীর তুলনায় অপ্রতুল গণপরিবহন। তাই অনেকেই ট্রাক ও পণ্যবাহী গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
অপরদিকে, সাভারের চারদিকে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। তিনটি সড়কের ২৭ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে যানবহনের জটলা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ঘরমুখো মানুষ। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের দুই লেনে পল্লীবিদ্যৎ এলাকা থেকে জিরানী পর্যন্ত আট কিলোমিটার যানজট। এছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে বাইপাইল থেকে জামগড়া ও ধাউর থেকে আশুলিয়া বাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার যানজট।
অন্যদিকে, ঢাকা-আরিচা মহাড়কে গাড়ির চাপ না থাকলেও গাবতলী থেকে ৭ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান, অরেগনসহ বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে ভারী তুষারপাত হয়েছে। তুষারপাতের কারণে এসব এলাকার কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন পার করছে। বাতিল করা হয়েছে হাজার হাজার ফ্লাইট। আবার কয়েক হাজার ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে। কিছু প্রধান সড়কেও চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
গতকাল শুক্রবার তুষারপাতের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে সবচেয়ে খারাপ মাত্রার তুষারপাত শুর হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় এখন হাঁটু পর্যন্ত বরফ। টেলিভিশনে আবহাওয়ার সংবাদ উপস্থাপকদের সেই পথ পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।
এপির খবর, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকায় ভারী তুষারপাত ও বৃষ্টি হয়েছে। মিশিগান অঙ্গরাজ্যেও তাপমাত্রা হিমাঙ্কে। সেখানে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।
মিশিগানের প্রায় ১০ লাখ ঘরবাড়ি অন্ধকারে নিমজ্জিত। প্রধান সড়ক, মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। ফ্লাইটঅ্যাওয়ার ডটকম বলেছে, গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ২০০-এর বেশি ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ১৭ হাজারের বেশি ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে।
জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা সতর্কতা জারি করে বলেছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় আজ শনিবারও তুষারপাত হবে। সিয়েরা নেভাদা ও ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত তুষার পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
মিশিগানে ৮ লাখ ২০ হাজার বাসিন্দা অন্ধকারে রয়েছে। আগামীকাল রোববারের মধ্যে বিদ্যুৎ–সংযোগ সচল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংযোগকারী প্রধান সড়কগুলো তুষারপাতের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। কখন এগুলো চলাচলের উপযোগী হবে, তা বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে বিদ্যুতের লাইনগুলো নিচে নেমে এসেছে। এতে ক্যালিফোর্নিয়ার এক লাখের বেশি মানুষকে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। অরেগন অঙ্গরাজ্যেও তুষারপাত হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো