a
ফাইল ছবি
আগামীকাল রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকামুখী পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি।
গাজীপুরের সালনা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্লোথ গতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে ঢাকামুখী ময়মনসিংহ অঞ্চলের গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা পরিবহন মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান।
এর আগে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ নিরসনে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছিল ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজ ও ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি। এজন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল আল্টিমেটাম। বেধে সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে রবিবার ভোর থেকে বন্ধ হচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকামুখী সকল যানবাহন।
তাই আগামীকাল রবিবার থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল) যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ঈদ করতে স্রোতের মতো রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। দুই বছরের করোনাকাল শেষে এবারের ঈদুল ফিতরে ১ কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটির বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এ ছাড়া এক জেলা থেকে অন্য জেলায় আরও প্রায় ৫ কোটি মানুষ যাতায়াত করবে। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও ১ কোটি ১৫ লাখ মানুষ ঈদের সময় বাড়ি গিয়েছিল।
ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় গড়ে প্রতিদিন ১৬ লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়ছে। মানুষ ঈদ উদযাপনে সড়ক, রেল ও নৌ পথের মতো আকাশ পথেও যাচ্ছে। পথের ভোগান্তি কমাতে আকাশপথে ভরসা রাখছেন সামর্থ্যবানেরা। এয়ারলাইনসগুলো বলছে, এবার ঈদ সামনে রেখে আকাশপথে রাজধানী ছাড়ছেন ৪০ হাজারের মতো মানুষ। মূলত ২৮ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত এ চার দিনকে ধরা হচ্ছে ঈদযাত্রা। শুধু এ চার দিনেই আকাশপথে ঢাকা ছাড়ছেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার।
ঈদযাত্রা কেন্দ্র করে প্রথম দফায় গার্মেন্টস ছুটি হলেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে কোথাও যানজট দেখা যায়নি। ঈদে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে ঈদের আগে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের জন্য লেন বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মোটরসাইকেলের জন্য করা হয়েছে দুটি লেন। এর পরও সেতুর পুর্ব প্রান্তের গোলচত্বর থেকে টোল প্লাজা পর্যন্ত মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ঈদ ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে। ৩০ এপ্রিল ভোর থেকে এ দুই ঘাটে বাড়িফেরা মানুষ আসতে শুরু করেন; বেলা বাড়লে লোকজনের ভিড়ও বাড়তে থাকে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি পড়ায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছুটছে লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলো। আর ফেরিতে চাপ থাকায় ঘাট এলাকায় বড় হয়েছে গাড়ির লাইন।
সদরঘাটে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রীর চাপ না থাকলেও শেষ বিকালে ঘাটে ভিড় করেন যাত্রীরা। সদরঘাটে পৌঁছাতে বিকাল থেকে যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এদিকে বৈরী আবহাওয়া ও কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
পাটুরিয়ায় যাত্রীর ঢল : মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীর ঢল নেমেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জড়ো হচ্ছেন লোকজন। সবার একটাই আশা- প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করা। ঘাটে একটু দেরি হলেও দূরপাল্লার যাত্রীরা স্বচ্ছন্দেই ফেরিতে উঠে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ বাসের যাত্রীরা পড়েছেন মহাবিপাকে। এসব বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘাট থেকে ১ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে ঘাটে যাওয়ার কোনো যানবাহন নেই। নেই কোনো ধরনের রিকশা-ভ্যান। বাধ্য হয়েই লোকজন হেঁটে লঞ্চ ও ফেরিঘাটে যাচ্ছেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে মানুষের ভিড় : ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভিড় করেছেন শত শত মানুষ।
সাভারেও মহাসড়কেও ছিল যানজট : ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কসহ সাভার অংশের সড়কগুলোয় সকালে গাড়ির চাপ তেমন একটা না থাকলেও রাতে যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কগুলোয় সকালে বেশ ফাঁকাই দেখা গেছে। আর দুই দিন পর ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ।
থেমে থেমে যানজট : বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। এতে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপের কারণে মহাসড়কে কখনো যানজট, কখনো ধীরগতিতে চলেছে গাড়ি। ফলে বিপাকে রয়েছেন চালক ও যাত্রীরা। গতকাল সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের মুলিবাড়ী, কড্ডা, কোনাবাড়ী, পাঁচলিয়া ও নলকা মোড় পর্যন্ত ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহন চলেছে ধীরগতিতে।
ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে : স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে গ্রামে ছুটছে হাজার হাজার মানুষ। ফলে গাড়ির চাপ ও ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে সড়ক-মহাসড়কে। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সকাল থেকেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বৃদ্ধি পায়। চন্দ্রায় যানবাহনের তুলনায় ঘরমুখো মানুষের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। ঘরমুখো মানুষের তুলনায় যাত্রীবাহী বাসের স্বল্পতা ও ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণে অনেককেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপে চড়ে যেতে দেখা গেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছে। তবে গাজীপুরের বিভিন্ন বাসস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
কুমিল্লা অংশে স্বস্তির ঈদযাত্রা : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঘরমুখো মানুষের চলাচলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ গাড়ির চাপ বাড়লেও আজ নেই কোনো যানজট। এবারের ঈদে লম্বা ছুটির কারণে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে লাখ লাখ মানুষ। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের প্রত্যাশা ভোগান্তিহীন বাড়ি ফেরা।
ঘাটে মোটরসাইকেলের চাপ বেড়েছে : মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে সকাল থেকে শত শত মোটরসাইকেল পার হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে মোটরসাইকেলের চাপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে বিশৃঙ্খলা এড়াতে একটি ঘাট শুধু মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
টানা ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা : লম্বা ছুটি পেয়ে নাড়ির টানে যান্ত্রিক নগরী ঢাকা ছাড়ছেন কর্মব্যস্ত মানুষ। ফলে যানজটের নগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। ঢাকার চিরাচরিত সেই যানজট এখন দেখা যাচ্ছে না। যানজট না থাকায় মানুষ সহজেই ঢাকার মহানগরীর মধ্যে যাতায়াত করতে পারছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউন দেওয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বৃহস্পতিবার কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মােহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে কোভিড-১৯ রােগের বিশেষ ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। ইতােমধ্যে এর প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশাের্ধ্ব জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। এটি প্রতিরােধে খণ্ড-খণ্ডভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযােগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা হলো, কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরােধ করা সম্ভব নয়।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলােচনা হয়েছে। তাদের মতামত অনুযায়ী, যে সব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন’ প্রয়ােগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে রােগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া এবং জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরােধের জন্য কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ 'শাটডাউন' দেওয়ার সুপারিশ করছে।
জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়ােজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য সভায় তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এ রােগ থেকে পূর্ণ মুক্তির জন্য ৮০ শতাংশের ঊর্ধ্বে মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়ােজন।
বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা এবং নিজস্ব টিকা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়।