a
ছবি :মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরো জেলা মাদকে সয়লাভ হয়ে উঠছে। দেশের মানুষ এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে চেনে মাদকের আখড়া হিসেবে। আর মাদকের মাতৃভূমি হিসেবে ইতিমধ্যে আখ্যা পেয়েছে এই জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন।
গত ১২ই এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে মাদক বিরোধী অভিযানে প্রায় ৫০৩ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ, ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় এবং কুখ্যাত ও চিহ্নিত ১২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। জেলার বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ২৫ বিজিবি সিঙ্গারবিল বিওপি'র সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স টীম বিজয়নগরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে ১২ কুখ্যাত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিদিন বিকেলে ও সন্ধ্যার সময় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল যোগে অনেক যুবক শ্রেণীর মানুষ নলগড়িয়া গ্রামে আসে। তারা ফেন্সিডিল, নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ ও গাঁজা সেবন ও ক্রয় করতে আসে। এলাকার রাস্তার পাশের বাগান এবং পবিত্র কবরস্থানে খাবার পর খালি বোতল ফেলে রেখে চলে যায়। এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বহিরাগত মাদক সেবীদের কারনে। কিন্তু প্রশাসন একদম নিরব ভুমিকা পালন করছেন। অনেকেই মনে করছেন প্রশাসনের নাকের ডগায় চড়ে কিভাবে মাদকসেবীরা দিনের পর দিন এই কাজ করতে পারে?
এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কোন পোস্টার বা ব্যানার লাগানো যায় না। রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিজয়নগর থানা এবং চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এলাকার জন্য পুলিশ বা প্রশাসনকেন্দ্র অনেক দূরে। তাই এলাকাবাসী মনে করছেন সিঙ্গারবিল, কাশিনগর, নোয়াবাদি বা মেরাসানির আশেপাশে পুলিশ ফাঁড়ি হওয়া প্রয়োজন।
এর আগে বহুল প্রচারিত দৈনিক মানবজমিন এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর প্রতিনিধি আমিরজাদা চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানা যায় আরও ভয়ংকর চিত্র। মানবজমিনে প্রকাশিত হয় মাদক নিয়ে এই এলাকার ভয়ংকর তথ্য চিত্র।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে দিন দিন বাড়ছে মাদক চোরাচালান। এ অঞ্চলের ৩১ কিলোমিটার সীমান্তের ১৫টি স্পট দিয়ে নিয়মিত মাদক পাচার চলছে। অন্তত ৬ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় রয়েছে। অথচ মাদক মামলায় আসামি হয় মাত্র ৩-৪ জন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাদের নামে মামলা দিয়েই দায়িত্ব খালাস করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরার মধুপুর পাহাড়ে উপজাতিরা গাঁজা চাষ করে। সেখান থেকে আগরতলার বামুটিয়া ও বিমানবন্দর থানার বগাদী নারায়ণপুরের ভাগলপুর নরসিংগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগুড়ীয়া, কাশিনগর, নোয়াবাদী, মেরাশানী, বিষনপুরের কালাছড়া, কাশীমপুর, পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া, চানপুর, ধোড়ানাল, শিয়ালউড়ী, ছড়ারপাড়, শানিপুর মকন্দপুর কামাল মুড়া, লেজামুড়া দিয়ে মাদক চালান আসে। প্রতি রাতে অন্তত ৫-৭ হাজার কেজি গাঁজা প্রতিকেজি কেনার পর বাংলাদেশি টাকায় ৫০০০ টাকা কেজি।
এসব কর্মকাণ্ড থেকে এলাকাবাসী কবে মুক্তি পাবে সেই প্রশ্নের উত্তরে নীরব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসন। এলাকাবাসী এর আসু প্রতিকার চান।
ফাইল ছবি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মিরপুরের বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অফিসটি এডিস মশার লার্ভা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। অফিসটির ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি লার্ভা দৃশ্যমান রয়েছে বলেই এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিআরটিএ যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি এডিস মশার লাইসেন্সও দিচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
আজ শনিবার মশা নিধনে মিরপুর এলাকায় সচেতনতা কার্যক্রমে গিয়ে বিআরটিএ-এর পরিবেশ দেখে এসব কথা বলেন তিনি। মেয়র আতিক বলেন, ‘ব্যক্তিগত, সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো ভবনেই এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা অফিস কোথাও যাতে তিনদিনের বেশি পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এডিস মশার ঘনত্ব বিবেচনায় ডিএনসিসির ১০, ১১, ১৪, ১৭, ২০ ও ৩৫ নম্বর—এই ৬টি ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মশা নিধনে আজ থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যে বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে সেই বাড়িসহ তার আশপাশে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কার্যকর ওষুধ স্প্রে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
মেয়রের পরিদর্শনকালে বিআরটিএ অফিসের পেছনে সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ইরান নিরাপত্তা বাহিনী ইসরাইলের একজন গুপ্তচরকে আটক করেছে। একই সঙ্গে আরও কয়েক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এসব ব্যক্তি বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশ থেকে এসব গুপ্তচরকে আটক করা হয় বলে জানান।
আজ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গোয়েন্দা বিভাগের মহা-পরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে, এ প্রদেশে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের কোনো উপস্থিতি নেই বলে জানান।
ইরানের এ কর্মকর্তা গুপ্তচর আটকের কথা বললেও কতজনকে আটক করা হয়েছে তা জানাননি। এছাড়া আটক ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক তাও জানাননি। সূত্র: পার্সটুডে