a ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ঢাকায় একজনের মৃত্যু
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ঢাকায় একজনের মৃত্যু


স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১, ০২:১৩
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ঢাকায় একজনের মৃত্যু

ফাইল ছবি

 

ভারতের পর এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ঢাকায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, তিন দিন আগে বারডেম হাসপাতালে একজন রোগীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগী অন্যান্য রোগের পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন। 

মাইক্রোবায়য়োলজির প্রাথমিক রিপোর্টে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে

মঙ্গলবার সকালে বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, তিন দিন আগে ৬৫ বছর বয়সী একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই রোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ছিল। তার কিডনির সমস্যা ছিল। তিনি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসার সময় বোঝা যায়নি যে, তিনি মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর এটা জানা গেছে।

এদিকে, বারডেমের যুগ্ম পরিচালক নাজিমুল ইসলাম বলছেন, সন্দেহজনক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। নিশ্চিত নন যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।  মারা গেছেন করোনায়, কনফার্ম ডায়োগনসিস না যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।  নিশ্চিত করতে আরও ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগবে। মারা যাওয়া রোগীর কালচার না পাঠালে নিশ্চিত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি না তা বলা মুশকিল।

জানা যায়, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী এখনও বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন করতে আরও ২৪ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ



শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৫৮
মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন করতে আরও ২৪ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ

দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলার সুবিধাদি সম্প্রসারন ও আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে কন্টেইনার টার্মিনাল, কন্টেইনার ডেলিভারী ইয়ার্ড এবং কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করাসহ বার্ষিক ১ কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো, ৪ লক্ষ টন টিইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বন্দরের উন্নয়নে ২০২১ সাল থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত মোট ২৪ টি উন্নয়ন প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি মাস্টার প্ল্যান প্রকাশ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে বন্দরের উন্নয়নে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ১০টি প্রকল্পের মধ্যে ১টির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ৩ টির কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হবে, অধিক গুরুত্বপূর্ণ আরো ৪ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বন্দর উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট নামে যে প্রকল্পটি রয়েছে সেটি বাস্তবায়ন করতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় নির্ধারন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্পসহ ৫০টির অধিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন ও তিনটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় আছে।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের দ্রুত ও দক্ষ সেবা প্রদানে যেসব উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৭০টি কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল স্থাপন, ৩টি কার ইয়ার্ড নির্মাণ, ১০টি বিভিন্ন ধরনের সহায়ক জলযান ক্রয়, ৬২টি বিভিন্ন ধরনের লাইটেড বয়া, ২টি রোটেটিং বিকন, ৬টি জিআরপি লাইট টাওয়ার সংগ্রহ ও স্থাপন, একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, একটি স্টাফিং-আনস্টাফিং শেড, একটি ওয়েব্রিজ মোবাইল স্ক্যানার সংগ্রহ।

এ ছাড়া রুজভেল্ট জেটির বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। বন্দরের আধুনিকায়ন, চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণ ও দক্ষতার সঙ্গে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জাহাজের গড় অবস্থানকাল হ্রাস এবং কার্গো ও কন্টেইনার সংরক্ষণের সুবিধাদির সম্প্রসারণসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে মোংলা বন্দরে যেসব সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে তাহলো জাহাজ হ্যান্ডলিং সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২২৫ মিটার, ড্রাফট ৭ থেকে সাড়ে ৮ মিটার, কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ১০ মিলিয়ন মে.টন, ও কন্টেইনার ৭০ হাজার টিইউজ। এছাড়া কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সুবিধার মধ্যে রয়েছে, স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ার ৫টি, ফর্কলিফট ৩১টি, রিচ স্ট্র্যাকার ২টি, মোবাইল ক্রেন ৫টি, ডকসাইট ক্রেন ৫টি, টার্মিনাল ট্রাক্টরে শেষ হবে।  সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজও সমাপ্তির পথে। এ বছরেই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবে মোংলাবাসী। এসবের বাইরে গত বছরের ডিসেম্বরে মোংলা বন্দরের আউটার বারে ড্রেজিং কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। ৭১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১৯.৪৫ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই চ্যানেল দিয়ে ১০.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হারবারিয়া পর্যন্ত হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধায় আনা হয়েছে। পোর্টের অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম সংগ্রহ। পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং কার্যক্রম বর্তমানে চালু রয়েছে যা ২০২২ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে  হারবারিয়া থেকে বন্দরের জেটি পর্যন্ত ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ খুব সহজেই ভিড়তে পারবে।

সহায়ক জলযান সংগ্রহ, বর্জ্য নি:সৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ থেকে পিপিপি'র আওতায় মোংলা বন্দরের ২টি অসম্পূর্ণ জেটির নির্মাণও কাজ শেষ করা হবে ২০২২ সালের মধ্যে।  চলমান এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৮ হাজার কোটি টাকা। এদিকে ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোংলা বন্দরে মোট ৭৭২টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে বলে নিশ্চিত করেছে বন্দরের হারবার বিভাগ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের উন্নয়নে বর্তমানে একাধিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে আউটার বার ড্রেজিং সম্পন্ন করেছি এবং ৭৯৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে গত মাসের ১৩ তারিখ থেকে ইনারবারে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্দরে কন্টেইনার জাহাজসহ অন্যান্য জাহাজগুলো তুলনামুলকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে যে কয়টি উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে বলেও জানান বন্দর চেয়ারম্যান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে অনিয়ম: পরিদর্শনে মাঠে নামছে ৫ টিম


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ০৯ জুলাই, ২০২১, ০৮:৫১
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে অনিয়ম: পরিদর্শনে মাঠে নামছে ৫ টিম

সংগৃহীত ছবি

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম-অসঙ্গতি ও অগ্রগতি পরিদর্শনে পাঁচটি টিম নামছে মাঠে। এসব টিম প্রকল্প পরিচালকের নেতৃত্বে দুইদিনে ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা সফর করবেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে টিমগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সারাদেশের বিভিন্ন স্পটের উদ্দেশে যাবে। তারা শনিবার রাতে ফিরে এসে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপস্থাপন করবেন।
 
সূত্রটি আরো জানায়, অতিবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশপাশি কিছু জায়গায় নির্মাণেও অনিয়ম ধরা পড়েছে। এসব ঘর দ্রুতই মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই মেরামত কাজ দেখতেই এই সফর। পাশপাশি এই প্রকল্পের কোনো সমস্যা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের মধ্যদিয়ে তুলে আনা হবে।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মাহবুব হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অনেকগুলো কেস (ঘটনা) পেয়েছি। আমাদের কাছে প্রতিটি কেসই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে একেকটি পরিবারের স্বপ্ন জড়িত। এজন্যই এ রকম একটি মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিদর্শনে নামছি।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‌‘এটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। এর সঙ্গে আমাদের সবার আবেগ জড়িয়ে আছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তি পেতেই হবে। কাউকেই বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১ লাখ ২০ হাজার পরিবারকে বাড়ি করে দেয়া হয়। ঝড়-বৃষ্টির কারণে সম্প্রতি কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও ঘর নির্মাণ নিয়েও বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। আর এ কারণেই তদন্ত করে ইতোমধ্যে ব্যবস্থাও নিয়েছেন তারা। এরইমধ্যে পাঁচ কর্মকর্তাকে (উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওএসডি করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - সারাদেশ