a সৌদি কর্তৃপক্ষ পবিত্র রমজানে ওমরাহ পালনে নির্দেশনা
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সৌদি কর্তৃপক্ষ পবিত্র রমজানে ওমরাহ পালনে নির্দেশনা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৩০
সৌদি কর্তৃপক্ষ পবিত্র রমজানে ওমরাহ পালনে নির্দেশনা

ফাইল ছবি

সৌদি কর্তৃপক্ষ পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ পালন অথবা মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে যে, যাদের শরীরে করোনার বিরুদ্ধে ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে তারা রমজানে কাবায় নামাজ আদায় করতে পারবেন ও ওমরাহ করতে পারবেন। খবর আলজাজিরা।
 
সোমবার সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, যারা করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন বা এক ডোজ টিকা নেওয়ার পর কমপক্ষে ১৪ দিন পার হয়েছে অথবা যারা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর পুরোপুরি সেরে উঠেছেন; শুধু তারাই এবার মসজিদুল হারামে নামাজ পড়ার বা ওমরাহ করার সুযোগ পাবেন।

তবে এ নিয়ম রমজানের পরে হজ মৌসুমেও বহাল থাকবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় অন্তত তিন লাখ ৯৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ছয় হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে যে, এখন পর্যন্ত দেশটির প্রায় সাড়ে তিন কোটি নাগরিকের মধ্যে ৫০ লাখের মতো মানুষ করোনার টিকা দেয়া হয়েছে।

গত বছর দেশটিতে মাত্র ১০ হাজার মানুষ হজ্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। বিদেশে অবস্থানরত সৌদি নাগরিক বা অন্য দেশের নাগরিকদের জন্য হজ্ব গত বছর বন্ধ ছিল।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

মুসলমান মুসলমানের ভাই: পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত


শামীমা, সিনিয়র রিপোর্টার, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৩ মে, ২০২২, ১২:৪৬
মুসলমান মুসলমানের ভাই: পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

সংগৃহীত ছবি

একদিন মদিনার দুই ব্যক্তি টেনে-হিচড়ে এক যুবককে অর্ধ পৃথিবীর শাসক খলিফা হজরত উমর রা.-এর দরবারে হাজির করল এবং বিচার দাখিল করল যে এই যুবক আমার পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই। তখন খলিফা হজরত উমর রা. ওই যুবককে প্রশ্ন করেন, তার বিপক্ষে করা দাবি সম্পর্কে। যুবকটি উত্তর দেন, তাদের দাবি সম্পূর্ণ সত্য। আমি ক্লান্তির কারণে বিশ্রামের জন্য এক খেজুর গাছের ছায়ায় বসেছিলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্পতেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র পছন্দের বাহন আমার উটটি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গেয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত। পাশেই ওদের বাবা ছিল। যে আমার ওই উটকে তাদের বাগানে প্রবেশে অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে। আমি রাগান্বিত হয়ে তাদের বাবার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে একপর্যায়ে তাদের বাবার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি, ফলে সে সেখানেই মারা যায়। যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গেছে। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

বাদি'রা বলেন, আমরা এর মৃত্যুদণ্ড চাই। হজরত উমর রা. সব শুনে বললেন, উট হত্যার বদলে একটা উট নিলেই হতো, কিন্তু তুমি বৃদ্ধকে হত্যা করেছ। হত্যার বদলে হত্যা, এখন তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। তোমার কোনো শেষ ইচ্ছা থাকলে বলতে পারো। নওজোয়ান বলল, আমার কাছে কিছু ঋণ ও অন্যের কিছু আমানত আছে। আমাকে যদি কিছু দিন সময় দিতেন তবে আমি বাড়ি গিয়ে আমানত ও ঋণের বোঝা পরিশোধ করে আসতাম।

খলিফা হজরত উমর রা. বললেন, তোমাকে একা ছেড়ে দিতে পারি না। যদি তোমার পক্ষ থেকে কাউকে জিম্মাদার রেখে যেতে পারো তবে তোমায় সাময়িক মুক্তি দিতে পারি।

নিরাশ হয়ে নওজোয়ান বলল, এখানে আমার কেউ নেই, যে আমার জিম্মাদার হবে। একথা শুনে হঠাৎ মজলিসে উপস্থিত আল্লাহর নবীর এক সাহাবী হজরত আবু জর গিফারি রা. দাঁড়িয়ে বললেন, আমি হবো ওর জামিনদার। সাহাবী হজরত আবু জর গিফারি রা.-এর এই উত্তরে সবাই হতবাক। একে তো অপরিচিত ব্যক্তি, তার ওপর হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি- কিভাবে তিনি এ লোকের জামিনদার হলেন!

খলিফা বললেন, আগামি শুক্রবার জুমা পর্যন্ত নওজোয়ানকে মুক্তি দেয়া হলো। জুমার আগে নওজোয়ান মদিনায়া না এলে নওজোয়ানের বদলে আবু জরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। মুক্তি পেয়ে নওজোয়ান ছুটল মাইলের পর মাইল দূরে তার বাড়ির দিকে। আবুজর রা. চলে গেলেন তার বাড়িতে। এদিকে দেখতে দেখতে জুমাবার এসে গেছে, নওজোয়ানের কোনো খবর নেই।

হজরত উমর রা. রাষ্ট্রীয় পত্রবাহক পাঠিয়ে দিলেন আবুজর গিফারি রা.-এর কাছে। পত্রে লিখা আজ শুক্রবার বাদ জুমা ওই যুবক যদি না আসে আইন মোতাবেক আবুজর গিফারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। আবুজর যেন সময়মতো জুমার প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে নববীতে হাজির হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সারা মদিনায় থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। একজন নিষ্পাপ সাহাবী আবুজর গিফারী আজ বিনা দোষে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবেন! জুমার পর মদিনার সবাই মসজিদে নববীর সামনে হাজির। সবার চোখে পানি। জল্লাদ প্রস্তুত।

জীবনে কতজনের মৃত্যুদণ্ড দেখেছে- তার হিসাব নেই। কিন্তু আজ কিছুতেই চোখের পানি
আটকাতে পারছে না কেউ। আবুজরের মতো একজন সাহাবী সম্পূর্ণ বিনাদোষে আজ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবেন- এটা মদিনার কেউ মেনে নিতে পারছে না। এমনকি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদানকারী খলিফা উমর রা.-ও অনবরত কাঁদছেন। তবু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারো পরিবর্তনের হাত নেই। আবু জর রা. তখনো নিশ্চিন্ত মনে হাসি মুখে দাড়িয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। জল্লাদ ধীর পায়ে আবু জর রা.-এর দিকে এগুচ্ছেন আর কাঁদছেন। আজ যেন জল্লাদের পা চলে না। পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে রেখেছে।

এমন সময় এক সাহাবী জল্লাদকে বললো, হে জল্লাদ একটু থামো। মরুভুমির ধুলার ঝড় উঠিয়ে ওই দেখ কে যেন আসছে। হতে পারে ঐটা নওজোয়ানের ঘোড়ার ধূলি। একটু দেখে নাও, তারপর না হয় আবু জরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর কোরো। ঘোড়াটি কাছে এলে দেখা যায়-সত্যিই এটা ওই নওজোয়ানই। নওজোয়ান দ্রুত খলিফার সামনে এসে বলল, হুজুর বেয়াদবি মাফ করবেন। রাস্তায় যদি ঘোড়ার পা'য়ে ব্যথা না পেত, তবে সঠিক সময়েই আসতে পারতাম। বাড়িতে আমি একটুও দেরি করিনি। বাড়ি পৌঁছে গচ্ছিত আমানত ও ঋণ পরিশোধ করি এবং তারপর বাড়ি এসে বাবা-মা এবং নববধূর কাছে সব খুলে বলে চিরবিদায় নিয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখন আবু জর রা. ভাইকে ছেড়ে দিন, আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে পবিত্র করুন। কেয়ামতে খুনি হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই না।

আশেপাশে সব নিরব থমথমে অবস্থা। সবাই হতবাক, কী হতে চলেছে। যুবকের পুনরায় ফিরে আসাটা অবাক করে দিলো সবাইকে। খলিফা হজরত উমর রা. বললেন, তুমি জানো তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে, তারপরে ও কেন ফিরে এলে? উত্তরে ওই যুবক বলেন, আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলামান সাহায্য করতে এগিয়ে এসে নিজেই বিপদে পড়ে গিয়েছিল।

এবার হজরত উমর রা. হযরত আবু জর গেফারী রা.-কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কেন না চেনা সত্ত্বেও এমন লোকের জামিনদার হলেন। উত্তরে হজরত আবু জর গেফারী রা. বললেন, পরে কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান বিপদে পড়েছিল, অথচ কেউ তাকে সাহায্য করতে আসেনি।

এসব কথা শুনে, হঠাৎ বৃদ্ধার দুই সন্তানের মাঝে একজন বলে উঠল, হে খলিফা, আপনি তাকে মুক্ত করে দিন। আমরা তার উপর করা দাবি তুলে নিলাম।
হজরত উমর রা. বললেন, কেন? তাদের মাঝে একজন বলে উঠল, কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে এবং নিজেই সেই ভুল শিকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরও অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি।

সূত্র: নয়াদিগন্ত/ তথ্যসূত্র: হায়াতুস সাহাবা, পৃষ্ঠা: ৮৪৪
লেখক, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মুফতী মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমী-মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ ঢাকা

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত ৩


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ০৬ মার্চ, ২০২৩, ০৮:৫৫
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত ৩

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

রবিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের পাশের ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনতলা ভবনটির আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন-শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার। আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-পথচারী খাইরুল, একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হান্নান ও শিক্ষার্থী পায়েল। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পপুলার হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - ধর্ম