a মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর নামে সংবাদ প্রকাশে নিন্দা
ঢাকা শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর নামে সংবাদ প্রকাশে নিন্দা


অমৃত রায়, জবি:
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১, ১০:৩৫
মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর নামে সংবাদ প্রকাশে নিন্দা

ফাইল ছবি

 

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামে ঘটে যাওয়া  অপ্রীতিকর ঘটনায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জবি শিক্ষার্থী আশিক আরমান এর নামে সংবাদ প্রচার করা হয়।

উক্ত এলাকার লোকজনের সূত্রে জানা গেছে যে, গত বুধবার চুরি করার সন্দেহে সোহাগ নামে একটি ছেলেকে কিছু  যুবক মারপিঠ করার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সমবয়সী কিছু যুবক থাকলেও আশিক আরমান সেখানে অনুপস্থিত ছিল বলে দাবি করা হয়।

অথচ  সোহাগ এর বাবা আশিক আরমান-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিককে ভুল তথ্য দিয়ে নিউজ করান বলে অভিযোগ করা হয়। এলাকাবাসীর মধ্যে এ নিয়ে তার সম্মানের হানি ঘটছে। তাদের মধ্যে এ মিথ্যা অপবাদ নিয়ে সংবাদ প্রচারের জন্য সমালোচনা ও নিন্দা করা হয়।

আশিক এলাকাবাসী ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ মিথ্যা অপবাদের বিষয়টি প্রমাণ সাপেক্ষে বিবেচনা করার আহ্বান জানান ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

জামালপুর ইসলামপুরে বজ্রপাতে ৬ জন নিহত, আহত ৭ জন


জামালপুর জেলা প্রতিনিধি:
বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১, ০৯:৩১
জামালপুর ইসলামপুরে বজ্রপাতে ৬ জন নিহত আহত ৭ জন

প্রতিকী ছবি

 
জামালপুরের ইসলামপুরে এক দিনে বজ্রপাতে ৬ জন নিহত ও ৭ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ইসলামপুর থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে পাথর্শী ইউনিয়নের পশ্চিম গামারিয়া গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে কালা মিয়া (৩৫), একই গ্রামের কাইলা শেখের ছেলে শাহ জামাল (৪৫), আব্দুল জব্বারের ছেলে এনামুল হক (৪০), পলবান্ধা ইউনিয়নের বাটিকামারি গ্রামের চন্দু শেখের ছেলে জবেদ আলী (৬০), সাপধরি ইউনিয়নের প্রজাপতিচরের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৫), চন্দনপুর গ্রামের আখের মাহমুদের ছেলে মহিজল মাহমুদ (৫০) নিহত হয়েছেন।

একইদিনে বজ্রপাতে আরও ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার পাথর্শী ইউনিয়নের পশ্চিম গামারিয়া ইউনিয়নের তিনজন কৃষক তারা ক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় তাদের উপর আকস্মিক বজ্রপাত হলে তারা সেখানেই মারা যান। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন ঘরে এবং অপর দুইজন নৌকায় ছিল বলে জানা যায়।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাসর রাতে চিৎকার করেনি ফুলি, রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু



শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৭
বাসর রাতে চিৎকার করেনি ফুলি রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু

সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার সবে মাত্র বিশ্রা'ম নেয়ার জন্য ঘুম ঘুম চোখে বিছানায়। ইমারজেন্সি থেকে কল আসল। চোখের পাতায় ঘুম ঠেসে, ইমারজেন্সিতে এসে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা।

মহিলা রোগী, পরনের চাদর র’ক্তে ভেজা। মুখের রঙ ফ্যাকাসে, সাদা। কাপড় দেখেই বো'ঝা যাচ্ছে নতুন বিয়ে হয়েছে। রোগীর নাম ফুলি (ছদ্ম নাম)। হিষ্ট্রি নেয়ার জন্য ডাক্তার জানতে চাইল, কি হয়েছে?

রোগীর সাথে সদ্য বিবাহিত জামাই, জা এবং আরও ৪/৫ জন এসেছে। ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই রোগীর বর চোরের মত, রুম থেকে বের হয়ে গেল। রোগীর সঙ্গে আসা এক মহিলা তেজের সাথে বলল, ‘ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না কেরে, সব বলতে হইবো!’

ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাধা মাইকটিতে একটির পর একটি বিয়ের গান বেজে চলছে। বিয়ে বাড়িতে সবা'ই ব্যস্ত। বর পক্ষের যারা এসেছে, কথা বার্তায় অভিজাত ও ব্যক্তিত্ব দেখানোর চেষ্টায় ব্যস্ত।

দর কষাকষি করার পরে, কনে পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে যা পাওয়া গেছে, তা নেহাতই কম নয়। কিন্তু কম হয়ে গেছে কনের বয়স। বাচ্চা মেয়ে, নাম ফুলি বেগম, সবে মাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫ বছরে পড়েছে।

মেয়ের বাবাও মোটামুটি ভাবে লাল শাড়ি পড়িয়ে মেয়েকে বিদায় দিতে পেরে খুশি। মেয়ে হলে তো বিদায় দিতেই হবে। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মেয়েকে পড়িয়েছে। কম কি! তাছাড়া, শোনা যাচ্ছে ছেলেও নাকি ভাল।

বাড়ির উঠোনে বসে মুখে পান চিবোতে চিবোতে ছেলের মামা বলল, ‘এমন ছেলে কো'থায় পাবেন মিয়া। তাছাড়া, ছেলে মানুষের একটু দোষ থাকলেও সমস্যা নেই, বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে।’

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেয়েকে নিয়ে আসা হল তার নতুন ঘরে। যে মেয়েটি সবে মাত্র জীবনের সংজ্ঞা শিখতে শুরু করেছে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই, তার আজ বাসর রাত।

পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে সতীত্ব যাচাই করার উৎসব। আর বিয়ে তো একটি সামাজিক বৈধতা মাত্র। সমাজ অনেক এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের সময় মেয়ের মতামতটা এখনও গৌন।

মেয়ের যদি মতামত না নেওয়া হয় বা পরিবারের কারও ধমকে মতামত দানের পর বিয়ে হয়, তাহলে তাকে ধ’র্ষণ না বলে উপায় নেই। ফুলির ইচ্ছে করছে, চিৎকার করতে, কিন্তু বাসর ঘরে চিৎকার করা যে উচিত নয়, এতটুকু বুঝতে শিখেছে ফুলি।

হাত পা ছুঁড়ে বরের লালসার যজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার মিথ্যে চেষ্টা। সমাজ বিধীত ‘বর’, যখন আদিম পশুত্ব থেকে বাস্তবে ফিরে আসে, তখন ফুলি র’ক্তে ভেজা। তখনও ফিনকির মত র’ক্ত যাচ্ছে।

ক্রমান্বয়ে সাদা ফ্যাকাসে হয়ে আসছে মুখের রঙ! ফুলি এখন হাসপাতালের বেডে অ’চেতন হয়ে শুয়ে আছে। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, ফুলির চোখ পড়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর।

তারা যে কানাকানি করে কথা বলছিল, ব্যঙ্গাত্মক হাসি তামাশা করছিল। যেন সব দোষ ফুলির। লজ্জায় কারও দিকে তাকাতেও ভ’য় করে। তারপর ইঞ্জিন চালিত গাড়ীর প্রচণ্ড শব্দ।

আরও এলোমেলো কিছু মুহূর্ত। কিছুক্ষণ পর, সাদা এপ্রোন পড়া একজন ডাক্তার এসে তার হাত ধরেছে। মনে আছে শুধু এটুকুই। ডাক্তার নার্সকে সাথে নিয়ে, ফুলি বেগমকে পরীক্ষা করলেন।

ভয়াবহ রকমের পেরিনিয়াল টিয়ার (যৌ’নাঙ্গ ও তার আশপাশ ছিঁড়ে গেছে)। তখনও র’ক্ত যাচ্ছে প্রচুর। হাতে পালস দেখা হল। খুবই কম। জরুরি ভিত্তি'তে রোগীকে র’ক্ত দেয়া দরকার।

জরুরি অবস্থায় অ’পারেশন করে ছিঁড়ে যাওয়া অংশ ঠিক করতে হবে। এই ভয়াবহ সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা কর্তব্যরত ডাক্তারের। ম্যাডামকে ফোন করা হল…

প্রাথমিক ভাবে ম্যানেজ করার জন্য র’ক্ত দরকার… রোগীর সাথে যারা এসেছে এতক্ষণ ইমারজেন্সি রুমের সামনে চিল্লা পাল্লা করছিল। ডাক্তার এসে জানালো জরুরি ভিত্তিতে র’ক্ত দরকার।

তখন সবাই চুপ। কেউ কেউ কেটে পড়ার জন্য পাশে সরে গেল। কিছুক্ষণ পর রোগীর লোক জানালো, তারা র’ক্ত জোগাড় করতে পারবে না। যা হয় হবে! ডাক্তার তাদের বুঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু লাভ হল না…

রাত সাড়ে তিনটায় ম্যাডাম আসলেন। তার ধমকে শেষ পর্যন্ত তারা র’ক্ত জোগাড় করতে রাজি হল। কিন্তু র’ক্ত আর সেই রা'তে জোগাড় হল না। অ’পারেশন থিয়েটারে ফুলিকে নিয়ে গিয়ে টিয়ার রিপেয়ার করা হল।

সকালে রোগীর শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই উধাও। ফুলির বাবা আসলেন সেই ভোরে, র’ক্ত জোগাড় হল কোন রকমে। ছয়দিন পর, রোগীর সেপ্টিসেমিয়া ডেভলপ করলো। ইনফেকশন র’ক্তে ছড়িয়ে গেছে। ভাল অ্যান্টিবায়োটিক দরকার।

রোগীর বাবা এসে বললেন, তারা আর খরচ চালাতে পারবেন না। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন, কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে, তাহলে ঔষধ কেনার খরচ কিছুটা বাঁচবে।

কিন্তু, হাসপাতাল মানে তো, কাজকর্ম রেখে একজনকে রোগীর পাশে থাকতে হবে। রিলিজ দিয়ে বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, যা হবার হবে। রিলিজ নিয়ে ফুলিকে বাসায় নেয়া হল।

আরও বেশি অসুস্থ হওয়ায় চারদিন পরে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পরদিন ভোর ভোর সময়। একবার চোখ খুলে আবার বন্ধ করলো ফুলি। সেই বন্ধ শেষ বন্ধ।

এই সমাজের প্রতি ঘৃ’ণায় চোখ জ্বল জ্বল করছিল কি না কেউ দেখতে পারেনি। ভোরের স্বল্প আলোয় বিদায় জানালো জীবনের নিষ্ঠুরতাকে! ফুলি ‘একিউট রেনাল ফেইলরে’ মারা গেছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ডায়ালাইসিসের জন্য বলা হয়েছিল, তারা রোগী নিয়ে এত ঝামেলা করতে পারবে না। শ্বশুর'বাড়ি থেকে সেই বাসর রাতের পর, কেউ আসেনি। তাদেরই বা এত চিন্তা কি, একটা বউ মরলে দশটা বউ পাওয়া যায়!

ফুলি একা নয়, এ রকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এই ঘটনা গুলো চক্ষু লজ্জার ভয়ে প্রকাশ হয় না। কিন্তু সচেতনতা জরুরি।    লেখাটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - সারাদেশ