a
ফাইল ছবি
আগামীকাল বুধবার ১ সেপ্টেম্বর পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রত্যাশিত সাফল্য পেতে হলে পরিকল্পিত ক্রিকেটের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাশাপাশি হোম গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ বলেই সতর্ক কিউই অধিনায়ক টম লাথাম।
বাংলাদেশের জন্য সুখবর অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না থাকলে দলে আছেন ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিক। লিটন আসায় গভীরতা বেড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। নাঈমের সাথে ওপেনিং লিটন, সাকিব তিনে, মুশফিকের প্রিয় পজিশন চার নম্বরে। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, আফিফ, সোহানদের ব্যাটিংয়ে হবে রদ বদল।
সাকিব থাকলেও, উইকেট বিবেচনায় বিশেষজ্ঞ স্পিনার নাসুম আহমেদ, আর কাটার মাস্টারের সাথে শরিফুল অনেকটাই নিশ্চিত বলা যায়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অধরা জয়ই শুধু নয়। দৃঢ় সংকল্প সিরিজ জেতার।
সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের প্রতিশোধের জ্বালাও মেটাতে চায় বাংলার বাঘেরা। এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, 'নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জেতার দারুণ একটা সুযোগ আমাদের সামনে। কোনো ভুল করা যাবে না। সাফল্য পেতে হলে স্বাভাবিকভাবে ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
'মূল দল না আসলেও, লাথাম, নিকোলস, গ্র্যান্ডহোম, হ্যানরিদের মতো অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেলে দারুণ দল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু মাইটি অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এবার কি হবে নিউজিল্যান্ডের? একে তো ফর্মের তুঙ্গে টাইগাররা। তারওপর ঘরের মাঠ। সাকিব নাসুমের স্পিন ভেলকি আর মুস্তাফিজের কাটার ধাঁধা।
তাই বাড়তি সতর্ক অতিথিরা। এ বিষয়ে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার টম লাথাম বলেন, 'এই সিরিজটা সহজ হবে না। বাংলাদেশ দারুণ ফর্মে আছে। তাদের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে হলে আমাদের সব বিভাগেই সর্বোচ্চ অবদান রাখার বিকল্প নেই।' নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। ১ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচের পর ৩, ৫, ৮ ও ১০ তারিখ সিরিজের বাকি চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ম্যাচের ভেন্যুই শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশ দলঃ মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন, নাইম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, নাসুম আহমেদ।
নিউজিল্যান্ড দলঃ টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, হামিশ ব্যানেট, টম ব্লানডেল, ডগ ব্রেসওয়েল, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, জ্যাকব ডাফি, স্কট কুগেলেইন, কোল ম্যাককনকি, হেনরি নিকোলস, আজাজ পেটেল, রাচিন রবীন্দ্র, বেন সিয়ারস, উইল ইয়ং, ব্লেয়ার টিকনার।
ছবি সংগৃহীত
অতীতে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে হারালেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের নজির ছিল না বাংলাদেশের। রোববার মিরপুরে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটের দাপুটে জয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম সিরিজে হারায় টাইগাররা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয় পায় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। টাইগারদের এই জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে মাশরাফি লিখেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, এবার ইংল্যান্ড। দেশের মাঠে বড় তিনটি দলকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারালো বাংলাদেশ।
তবে এই জয়টা একটু আলাদা। কারণ, তরুণদের নিয়ে যেভাবে দলটা গড়েছে, সেটা এক কথায় অসাধারণ। টি-টোয়েন্টি দলকে ঢেলে সাজানো দরকার ছিলো, হাতুরুসিংহে এবং সাকিব দারুণভাবে সেই কাজটা করেছে। ভালো উইকেটে এই দলটারও কঠিন সময় আসবে, কিন্তু সবার ধৈর্য রাখা জরুরী।
তরুণদেরকে এই ফরম্যাটে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে এবং এর মধ্য দিয়েই আস্তে আস্তে দারুণ একটা দল হবে ইনশাআল্লাহ। অনেক দেরিতে হলেও এই পরিবর্তনটা টি-টোয়েন্টিতে খুব প্রয়োজন ছিল। যদিও এটা একান্তই আমার মতামত। সূত্র:যুগান্তর
ফাইল ছবি । ইব্রাহীম রাইসি
ইব্রাহীম রাইসি, যিনি ২০১৭ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তবে এবার তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিভিন্ন জরিপে তার নাম উঠে আসছে যে, দেশটির আগামীর প্রেসিডেন্ট তিনিই হতে যাচ্ছেন।
বর্তমান ইরানের প্রধান বিচারপতি এই ইব্রাহিম রাইসি। ৬০ বছর বয়সী রাইসি দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অন্যতম।
ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং রাইসির জন্ম একই স্থানে, অর্থাৎ দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে। খামেনির মতো না হলেও দেশটির সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়ের কট্টরপন্থীমহলে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।
খামেনির মতো রাইসিরও দাবি, বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদের (সঃ) বংশধর তিনি। বিশ্বনবীর রক্তসম্পর্কিত উত্তরাধিকার হওয়ার কারণে সবসময় কালো রঙের পাগড়ি পরেন তিনি। তবে ইরানের গণতন্ত্রপন্থী বলয়ে তার জনপ্রিয়তা তেমন নেই।
২০১৯ সালে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে রাইসিকে নিয়োগ দেন খামেনি। এরপর ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ দেন খামেনি। এ পদে থাকার সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয়তা কিছুটা বাড়ে রাইসির।
রাইসি রাজনৈতিক দিক থেকে শিয়া ইসলামি কট্টরপন্থার সমর্থক। দেশের গণতন্ত্রপন্থীদের পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য দেশগুলোরও কঠোর সমালোচক। তবে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি খারাপ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের বিষয়ে সুর নরম বলে ধারণা করা হয়। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট