a
ফাইল ছবি
চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দেখতে পারবেন না আফগানিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা। কেননা দেশটির নতুন তালেবান সরকার আফগানিস্তানে আইপিএল প্রচার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তাদের মতে, আইপিএলে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড থাকে। তাই এটি প্রচার করা যাবে না।
গত রবিবার চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে আইপিএলের বাকি থাকা দ্বিতীয় পর্ব। সোমবার খেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। টুর্নামেন্টে বাকি রয়েছে আরও ২৯টি ম্যাচ। কিন্তু কোনোটিই দেখতে পারবে না আফগানরা। খবরটি নিশ্চিত করেছেন আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক মিডিয়া ম্যানেজার ও বর্তমানে সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ইব্রাহিম মোমাদ।
তিনি জানিয়েছেন, মূলত ইসলামবিরোধী হওয়ার কারণেই আইপিএল প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া নারীদের নৃত্য, খোলা চুলে দর্শকসারিতে নারীদের উপস্থিতি দেখানোর পক্ষে নয় তালেবান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ইব্রাহিম লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানের জাতীয় টেলিভিশনে আইপিএল দেখানো হবে না।
সম্ভাব্য ইসলামবিরোধী কন্টেন্ট, মেয়েদের নাচ এবং খোলা চুলে নারীদের উপস্থিতির কারণে তালেবান ইসলামিক প্রজাতন্ত্র এটি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।’ অথচ গত কয়েক আসরের মতো এবারও আইপিএলে খেলবেন আফগানিস্তানের তিন তারকা ক্রিকেটার রশিদ খান, মোহাম্মদ নাবি ও মুজিব উর রহমান। কিন্তু তাদের সাফল্য-ব্যর্থতা সরাসরি দেখতে পারবে না আফগানিস্তানের মানুষ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন রশিদ-নাবিরা।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের ঈদের আমেজ না কাটতেই ব্যাট বলের লড়াইয়ের জন্য হাজির শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আজ ১৬ মে রবিবার সকালে ঢাকায় পৌছেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ হিসেবে কুসল পেরেরার অধিনায়কত্বে তারুন্যনির্ভর দল নিয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কা।
মহামারী করোনার কারনে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে আয়োজিত হচ্ছে এই সিরিজ। বিমানবন্দরে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে টিম হোটেলে পৌঁছে গেছে লঙ্কানরা। সেখানে তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে থেকে অনুশীলনের অনুমতি মিলবে লঙ্কাবাহিনীর। কোয়ারান্টাইন থাকাকালীনই দুই দফায় কোভিড পরীক্ষা করানো হবে সকল খেলোয়াড়দের । পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেই বুধবার থেকে অনুশীলনের অনুমতি পাবেন তারা।
আগামী শুক্রবার বিকেএসপিতে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে দুইভাগ হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন লঙ্কানরা। মূল সিরিজ শুরু ২৩ মে ২৫ ও ২৮ মে হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ। সবকটি ম্যাচই হবে হোম অব ক্রিকেট শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সবগুলো ম্যাচ হবে দিবারাত্রী।
শ্রীলঙ্কা দল: কুসল পেরেরা (অধিনায়ক), কুসল মেন্ডিস (সহ-অধিনায়ক), দানুশকা গুনাথিলাকা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, পাথুম নিসানকা, দাসুন শানাকা, আশেন বান্দারা, ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইসুরু উদানা, আকিলা দনাঞ্জয়া, নিরোশান ডিকভেলা, দুশমন্থ চামিরা, রমেশ মেন্ডিস, আসিথা ফার্নান্দো, লাকসান সান্দাক্যান, চামিকা করুনারত্নে, বিনুরা ফার্নান্দো, শিরান ফার্নান্দো।
ফাইল ছবি
ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত খবরটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বা বাংলাদেশস্থ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য আমাদের নজরে এসেছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বিধান অব্যাহত রেখেছেন এবং রাষ্ট্রদূতদের পুলিশ প্রদত্ত গানম্যান নিয়োজিত আছেন। এই কারণে নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত এই বিভ্রান্তিকর খবরটি সঠিক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রচলিত রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাধারণত বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার গুরুদায়িত্বটি সবসময় পালন করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের কয়েক বছর আগের একটি ঘটনা পরবর্তী সময় থেকে কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিককে অলিখিতভাবে গাড়িসহ মূলত নিয়মিত ট্রাফিক মুভমেন্টের সহায়তার জন্য বাড়তি কিছু লোকবল দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণাধীন আছে। তাই তাদেরকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের কোনো আবশ্যকতা নাই।
পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কার্যপরিধি বৃদ্ধির জন্য এই বাড়তি সুবিধাটি এখন অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না। এখানে স্মরণ করা যেতে পারে, পৃথিবীর কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা ও চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো সুবিধা প্রদান করা হয় না।
এতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দূতাবাস থেকে একই ধরনের সুবিধার জন্য অনুরোধ করার একটি প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। এ লক্ষ্যে তাদের সবার সুবিধার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে একটি চৌকস দল তৈরি করেছে। বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এ সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন। কোনো দূতাবাস আনসার সদস্যদের এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে চাইলে বা বাড়তি সুবিধা নিতে চাইলে আমাদেরকে লিখিতভাবে জানালে আমরা সেই ব্যবস্থাটি গ্রহণ করবো। শিগগিরই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সব বিদেশি দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সূত্র: ইত্তেফাক