a
সংগৃহীত ছবি
ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী দল ভারত ইংল্যান্ডের মাটিতে ৭৮ রানে অলআউট হয়ে আর একটি রেকর্ড সৃষ্টি করলেন।
ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে চরম ব্যাটিং বিপর্যয় ভারতের। আরও একটি লজ্জা পেল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ইংরেজদের মাঠে এ নিয়ে ১০ বার শতরানের নিচে আউট হলো ভারত।
ইংল্যান্ডের মাঠে ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে কম ৪২ রানে অলআউট হয় ওজিত ওয়াদেকারের নেতৃত্বাধীন ভারত। তবে টেস্টে এনিয়ে ২৬ বার একশ রানের নিচে আউট হলো ভারত।
ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। একমাত্র রোহিত শর্মা এবং আজিঙ্কা রাহানে ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন রোহিত শর্মা। এছাড়া রাহানের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
দলীয় ১ রানেই প্রথম উইকেটের পতন হয় ভারতের। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন লোকেশ রাহুল। অ্যান্ডারসনের বলে বাটলারকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর চেতেশ্বর পূজারাও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
অ্যান্ডারসনের বলে ফিরে যান ১ রান করে। এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আগের দুই টেস্টের মতো এই ম্যাচেও ব্যাটে রান পাননি তিনি। মাত্র ৭ রানেই বিদায় নেন তিনি।
ভারত শিবিরে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা, রিশভ পন্ত, মোহাম্মদ শামিসহ অন্যরাও।
ইংল্যান্ডের হয়ে বোলিংয়ে আগুন ছড়ান জেমস অ্যান্ডারসন, স্যাম কুরানরা। জিমি ৮ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ক্রেগ ওভারটন নিয়েছেন ১৪ রানে ৩ উইকেট। স্যাম কুরান ও ওলি রবিনসন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
ফাইল ছবি
করোনার থাবায় শেষ পর্যন্ত স্থগিত করতে হলো আইপিএল ২০২১। বেশ কয়েকটি ফ্রাঞ্চাইজির স্টাফ খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হওয়াতে শেষে আর কোন উপায় খুজে না পেয়ে সাময়িকভাবে আইপিএল বন্ধ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবারের পর মঙ্গলবারও চেন্নাই বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র-র করোনা রিপোর্ট মঙ্গলবারই পজিটিভ আসে। তারপরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল বন্ধ করতে বাধ্য হয় বিসিসিআই। একের পর এক ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ ধরা পড়তেই দিল্লির ম্যাচ বাতিল করার দাবি উঠেছিল।
স্টার স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসের ৭ তারিখ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি, ব্রডকাস্ট এবং ওপারেশন টিম মুম্বইয়ে স্থানান্তর করার জোর দাবি ছিল। নতুন সূচি অনুযায়ী ফের খেলা আরম্ভের কথা ছিল ১০ মে'র পর।
বিসিসিআই বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা আইপিএলে বন্ধ হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, আপাতত আইপিএল বন্ধ করা হলো। সমস্ত দল, ব্রডকাস্টার এবং টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই টুর্নামেন্ট বন্ধ করা হলো। পরের অবস্থা এবং সুযোগ বুঝে নতুন সূচি প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য গত এপ্রিল মাসের ৯ তারিখ থেকে করোনার কারনেই গ্যালারি ফাঁকা রেখে আইপিএলের ১৪তম শুরু করে বিসিসিআই। এর আগে আইপিএলের মাঝপথে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কিছু অজি তারকা আইপিএল ছেড়ে দেশে পাড়ি জমান। এবারের আইপিএলে বাংলাদেশ থেকে কলকাতার হয়ে খেলছেন সাকিব আল হাসান ও রাজাস্থান রয়েলসের হয়ে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ বাক্সের মধ্যে বসে এই টেলিভিশন থেকে ওই টেলিভিশনে গিয়ে নানান ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বুধবার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এসময় তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ অনেকে বলছেন, এক বছরে আমরা সক্ষমতা বাড়াইনি। যারা এক দিনও কোনো রোগীর পাশে দাঁড়াননি, তারা রোগতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। তারা তখন কী করেছিলেন? তারা’এখন টক শো-তে লম্বা লম্বা কথা বলেন। আমাদের পাশে আসেন। আপনার প্রজ্ঞা, জ্ঞান কাজে লাগান। হাসপাতালগুলোতে আসুন, রোগীদের পাশে দাঁড়ান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সাংবাদিকদের বিরূপ সমালোচনা থেকে বিরত থেকে সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনা করতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারি শুরু থেকেই আমরা সাংবাদিকদের সহযোদ্ধা হিসেবে দেখেছি। তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে এই সময়েও কিছু কিছু মিডিয়া সমালোচনার মাধ্যমে আমাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত না করে, তাদের মনোবল না ভেঙে, সবার পাশে দাঁড়াতে পরামর্শ দেন।