a
ফাইল ছবি
গত ১ মে রাতে আইপিএলের ২৭তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় মুম্বাই ও চেন্নাই। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আম্বাতু রাইডুর ২৭ বলে ৭২ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের উপর ভর করে ২১৯ রানের বিশাল পুজিপায় চেন্নাই। জবাব দিতে নেমে কিছুটা নড়বড়ে শুরু করে মুম্বাই দলীয় ১৭০ রানে ৪র্থ উইকেটের পতন হয়। তখন চেন্নাই এর জয় অনুমেয় ছিল। আর তখন হাতে বল ছিল ২১টি, রান প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান।
মাঠে নামেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান কাইরন পোলার্ড, একে একে বল শুধু সীমানা পার করছেন, দর্শকরা বুঝে উঠার আগেই চার ছয়ের ফুলঝুরিতে রানের বন্যা বইয়ে দিলেন তিনি। ইনিংসের যখন শেষ ওভার তখন ৬ বলে দরকার ১৬ রান। বোলিংয়ে আছেন প্রোটিয়া পেসার লুনগি এনগিডি। প্রথম বল প্রায় বাউন্ডারির কাছে চলে গেলেও কোন রান নেননি পোলার্ড। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ৪ মেরে প্রয়োজন নিয়ে আসেন ৮। হাতে বল ৩টি, আর রান দরকার ৮। যে কোনও দল তখন চাপে পড়ে যাবে সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলটা কখন কি করে বসে তা বলা মুশকিল। তারা ত এমনি এমনি পাঁচবারের শিরোপা জিতেনি। পরিস্থিতি যাই হোক, চ্যাম্পিয়নরা জয় নিয়েই কিভাবে বের হবে সে উপায় তাদের জানা আছে। এদিকে ৪র্থ বল যখন ডট দেন সবাই ভাবছে হেরে গেলো মুম্বাই কিন্তু না, পরের বলেই মারেন বিশাল ছক্কা। শেষ বলে ২রান দরকার হলে তা অনায়াসেই সংগ্রহ করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এ হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।
এদিন দলের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ম্যাচ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় জানালেন নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারে দেখা পোলার্ডের এই ইনিংস অন্যতম সেরা। শুধু বিশাল ছক্কা মেরে জেতালেন বলে নয়, যেভাবে হিসেব কষে নিজের ইনিংস সাজালেন সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন মুম্বাই এই অধিনায়ক।
ফাইল ছবি
আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও হেলাফেলার কিছু নেই; বরং জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। একটি জয় অনেক আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে ক্রিকেটারদের মধ্যে, হোক সেটা প্রস্তুতি ম্যাচ।
এর আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশ ৪২ ওভারেই লংকানদের করা ২৬৪ রান তাড়া করে জিতেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। রান পেয়েছেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস। সব মিলিয়ে দলের মধ্যে একটা স্বস্তির সুবাতাস।
যদিও প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের আগে শঙ্কা হিসেবে দেখা দিয়েছিল সাকিবের ইনজুরি। তবে পরে জানা যায়, এই ইনজুরি খুব বড় নয়। তার প্রথম ম্যাচ খেলতে না পারার যে গুঞ্জন, সেটাও সঠিক নয়। সাকিব খেলতে পারবেন বিশ্ব আসরের নিজেদের প্রথম ম্যাচে।
এদিকে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের আগে হালকা চোটে পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও তা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে না। তবুও সব মিলিয়ে দলের মধ্যে হালকা ইনজুরির আভাস রয়েছে।
অপরদিকে আজ বৃষ্টির শঙ্কাও রয়েছে গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরই মধ্যে এই মাঠে ভেস্তে গেছে ইংল্যান্ড ও ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচ। আজও কী তেমনটা হবে? বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
গত দুই দিন অবিরাম বর্ষণ হয়েছে গুয়াহাটিতে। ঢাকায় যেমন কয়েকদিন আগে অচল হয়ে গিয়েছিল, তেমনি গুয়াহাটি শহরকেও বৃষ্টিতে ভেসে যেতে দেখেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম তেমনটাই জানিয়েছেন মিডিয়াকে। তিনি বলছিলেন, ‘মনে হওয়া স্বাভাবিক ছিল যে আমরা বোধ হয় ঢাকাতেই আছি। বৃষ্টিতে রাস্তা পানির নিচে চলে গিয়েছিল।’
যদিও গতকাল থেকে গুয়াহাটিতে রোদ উঠেছে। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ঐচ্ছিক অনুশীলনে গিয়েছিলেন। অনুশীলন করেছেন চার ক্রিকেটার- মাহমুদ উল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ মেহেদী হাসান ও নাসুম আহমেদ। ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে যথাসাধ্য বিশ্রাম এবং ফিট থাকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সূত্র: যুগান্তর
ছবি সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের দখলদারিত্বের শাসনব্যবস্থা ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মৃ*ত্যু অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের শীর্ষ এক জেনারেল।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শত্রুরা আর কোনও ভুল করলে তাদের সব স্বার্থ ও ঘাঁটি আরও বড় বিপদের মুখে পড়বে।
তেহরানে শহীদ ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরির স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, সাম্প্রতিক ইরানের বিরুদ্ধে ইসরা*য়েল ও যুক্ত*রাষ্ট্রের আগ্রাসন তাদের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল সাফাভি বলেন, সাম্প্রতিক যুদ্ধ ‘ইহু*দিবাদীদের মৃ*ত্যুর চক্রকে’ ত্বরান্বিত করেছে।
তিনি বলেন, “ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা এবং নেতানিয়াহুর পত*ন এখন সময়ের ব্যাপার।”
তিনি আরও জানান, শত্রুর অনুরোধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি যুদ্ধ থামালেও ইরান শত্রুদের স্বার্থ, কাঠামো, ঘাঁটি এবং তাদের অঞ্চলের বাহিনী সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখে।
জেনারেল সাফাভি বলেন, ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে এবং শত্রুদের সব ঘাঁটি ইরানের হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্রের টার্গেট ডাটাব্যাংকে রয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শত্রুরা আর কোনও ভুল করলে তাদের সব স্বার্থ ও ঘাঁটি আরও বড় হুমকির মধ্যে পড়বে এবং ইরান আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। সূত্র: মেহের নিউজ