a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর শঙ্কায় পড়ে যায় সে দেশের ক্রিকেট তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে নতুন করে সব শুরু করতে যাচ্ছে আফগানিস্তান। কিছু জটিলতা শেষে অবশেষে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার সিরিজ আলোর মুখ দেখছে। শুরু হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ১৯ সদস্যের আফগানিস্তান দল।
যুব টাইগারদের বিপক্ষে পাঁচটি ওয়ানডে এবং একটি চারদিনের ম্যাচে মাঠে নামবে আফগানিস্তান । নিজ দেশের সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশে আসবে আফগান যুবারা। গতকাল ২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তারা পেশোয়ারে পৌছেছে; পাক-আফগান সীমান্ত তোর্খামে পাকিস্তানি নিরাপত্তাকর্মীরা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন খেলোয়াড়দের।
আফগানিস্তান দলের কোচ রাইস আহমেদজাই জানিয়েছেন পেশোয়ারে রাত্রি যাপনের পর শুক্রবার সকালে ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হবে দল। বিকেলে করাচি হয়ে ফ্লাইটে করে কাতারে পৌছে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবে তারা। আফগানিস্তানের কোচ জানান “আফগানিস্তানের দলকে তোর্খাম সীমান্তে পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যেভাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তাতে আমি খুশি।
বাংলাদেশ যুবাদের সাথে ভালো খেলে সিরিজ জিতে দেশে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছে দল” ১৯ সদস্যের আফগানিস্তান দলের সাথে আছে সাতজন কর্মকর্তা; টিম ম্যানেজার, প্রশিক্ষক, ডাক্তার, প্রধান কোচ, বোলিং, ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং কোচ। দলটির অধিনায়কত্ব কে করবেন তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি।
ফাইল ছবি
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০৩ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।
গতকাল দুপুর ১টায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে তামিম ইকবালের দল। উইকেটে নেমেই দারুন সূচনার পর আউট হন তামিম ইকবাল, তামিমের বিদায়ের পর মাঠে আসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান তবে ক্রিজে তিন বলের বেশি টিকতে পারেনি সাকিব, ০ রানে চামিরার বলে এলবিডব্লিউর ফাদের পরে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব। ধীরস্থির ভাবে খেলতে থাকা লিটন আউট হন ব্যক্তিগত ২৫ রানে, দলীয় রান যখন ৪৯ রান আউট তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। মুশফিকুর রহিম মাঠে নেমে লঙ্কান বোলারদের তুলোধুনো করে এক পাশে খেলতে থাকেন এই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৭৪ রানে মোসাদ্দেক আউট হলে মাঠে নামে মাহমুদউল্লাহ। রিয়াদ-মুশফিক জুটিতে ধীরে ধীরে পাল্টে যেতে থাকে খেলার চিত্র দুজনে মিলে দলীয় খাতার যোগ করেন ৮৭ রান। এর পর এক পাশে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকলেও ক্যারিয়ারের আট নাম্বার সেঞ্চুরি তুলে নেন মি.ডিপেন্ডেবল মুশফিক। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৮.১ ওভারে ২৪৬ রানে অল আউট হয়।
জবাব দিতে নেমে দারুন সূচনা করে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার ২৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর আর তেমন জুটি গড়তে পারেনি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। বৃষ্টি আইনে ম্যাচ নির্ধারণ করা হয় ৪০ ওভারে, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালে ৯উইকেটে মাত্র ১৪১ রান করতে পারে লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান এসেছে গুনাথিলাকার ব্যাট থেকে।
স্কোর কার্ডঃ
বাংলাদেশ: ৪৮.১ ওভারে ২৪৬ (মুশফিক ১২৫, মাহমুদউল্লাহ ৪১,চামিরা ৪৪/৩, সান্দাকান ৫৪/৩
শ্রীলঙ্কা: (লক্ষ্য ৪০ ওভারে ২৪৫) ৪০ ওভারে ১৪১/৯ (গুনাথিলাকা ২৪, নিসাঙ্কা ২০, মিরাজ ২৮/৩, মুস্তাফিজ ১৬/৩
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম
ছবি সংগৃহীত
তালবিনা একটি হৃদয় প্রশান্তকারী প্রাচীনতম ন্যাচারাল পুষ্টি খাবার। তালবিনাতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও এসেন্সিয়াল ডেইলি নিউট্রিশন। এটি এতটাই পাওয়ারফুল যে, পুষ্টিবিজ্ঞানীরা এটাকে “অলৌকিক অণু” বা Miracle Molecule” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অনেকে এটিকে একটি সুন্নতি খাবার বা প্রফেটিক মেডিসিন নামেও অবহিত করে থাকেন। প্রচুর ফাইবারযুক্ত এ খাবারটি উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ যা একটি উৎকৃষ্ট সম্পূরক খাবার হিসেবে বিবেচিত।
তালবিনা অত্যন্ত বরকতময় একটি খাবার। এটা শুধু বড়দের জন্য নয়, ১ বছরের বাচ্চা থেকে আবাল বৃদ্ধ সুস্থ অসুস্থ নারী পুরুষ সবাই খেতে পারেন। উচ্চ ফাইবার যুক্ত হওয়ার কারনে সহজে হজম হয়। এতে আমাদের অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটি, IBS, কোষ্ঠকাঠিন্য & বদহজমের সমস্যা সমাধানে তালবিনা দারুন কাজ করে (প্রমানিত)।
তালবিনা রাসুল (সঃ) এর দেয়া প্রেসক্রিপশন যাকে প্রফেটিক মেডিসিন নামেও আখ্যায়িত করা হয়। প্রিয় নবীজির দেওয়া প্রেসক্রিপশনে তালবিনা অস্থির হৃদয় প্রশান্তকারী এক অলৌকিক খাবার। এটি এমনই এক সুপার ফুড যা আমাদের রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবাদের (রাঃ) সময়ে শোক-দুঃখসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে খেতে পরামর্শ দেওয়া হতো।
এটি আমাদের একটি ভুলে যাওয়া সুন্নাহ তাই অনেকে নাও জেনে থাকতে পারি।
নিয়মিত তালবিনা ড্রিঙ্কস পানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারঃ
★ সুস্থ ও স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
★ স্বাভাবিকভাবে কার্ডিওভাসকুলার হেলথ বা হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
★ ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
★ নার্ভাস সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
★ হাঁড় এবং কোষের বৃদ্ধি ও পুনর্গঠনে সহায়তা করে।
★ পুরুষের শক্তি বৃদ্ধি ক্ষমতা পুনর্বহাল করতে সাহায্য করে।
★ চর্বি ও শর্করার বিপাকীয়তায় সাহায্য করে।
★ অ্যান্টি-এইজিং হরমোন তৈরিতে সহযোগিতা করে।
★ ইমিউন সিস্টেমকে কার্যকর রাখতে বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
★ পেশী বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে এবং এটি শরীরচর্চাকারী উনাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
★ এটি হৃদযন্ত্রের সুস্থতা ও ইমিউন প্রক্রিয়াকে কার্যকরী ও সচল রাখে।
স্বাস্থ্যের বহুবিধ উপকারিতার জন্য তালবিনা দেহে অনেক উত্তেজনাকর ঘটনার অবতারণা করে থাকে, এতে অবাক হওয়ারও কিছু নেই। তালবিনা এবং এর শক্তিশালী পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদানের ফলশ্রুতির মাধ্যমে আপনার পুরো পরিবারের সুস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে |
✔ সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নিজেদের তত্ত্বাবধানে আমাদের নিজের হাতে বাছাইকৃত উৎকৃষ্ট দানা থেকে জেনুইন তালবিনা তৈরি করা হয় ।
# জেনুইন তালবিনা খাওয়ার_নিয়ম :
জেনুইন তালবিনা পাউডারের সাথে খাঁটি দুধ ও মধু একত্রে গুলিয়ে তালবিনা তৈরি করা হয়। সাথে কলা, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আম, খেজুর ইত্যাদি ফল মিক্সড করে এর স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ যোগ করা যায়।আমাদের রাসুল (সা:) মিষ্টতা বাড়ানোর জন্য মধু ব্যবহার করতেন। এভাবে খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়। কারো ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে তিনি মধু বাদ দিয়ে খেতে পারেন।
তালবিনা নরমাল পানিতে পরিমাণমতো গুলিয়ে বা ঘন করে চামচ দিয়ে খেতে পারেন। এটি দিনের যে কোন সময়ে ক্ষুধা লাগলে অথবা শরীরের ক্লান্তি দূর করতে ঝটপট তৈরি করে খেতে পারেন। তবে ডায়েট চার্টে যুক্ত করতে সকালে নাস্তা হিসেবে এবং রাতে খেতে পারেন।
এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে ৪/৫ চা চামুচ তালবিনা ও ২/৩ চা চামুচ মধু মিশিয়ে তালবিনা তৈরি করে খেতে পারেন। অথবা, প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ও বিকালে এক গ্লাস পানিতে ৪-৫ চা চামুচ মিশিয়ে খাবেন। আর যদি টেষ্টি করে খেতে চান তাহলে গুড় / লাল চিনি / মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।