a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ। শনিবার (৭ অক্টোবর) ধর্মশালায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলতে চায় টাইগাররা। দেশ ছাড়ার আগে সেই লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।
ম্যাচের আগে দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে একই লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিলেন দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি বলেছিলেন, 'আমরা সবাই বিশ্বকাপ জিততে চাই। আপনি আমাকে যখন সঠিকভাবে জিজ্ঞেস করেছেন সত্যিকারার্থেই কেমন সুযোগ আছে? তাহলে বলবো–যদি আমরা চার-পাঁচটা ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে সেমিফাইনাল বা নক-আউট স্টেজে খেলতে পারবো। এটি আমাদের প্রথম লক্ষ্য। এই জিনিসটা করার জন্য আমাদের যথেষ্ট ভালো দল আছে। প্রথমে আমাদের সেমিফাইনালে যেতে হবে।'
বাংলাদেশের একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হাসান শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নবীন-উল-হক ও ফজল হক ফারুকী। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের চোখ এখন ওয়ানডে সিরিজের ওপর। সিরিজ জয়ের লক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিং করতে পাঠিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে মাঠে গড়ানোর আগে তুমুল ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে টাইগারদের শিবিরে। পরপর দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে স্কোয়াড থেকে কাটা পড়েছেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তার বদলে দলে যোগ দিয়েছেন জাকের আলি অনিক। অন্যদিকে চোটে ছিটকে পড়েছে প্রথম ম্যাচে খেলার মোড় ঘুড়িয়ে দেওয়া পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এই দুইজনের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন এনামুল হক বিজয় ও মোস্তাফিজ।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও মোস্তাফিজ।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিশাঙ্কা, আবিস্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), সাদিরা সামারবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, জেনেথ লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিথ ভেল্লালাগে, প্রমোদ মাদুশান, মাহেশ থিকশানা ও লাহিরু কুমারা। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি : " আমরা পাঁচ বন্ধু, একটাই গল্প - সপ্ন, সংগ্রহ আর সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ। একসাথে ক্লাস, টিউশন, রাত জাগা প্রস্তুতি সব মিলিয়ে ছিল একেকটা যুদ্ধ। আজ সেই যুদ্ধের ফলাফল হাতে পেলাম.... " - এভাবেই নিজের অনূভুতি ব্যক্ত করছিলেন সুপারিশ প্রাপ্ত পাঁচ বন্ধুর একজন ইব্রাহিম হোসাইন।
সাম্প্রতিক ৪৪তম বিসিএস এ ক্যাডার হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের ১১ ব্যাচের ( ২০১৫ - ২০১৬ সেশনের ) পাঁচ শিক্ষার্থী। তারা একই সাথে জবির এই বিভাগ থেকে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন, এবার পেলেন বিসিএস ক্যাডারের গৌরবময় পরিচয়ও।
তাদের মধ্যে চারজন শিক্ষা ক্যাডার ও একজন পোস্টাল ক্যাডার হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
এই সফল পাঁচ বন্ধু হলেন
• এম রাকিবুল ইসলাম ( পোস্টাল ক্যাডার)
• ইব্রাহিম হোসাইন ( শিক্ষা ক্যাডার)
• কাজল সরকার ( শিক্ষা ক্যাডার)
• রাকিব হাসান ( শিক্ষা ক্যাডার)
• কৌশিক গৌপি ( শিক্ষা ক্যাডার)
সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ার অনূভুতি জানিয়ে রাকিবুল ইসলাম বলেন, ❝সত্যি স্বপ্নের রেশটা আমার এখনো কাটেনি। সৃষ্টিকর্তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ কারণ তিনি হাজারো পরিশ্রমের মাঝে আমার পরিশ্রমকে বেছে নিয়েছেন। ৪৪ বিসিএস এ ১৬৯০ জন এর হতে ৫ জন ই একটি ডিপার্টমেন্টের একটি ব্যাচ থেকে। রয়েল এই ডিপার্টমেন্টের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ আমাদের পূর্বসূরিদের প্রতি। উত্তরসূরীদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা আপনারা ভবিষ্যতে আমাদের শূন্যস্থানগুলো পূরণ করে আমাদের এই ডিপার্টমেন্টকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একটি ডিপার্টমেন্টে পরিণত করবেন। ❞
ইব্রাহিম আরও বলেন, ❝ জীবনের প্রথম বিসিএস, ৪১তম-এ আমি এডুকেশন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তখন যোগদান করা হয়নি। এবার ৪৪তম বিসিএসেও আবার একই ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। শুরুতে কিছুটা খারাপ লাগলেও আমার চারজন প্রিয় বন্ধুর সাফল্যে সত্যিই মন ভরে গেছে। তাদের আনন্দটাই আমার আনন্দ—এই অনুভূতি সত্যিই অমূল্য। আল্লাহ যা দিয়েছেন, তার জন্যই শুকরিয়া। আজ আমরা গর্বিত—নিজেদের জন্য, পরিবারের জন্য, আর আমাদের প্রিয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আমার একাউন্টিং পরিবারের জন্য। ❞
আনন্দে উচ্ছাসিত হয়ে কাজল সরকার বলেন,
❝ শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশায় যুক্ত হতে যাচ্ছি সত্যই খু্ব ভালো লাগছে আরও ভালো লাগছে আমরা ৫ বন্ধু একসাথে ক্যাডার হয়েছি । আলাদাভাবে সাইফুল ইসলাম রাজু (প্রভাষক, দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজ) ভাই এর কথা উল্লেখ করতে চাই । বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে বিসিএস ক্যাডার হওয়া পর্যন্ত এই মানুষটি আমাকে সবধরনের সহযোগিতা করেছেন তার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ। এছাড়া আমি আমার বন্ধু বান্ধব, সহপাঠী ও আমার বিভাগের শিক্ষকদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।❞
জবির এআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.শামসুন নাহার বলেন,
❝প্রথমেই সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানাই, আমাদের ডিপার্টমেন্টের কোনো একক ব্যাচ থেকে এটাই মনে হয় সর্বোচ্চ সংখ্যক সুপারিশপ্রাপ্ত ক্যাডার এটা তাদের পরিশ্রমের ফসল এবং আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। তাদের এই অর্জন আগামী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। তারা কাজের মাধ্যমে সপ্নের বাস্তবায়ন করতে পারে এই দোয়া থাকবে। যারা সুপারিশ প্রাপ্ত হয়নি তাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই, আপনাদের জন্য অনেক অপশন আছে আপনারা চেষ্টা চালিয়ে যান। সর্বোপরি এআইএস এর সকল গ্রাজুয়েট দের জন্য শুভকামনা রইলো। ❞
এই পাঁচ বন্ধুর সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের জন্যও এক অনন্য প্রাপ্তি।