a
ফাইল ছবি
আঙুলের পুরনো ব্যথা ফিরে আসায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলেননি সাকিব আল হাসান। তবে প্রেসিডেন্টস বক্সে বসে খেলা দেখেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে কথাও বলেছেন সাকিব। পাপন বলেন, আজ সাকিব আমাকে বলছে যে এবারের বিশ্বকাপে আমাদের জন্য ভালো সুযোগ আছে। সাকিবের মতো খেলোয়াড় যখন বলে এবার ভালো সুযোগ আছে তার মানে দলের ওপরও তার আত্মবিশ্বাস আছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় অবশ্য আক্ষেপও ঝরেছে পাপনের কণ্ঠে। তিনি বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা তা ঠিকঠাক মতো হয়নি। এটা নিয়েও সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আসলে দেড় বছর ধরে আমাদের মাথায় থাকা পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে গেছে। অনেক দেশ পরিকল্পনাগুলো নিয়ে কাজ করতে পেরেছে। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তারপরও যতটুকু করতে পেরেছি আমি মনে করি, সেটা ভালোভাবে করেছি।
এদিকে, বাংলাদেশের পোস্টারবয়কে এখন টি-টেয়েন্টিতে মালিঙ্গার সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ছুঁতে অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হবে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন। তার আগে ৪ অক্টোবর দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।
প্রথম রাউন্ডে টাইগারদের প্রথম প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপের অন্য দুই দল স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। প্রথম রাউন্ডে সেরা দুই দলের মধ্যে থাকলে বাংলাদেশ পাবে সুপার-১২’র টিকিট। পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে হারলেও আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা। টানা তিন সিরিজ জয় দলকে আত্মবিশ্বাস দেবে বলেই মনে করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মাহমুদউল্লাহ বলেন, সবশেষ তিন সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। টানা তিনটি সিরিজ জিতেছি। দলের জন্য অবশ্যই এটা ভালো হয়েছে। আশা করছি, এই জয়গুলো থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপে কাজে দেবে।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে চার্টার বিমান যোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন অজিরা।
স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে আগামী ৩ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। বাকি ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে দিবা-রাত্রির সবগুলো ম্যাচই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
সংগৃহীত ছবি
ভালো নেই রাজধানীর বাড়ি-ফ্ল্যাট মালিক ও ভাড়াটিয়ারা। করোনা মহামারিতে গ্রামে চলে গেছেন শতকরা ৪০ ভাগ ভাড়াটিয়া। ফাঁকা পড়ে আছে অনেক ফ্ল্যাট, বাড়ি। রাজধানীর অনেক বাসার গেটে বা দেওয়ালে সাঁটানো হয়েছে ‘টু-লেট’ বা ‘বাড়ি ভাড়া’ বিজ্ঞাপন।
আবার বড় বাসা ছেড়ে দিয়ে কম ভাড়ার বাড়িতে উঠতে বাধ্য হচ্ছে অনেক পরিবার। করোনার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে ধাক্কা লেগেছে, তাতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। আয় কমে গেছে অগণিত মানুষের।
রাজধানীতে আগে কাজের সুবাদে যারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন, তারা এ পরিস্থিতিতে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। অনেকে বাসা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রেখেছেন বাড়ির মালিককে। এ কারণে মূলত ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে করোনা মহামারিতে শুধু যে ভাড়াটিয়ারাই অর্থসংকটে বিপদে পড়েছেন, তা নয়; একই সংকটে পড়েছেন বাড়ির মালিকরাও। বাড়িভাড়ার টাকায় সংসার চালানো বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়া না পেয়ে মাসের পর মাস অর্থকষ্টে ভুগছেন বলে জানা গেছে ।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকার ৮০ শতাংশ বাড়িওয়ালা বাড়িভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়িই যেহেতু তাদের ব্যবসা, তাই বিভিন্ন বিল ও করের ঊর্ধ্বগতি সাপেক্ষে তারা বছরে গড়ে ৯ শতাংশ ভাড়া বাড়ান। ৭৫ শতাংশ বাড়িওয়ালা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিংবা সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে বাড়ি বানিয়ে থাকেন। বাড়িভাড়া ছাড়া সাধারণত তাদের অন্য কোনো আয়ের উত্স থাকে না। তাই ঋণের কিস্তি পরিশোধ কিংবা সংসার চালানোর তাগিদে ভাড়া পাওয়া তাদের জন্য জরুরি।
বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া পরিষদের তথ্যমতে, ঢাকার মোট ভাড়াটিয়ার ৪০ শতাংশ রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। করোনা মহামারিতে চাকরি চলে যাওয়া, বেতন কমিয়ে দেওয়া এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের ওপর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ধরনের সমস্যা যে কেবল নিম্নবিত্তের তা নয়, ঢাকায় বাড়িভাড়ার টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারও।
ইতালি প্রবাসী সোয়েব হোসেন (ছদ্মনাম) বলেন, ‘করোনায় আমার চাকরি নেই, স্ত্রী-তিন সন্তান, বৃদ্ধ মা ও ভাই রয়েছে ঢাকায়। আমাদের আয়ের উত্স রাজধানীর ফ্ল্যাট ভাড়ার টাকা। অথচ আমার চাকরিও নেই, ঢাকায় বাড়িভাড়ার টাকাও নেই, এখন জমানো টাকা ভেঙে সংসার চালাতে হচ্ছে। সঙ্গে তিন সন্তানের স্কুলের বেতন দিতে হচ্ছে।’
অনেক বাড়িওয়ালা তার বাড়ি ভাড়া বাড়াতে একই ফ্লাটে একাধিক পরিবারকে ঢুকিয়ে তারা বিকল্প পথ খুঁজছে। এসবের ফলে পুরাতন ভাড়াটিয়াদের সাথে নতুন ভাড়াটিয়াদের নানা রকম সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে। এসব ব্যাপারে কিছু কিছু বাড়িওয়ালা নিজে সেসব বাড়িতে না থাকলে ভাড়াটিয়াদের কোন সুযোগ-সুবিধা না দেখে নানান কৌশলে বাসা ভাড়া বাড়ানোর চেষ্টা করে, যা দেখার কেউ নেই।
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের আয়ে যে প্রভাব পড়েছে তা বিবেচনা করে বাড়িভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। এরই মধ্যে এক থেকে তিন মাসের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য বাড়ির মালিকদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতি এবং ভাড়াটিয়া পরিষদ।
ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, আমরা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি, নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য কিছুটা হলেও বাড়িভাড়া মওকুফ করার জন্য। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। অনেক মানুষ বেকার এবং আয় কমার কারণে তাদের পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর আয়ের আশায় পরিবারের কর্তা ব্যক্তিটি কোনো মেসে বা কম টাকা ভাড়ার বাসায় উঠেছেন। মানুষকে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের প্রতি সহানুভূতি না দেখিয়ে ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। যে কারণে অনেকেই বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ভাড়াটিয়াদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে বাড়ির মালিকদের উচিত কিছুটা ছাড় দেওয়া, কিছুটা ভাড়া মওকুফ করা। অনেক বাড়িওয়ালা উভয় সংকটে পড়েছেন, কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।