a
ফাইল ছবি
মধ্যপ্রাচ্যে ভূমি দখল করে নিজেদের বসত বাড়ি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর দমনপীড়ন চালিয়ে আসছে ইসরাইল। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদি রাষ্ট্রটির একের পর এক অপকর্মে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন, মধ্যপ্রাচ্য যেভাবে দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাত লেগে যেতে পারে।
এই প্রেক্ষিতে নতুন করে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, মুসলিম রাষ্ট্র বাহরাইনের কাছ থেকে একটি দ্বীপ কিনে নিয়েছে ইসরাইল। তাদের নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুসলমানদের প্রতিশোধ দানা বাধলে বা যে কোনো কারণে যুদ্ধ বেধে গেলে, তবে দ্বীপটিতে সরিয়ে নেওয়া হবে ইসরাইলিদের।
২০২০ সালে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে বাহরাইন। একারণে দেশটিতে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে। এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে নতুন এই খবর বেরিয়েছে।
মিডেল ইস্ট মনিটর আল-মায়াদিন টেলিভিশনের বরাত দিয়ে সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েলের টিভি৭ প্রথম খবরটি প্রচার করলেও পরে তা সরিয়ে নেয়। কিন্তু সরানোর আগেই বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এর স্ক্রিনশট নিতে সক্ষম হন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ফার্ম হিমনোটা ২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে দ্বীপটি কিনেছে। ফার্মটি চালায় ইহুদি জাতীয় তহবিল বা জেএনএফ। কথিত দাতব্য সংস্থাটির কাজ হলো ফিলিস্তিনি ভূমি দখল এবং ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের পক্ষে সাফাই গাওয়া ও প্রচার প্রসারে কাজ করে যাওয়া।
খবরে বলা হয়েছে, ৯ হাজার ৫৫৪ বর্গ মিটারের দ্বীপটি বিনিয়োগ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি কোনো কারণে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে ইসরায়েলিদের সেখানে সরিয়ে নেওয়া হবে।
কোম্পানির পরিচালনা পরিষদে থাকা অ্যাভেরি শ্নেয়ার বলেছেন, দ্বীপটির সার্বভৌমত্ব ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তরের জন্য বন্ধু দেশ বাহরাইন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এ খবর সামনে আসার পর বাহরাইন সরকারের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা চলছে। মানবাধিকারকর্মী মরিয়ম আল খাজা দ্বীপ কেনার ঘটনাকে ঔপনিবেশিক শাসনের সম্প্রসারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে টুইটারে দেওয়া পোস্টে দেশটির সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
বাহরাইনের সাবেক আইনপ্রণেতা এবং সালম ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের প্রধান জাওয়াদ ফাইরুজ দ্বীপ বিক্রির ঘটনাকে খুবই বিপজ্জনক এবং উদ্বেগজনক সংকেত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ইউক্রেন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের পূর্বাঞ্চলীয় ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণ করে যাচ্ছে রাশিয়া। আর সেই হামলা প্রতিহত করে চলেছে ইউক্রেন বিমান বাহিনী।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী এলাকা বরিসপিল ও বিভিন্ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে যাচ্ছে রাশিয়া।
তবে ওই বিবৃতিতে দক্ষিণ অঞ্চলে রুশ প্যারাট্রুপের সদস্যরা প্রবেশ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
সংগৃহীত ছবি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর জেমস রিশ পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ৫০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা আটকে দিয়েছেন। এতে গাজা উপত্যকায় ভবন, সড়ক ও নিরাপদ পানি সরবরাহ স্থাপনা নির্মাণ বিলম্বিত হবে। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়বে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসী।
আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করে। গণমাধ্যমটি আরও জানায়, গত মাসে ১১দিন ব্যাপী হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে গাজায় শত শত ভবন ধ্বংস করেছে ইহুদিবাদীদের যুদ্ধবিমান। মিশরের সহায়তায় দুই পক্ষের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ওই আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।
তবে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া ফিলিস্তিনিদের আর্থিক সহায়তা গত মাসে রিপাবলিকান সিনেটর জেমস রিশ বন্ধের পদক্ষেপ নেন। তিনি দাবি করেন, এই অর্থ হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে যাবে না সেটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের একটি আইনকে ব্যবহার করে এটি আটকে দিয়েছে সিনেটর জেমস।