a
ছবি: সংগৃহীত
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১২টি চোরাই মোবাইলসহ দুই চোরকে গ্রেফতার করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ।
বুধবার (১লা মার্চ) রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ১ নম্বর ইউনিয়নের স্থানীয় বড় বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার, পুরান তোপখানা মহল্লার মোতালিব মিয়ার পুত্র সাদিক মিয়া(১৯), এবং খন্দকার মহল্লার আলী হোসেনের পুত্র মোঃ আলম মিয়া(১৯)।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেবের নির্দেশে এস আই সাদ্দাম হোসেন, এস আই জাকির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই চোরকে গ্রেফতার করেন। এসময় তাদের দেহ তল্লাশি করে ১১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয় এবং তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ইনাতখানী গ্রামে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অপর আরেকটি মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিয়াউর রহমান পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব বলেন,আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারার্থে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ছবি: লাল কাপড় পড়া মহিলার স্বর্ণলংকার ছিনতাই হয়
আজ রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯ টায় বাসাবো কদমতলা রোডের উপর থেকে এক মহিলার গলা ও কানের স্বর্ণালংকার ২ মটর সাইকেল আরোহী অভিনব কায়দায় ছিনতাই করে মূহুর্তেই চম্পট দেয়।
আমাদের প্রতিনিধি উপস্থিত সেই মহিলা ও অন্যান্যদের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, উক্ত মহিলা বাসাবো ওয়াসা সড়কের মোড় থেকে বাজার করে পূর্ববাসাবো-কদমতলা আমান মসজিদের বিপরীত ফুটপাত ধরে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক মটর সাইকেল আরোহী গাড়ি থামিয়ে মহিলাকে বলেন, আপা আমি সাভার থেকে এসেছি। আমি একটু সমস্যা পড়েছি, যদি আমাকে একটু সাহায্য করেন! পেছনে আরেক জন ব্যক্তি এসে হাতে রোমাল সদৃশ কিছু একটা মুখের কাছে এনে বলছেন, আপা আমিও তার সাথে এসেছি।
মহিলা বলেন, রুমালটি ধরার পর আমার মাথা কোন কাজ করছিল না। ওরা আমাকে গলা ও কানের গহনা খুলতে বললে আমি তা খুলে দেই। এরপর প্রায় ৫ মিনিট পর আমার সেন্স ফিরলে আমি চিল্লাচিল্লি করলে আশে পাশের মানুষ এসে ভীড় করে।
উপস্থিতি অন্যান্যদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা দূর থেকে দেখছিলাম মহিলাটি মটর সাইকেল ২ আরোহীর সাথে কথা বলছিলেন ও কান এবং গলা থেকে গহনা খুলে দিচ্ছেন যেন তারা একজন আরেকজনের পরিচিত। তাই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
উল্লেখ্য, উপস্থিত ব্যক্তিরা আরও বলেন, বাসাবো ওয়াসা সড়কে এর আগেও কয়েকবার এরকম ছিনতায়ের ঘটনা ঘটেছে। ভদ্র মহিলার স্বামী রাজারবাগ পুলিশ লাইনে চাকুরি করেন বলে জানান এবং কদমতলা হিরাঝিলে বসবাস করেন।
ফাইল ছবি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৪ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে বুধবার (৮ মার্চ) সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল হক এর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর তদন্ত গোলাম মোস্তফা ও এসআই লিটন রায়, এএসআই আব্দুর রহিমসহ একদল পুলিশ উপজেলার আহমদাবাদ ইউনিয়নের গাদিশাল জনৈক ছাবু মিয়া ওরফে আঃ কুদ্দুছের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয় ।
আটককৃতরা হলেন: গাদিশাল গ্রামের ছাবু মিয়া ওরফে আঃ কুদ্দুছের স্ত্রী পারভীন আক্তার(৪০), একই ইউনিয়নের নালুয়া চা-বাগান পশ্চিম টিলার মৃত জয়নাল মুন্ডার পুত্র সাধন মুন্ডা (৪০)। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে তাদের সহযোগী দুই মাদক কারবারি পালিয়ে যায়। পরে জনৈক ছাবু মিয়া ওরফে আঃ কুদ্দুছের পশ্চিম ভিটের চার চালা টিনের ঘরের খাটিয়ার নিচে এবং একই ঘরের গোয়াল ঘরের কক্ষে মজুদ করে রাখা ৪৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। সকাল ১০ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাশেদু হক জানান, গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বিক্রয়ের জন্য বিপুল পরিমাণ গাঁজা মজুদ করে রাখা হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ার দিয়ে বলেন, মাদক কারবারি যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এধরনের অভিযান অব্যাহত আছে।