যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এসপিএ এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে শুক্রবার ফোনে কথা বলেছেন। আর এই সিদ্ধান্ত হয় বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার পর।
এই ফোনালাপে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত বন্ধে সমঝোতা আলোচনায় মধ্যস্ততা করতেও চেয়েছে সৌদি আরব। যুদ্ধে উত্তেজনা কমাতে সব ধরনের সহায়তান কথাও বলেছেন যুবরাজ।
বিগত দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকা তথা ন্যাটোর পক্ষালম্বন করা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। কিন্তু তা কোন ভাবে কাজ না হওয়া এবং শেষে রাশিয়া তেল-গ্যাসে নির্ভরতা কমাতে ওপেকের অন্যতম সদস্য সৌদি আরবকে তেল উত্তোলনে আমেরিকার প্রেসক্রিপসন গ্রহণ না করায় সৌদি কর্তৃপক্ষের উপর চটে যায় বাইডেন। কিছুতেই সৌদিকে বাগে না আনতে পেরে সৌদির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা খাত থেকে আমেরিকা সরে যাবে হুমকি দিলে সৌদি কর্তৃপক্ষ আপাতত এই সহায়তার ঘোষণা দেয় বলে আন্তর্জিাতিক বিশ্লেষকগণ মনে করেন।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সেই থেকে কয়েকবার কয়েকপক্ষগণ সমঝোতার আলোচনা বসলেও এখনো উত্তেজনা নিরসনে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।
প্রথম থেকেই সৌদি আরব এই সংঘাতে রাশিয়ার পক্ষ না নিলেও এখন পর্যন্ত সেদেশের বিপক্ষে কোনো কথা বলেনি। তাই হঠাৎ এই সহযোগিতা আমেরিকার চাপেরই ফসল বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন।
অবশেষে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাকে ‘যুদ্ধের দায়িত্ব সমাপ্ত’ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল সোমবার ওয়াশিংটন সফররত ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাজেমির সঙ্গে সাক্ষাতে হোয়াইট হাউসে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণার পর বাইডেন বলেন, ২০২১ সালের পর মার্কিন সেনারা ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিয়ে যাবে; তারা সরাসরি কোনো যুদ্ধে অংশ নেবে না। তবে এ সাক্ষাতে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে কিনা- সে সম্পর্কে মুখ খোলেননি বাইডেন।
‘২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ইরাকে আর কোনো মার্কিন সেনা যুদ্ধের ভূমিকা পালন করবে না’ বলে সাক্ষাতের পর দুই নেতা এক যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী কাজেমি গত রবিবার রাতে এমন সময় আমেরিকা পৌঁছান যখন তার দেশ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে ইরাকি পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইন এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি।
সরকারি চাকরিজীবীদের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিল রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হবে। যা আগামী ২০২৩ সাল থেকে বাস্তবায়ন করা হবে।
জানা যায়, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রমে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় ছুটির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন।
জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দুই দিন করা হচ্ছে। আগামী ২০২৩ সাল থেকে এটি বাস্তবায়ন হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি ২০২৩ সালের আগেও চালু করতে পারে।
নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় জানানো হয়, সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন ধরে প্রাক-প্রাথমিকে মোট শিখন ঘণ্টা শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সময় নির্ধারণ করা হবে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিখন হবে ৬৮৪ ঘণ্টা। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির হবে ৮৫৫ ঘণ্টা। এছাড়া মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির মোট শিখন ১ হাজার ৫০ ঘণ্টা, নবম ও দশম শ্রেণির ১ হাজার ১১৭ ঘণ্টা।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ ও দ্বাদশ ১ হাজার ১৬৭ ঘণ্টা হবে। তবে জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। দিবসগুলো পালনের কর্মসূচি শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।