a
ফাইল ছবি । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি তার উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব এই তথ্য জানান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ নং ওয়ার্ডে বেরাইদ এলাকায় বিএনপি মহানগর উত্তরের উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আল্লাহর রহমতে কোভিডের যে আক্রমণ সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর তার চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম তার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং তার একটা পুরনো অসুখ যেটা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়- আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। এই সবগুলো মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ভালনারেবল আছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা বলেন, উনার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছে, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হোক। এই সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। সরকারকে আহ্বান জানাব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে এই মহান নেত্রীকে যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে সেই নেত্রীকে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক, তাকে মুক্তি দেয়া হোক। তাকে অন্যায় ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে।
এসময় দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাছিত আনজুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম নকির পরিচালনায় এতে অংশ নেন বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
ফাইল ছবি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে তাদের কার্যক্রমে আরও জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রোববার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন রাষ্ট্রপতির বরাত দিয়ে বলেন, 'পুলিশ সদস্যদের কাজ যাতে জনবান্ধব হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।'
রাষ্ট্রপতি বলেন, পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে হবে। জনস্বার্থে বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তিতে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন। খবর বাসস
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, 'তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ফলে সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে প্রযুক্তিজ্ঞানে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।' রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও এই তৎপরতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বডুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জেয়াদ আল মালুমের ভাগিনী অ্যাডভোকেট মাকসুদা আক্তার লাইলী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৫ মে রাতে স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জেয়াদ আল মালুমকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ ও জটিলতা ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তিনি জামায়াতে ইসলামির সাবেক আমির গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে করা মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
জেয়াদ আল মালুমের টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার করোটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। সে সময় জেয়াদ আল মালুম ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।