a
ফাইল ছবি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে বাসস্ট্যান্ডে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তারা তিনটি বাস ও একটি অফিস ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পালিয়ে যায় তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বসুরহাট নতুন বাস স্ট্যান্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় উপজেলায় আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার ড্রিম লাইন বাসগুলো বসুরহাট নতুন বাস স্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখে বাস মালিক সমিতি। রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক বাসস্ট্যান্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা বাসস্ট্যান্ডে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজের তিনটি ড্রিমলাইন বাস, কার্যালয় ভাঙচুর করে।
জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ অভিযোগ করেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাই শাহাদাত ও তার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমার তিনটি বাস ও অফিস ভাঙচুর করেছে।
এ বিষয়ে জানতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে অপরিচিত ব্যক্তি রিসিভ করে জানায় স্যার বিশ্রামে আছেন। কথা বলতে চাইলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাজিম উদ্দিন মিকনের নেতৃত্বে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ভাঙচুরসহ কোম্পানীগঞ্জের সব ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজ এর সংখ্যা কমে যাবে’ বলে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। এর জের ধরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থিত ২০-২৫ জন মির্জা বিরোধী শ্লোগান দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিলে তারা উপজেলা গেটে চলে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে মির্জার অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উভয়পক্ষের সমর্থকরা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটের আঘাতে তাশিক মির্জা ও আরমান চৌধুরীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
ফাইল ফটো: লিপি আক্তার
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ছেলেকে মৃত ঘোষণার পর বাবা-মা অন্যত্র সরিয়ে নিচেত চাইলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আনসার সদস্যরা। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মা লিপি আক্তারকে এবং বাবা লিটন মিয়া মারধর করেন আনসার সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাতে ঢামেকের জরুরি বিভাগের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত লিপিকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা স্থানান্তর করা হয়েছে।
শিশুটির বাবা মো. লিটন মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল তার ছেলে আমির হামজা। সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসকরা আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি বিশ্বাস হয়নি। এ সময় আমি আমির হামজাকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।
জরুরি বিভাগের গেট দিয়ে বের হতেই আনসার সদস্যরা বাধা দেন এবং চার দিকের গেট আটকে দেন। এ সময় এনিয়ে তাদের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কয়েকজন আনসার সদস্য আমার স্ত্রী লিপিকে তাদের কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করাসহ কিল-ঘুষি মারেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও মারধর করেন আনসার সদস্যরা।
আহত লিপি আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে আমি নিয়ে যাবো, আনসার সদস্যরা কেন বাধা দেবে? এটা বলাতে তারা আমাকে মারধর করেছেন। আমার স্বামী ছাড়াতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। আমি এর বিচার চাই।
জরুরি বিভাগে থাকা কয়েকজন রোগীর স্বজন জানান, একজন নারীর গায়ে হাত তুলেছেন আনসার সদস্যরা। এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। একে তো তার ছেলে মারা গেছে, এতে তার মাথা ঠিক থাকার কথা না। মা-তো পাগলামী করতেই পারেন। তাই বলে একজন নারীর গায়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন এভাবে হাত দেবে!
মৃত শিশুর বাবা মো. লিটন মিয়া আরও জানান, তাদের বাসা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল কুনিপাড়া এলাকায়। তার একমাত্র ছেলে আমিরহামজা গত ১৯ মার্চ সকালের দিকে পূর্ব নাখালপাড়া এলাকায় একটি কারখানার টিনের ছাদে তার ঘুড়ি আনেত যায়। সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পরে যায়। এতে তার মাথায় আঘাত পায়। সেই দিনই তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
ঢামেক হাসপাতালের আনসার কমান্ডার (পিসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, জরুরি বিভাগের মৃত শিশুর স্বজনদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যদি কোনো আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে নারীকে মারধর করার প্রমাণ মেলে, তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, শুধু আনসার সদস্য কেন? অন্য কেউ-ই কোনো নারীর গায়ে হাত দিতে পারেন না। এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যে জার্মানির কোলন শহরের মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের অনুরোধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কেবল শুক্রবার জুমার নামাজের সময়টাতে মাইকে আজান দেওয়া যাবে এবং তাও ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। খবর প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিখ্যাত এ শহরটির মেয়র হেনরিয়েত্তে রেকে বলেন, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যে দুই বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, শহরে অনেক মুসলিম বাসিন্দা আছেন এবং তারা আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। বৈষম্য দূর করা এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ানোর জন্য জুমার নামাজের আজান মসজিদের মাইকে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
শহরটিতে মোট ৩৫টি মসজিদ রয়েছে। এখন থেকে সবগুলো মসজিদেই জুমার নামাজের আজান দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার (১১ অক্টোবর) এ ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সূত্র: ইত্তেফাক