a ব্যাংক থেকে লোন নিন, জমি বিক্রি বাদ দিন
ঢাকা বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ব্যাংক থেকে লোন নিন, জমি বিক্রি বাদ দিন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৫ আগষ্ট, ২০২১, ১১:৪৮
ব্যাংক থেকে লোন নিন, জমি বিক্রি বাদ দিন

সংগৃহীত ছবি

জমি বিক্রি নয় বা এনজিও থেকে উচ্চ সুদে ঋণও নয়। এমনকি আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকেও ঋণ নেওয়ার দরকার নেই। কাজের জন্য বিদেশে যেতে আপনাকে ঋণ দেওয়ার জন্য বসে আছে ব্যাংক। একটি-দুটি ব্যাংক নয়, সরকারি-বেসরকারি অন্তত সাতটি ব্যাংক বিদেশে যেতে আপনাকে ঋণ দিচ্ছে।

মজার বিষয় হচ্ছে, ঋণের টাকার বিপরীতে ব্যাংকের কাছে কোনো জায়গা-জমিও বন্ধক রাখতে হবে না। তবে বিদেশে যেতে ঋণ দেওয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক। ২০১১ সালে ব্যাংকটি গঠনই করা হয় এ উদ্দেশ্যে।

এ ব্যাংকের পাশাপাশি যেসব ব্যাংক বিদেশে যেতে ঋণ দিচ্ছে, তাদের মধ্যে সোনালী, অগ্রণী, পূবালী ও এনআরবি ব্যাংক অন্যতম। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকও সম্প্রতি বিদেশে যেতে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশে ১ কোটি ২৫ লাখ বাংলাদেশি লোক রয়েছেন।

প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা ও প্রভাব নিয়ে তৈরি ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী তাঁদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ দক্ষ, ৬২ শতাংশ অদক্ষ এবং ৩৬ শতাংশ আধা দক্ষ। এক শ্রেণির আদম ব্যাপারী নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ নিয়ে বিদেশে শ্রমিক পাঠান। অনেক সময় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শ্রমিকদের পাঠানো হয়,

যাঁরা বিদেশে গিয়ে পরে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। প্রতিবেদনে তাই ঋণ আবেদনের দীর্ঘসূত্রতা কমানো এবং ঋণ আদায়ে তদারকি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

কারা ঋণ পাবেন: ভিসা পাওয়ার পর ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর আবেদন করতে হবে। বিদেশে কাজ করার জন্য যাঁরা ভিসা পেয়েছেন,

তাঁরাই পাবেন এ ঋণ। অর্থাৎ ঋণ পেতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে। ব্যাংক কোনো ভিসা পাইয়ে দেবে না। ঋণও দেওয়া হবে ভিসার মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে। ঋণ ও সুদ: সরকারি ব্যাংকগুলো ১ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ দিয়ে আসছে। আর ঋণের মেয়াদ সাধারণত ২ বছর।

গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে আরও দুই মাস। সব মিলিয়ে ঋণ দেওয়া হচ্ছে ২৬ মাসের জন্য এবং সুদের হার ৯ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলো অবশ্য ঋণ দিচ্ছে ১ থেকে ৩ বছর মেয়াদি। এ ব্যাংকগুলো সুদ নেয় ১২ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত।

তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো বিদেশে গিয়ে পৌঁছানোর তিন মাস পর থেকে কিস্তি নেওয়া শুরু করে। অবশ্য সব ব্যাংকেরই ঋণের শর্ত ও অনুমোদনপ্রক্রিয়া প্রায় একই রকম।

ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরিশাস, ওমান, কাতার, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া—এসব দেশের ক্ষেত্রে দুই বছর, শুধু সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে এক বছর। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: বৈধ ভিসার পাশাপাশি বিদেশগামী কর্মীকে যে কোম্পানি কাজ দেবে বা নিয়োগ করবে,

সেই কোম্পানির নিয়োগপত্র লাগবে। লাগবে আবেদনকারীর সত্যায়িত তিন কপি ছবি, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানাসংবলিত পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ,

পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। আরও লাগবে স্থানীয় বা ঘনিষ্ঠ এক বা একাধিক ব্যক্তির ব্যক্তিগত জামিননামা। এই জামিননামা সম্পত্তি বন্ধকের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। আবেদনকারীর মতো জামিনদারদের ছবি, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ,

পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিতে হয়। এ ছাড়া যে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) আসবে, সেই ব্যাংকের সঙ্গে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে।

ঋণ পরিশোধ: সোনালী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন বছর। বিদেশে যাওয়ার পরে দুই বছরে ২৪ কিস্তি বা তিন বছরে বা ৩৬ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

প্রতি মাসে কিস্তি দিতে হবে একটি করে। এ ব্যাংক এক অঙ্কের সরল সুদ নেয়। অগ্রণী ব্যাংকও এক অঙ্ক সুদ নেয়, তবে ঋণ পরিশোধ করতে হয় দেড় বছরে। পূবালী ব্যাংক আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিলেও পরিশোধের মেয়াদ ২ বছর। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকসহ অন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে ১২, ২৪ ও ৩৬ মাসিক কিস্তিতে তা পরিশোধের ব্যবস্থা রেখেছে। বিদেশে যাওয়ার ৩ মাস পর থেকে ঋণের মাসিক কিস্তি শুরু হয় এ ব্যাংকের।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলার


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১৭ মে, ২০২১, ১১:৪৬
বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলার

ফাইল ছবি

দেশে চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) মাথাপিছু আয় গত অর্থবছরের তুলনায় এবার ১৬৩ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান বছরে মাথাপিছু আয় হয় ২ হাজার ২২৭ ডলার। গত অর্থবছর (২০১৯-২০) ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার।

আজ ১৭মে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য তুলে ধরেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে তথ্য  নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী একটা বিষয় জানিয়েছেন, সেটা আমাদের উন্নয়নের সাথে জড়িত। আমাদের ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগের তুলনায় এবছর মানুষের মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।'

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, 'গত অর্থবছরে জিডিপি ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি, এবার এটা হয়েছে ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। যদিও পরিসংখ্যান এখনও পূর্নাঙ্গ হয়নি। অর্থ বিভাগ থেকে প্রাথমিকভাবে একটা হিসাব দেওয়া হয়েছে।'

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'জিডিপিও বেড়েছে, মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বেড়েছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারকে টাকায় রূপান্তর করলে হয় এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা (প্রতি ডলার ৮৪ দশমিক ৮১ টাকা ধরে)। এটা বাংলাদেশর ইতিহাসে বিশাল এক অর্জন।'

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

রিজার্ভ একটু কম-বেশি হবেই: প্রধানমন্ত্রী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২, ০৭:৩৪
রিজার্ভ একটু কম-বেশি হবেই: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এটা একটু কম-বেশি হবেই। কিন্তু আমাদের নানা লোকজন রয়েছে যারা এটা নিয়ে নানারকম মন্তব্য এবং গুজব করে বেড়ায়।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের ৩ মাসের খাদ্য কেনার যে রিজার্ভ সেটা থাকলেই যথেষ্ট। তবে ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্যপণ্যে পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে, নিজের দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের যে উর্বর জমি ও জনসংখ্যা রয়েছে তাতে উদ্যোগ নিলে আমরা সেটা করতে পারি। শুধু উৎপাদন নয় খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ আধুনিকীকরণ করতে হবে এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পও ব্যাপকভাবে গড়ে তুলতে হবে। এতে করে দেশের মানুষের জন্য যেমন একটা বাজার তৈরি হবে আবার বিদেশেও আমরা রপ্তানি করতে পারব।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদের, তারই সঙ্গে শুরু হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যুদ্ধ অর্থহীন। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এই যুদ্ধ শুধুমাত্র যারা অস্ত্র তৈরি করে তারাই লাভবান হচ্ছে, আর সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই যুদ্ধ, শুধু যুদ্ধই না তার সঙ্গে আবার স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা)। এই স্যাংশন, পালটা-পালটি স্যাংশনের ফলে আজকে সারা বিশ্ব অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে এবং তারা এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়, জ্বালানি সাশ্রয়, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত এবং সে কারণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেখানে আমাদের মতো দেশ, কেবল আমরা উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা একটা লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আপ্রাণভাবে, আর তখনই এই ধরনের বাধা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।’

আমাদেরকে থেমে থাকলে চলবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যাপারে সব দেশই কিন্তু নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরাও সেটা অনুসরণ করছি।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টেনিয়াল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দরকার হচ্ছে একটা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। কেননা আমাদের যুব সমাজ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে এবং আমরা তা নিচ্ছি।’

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সূত্র: বাসস

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অর্থনীতি