a
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-মার্চ, ২০২১
মুক্তসংবাদ প্রতিদিন নিউজ পোর্টালে দেশব্যাপী (জেলা, উপজেলা ও ক্যাম্পাস) পর্যায়ে নিয়োগ চলছে। অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) অনলাইনে পাঠাতে হবে। ইমেইল: msprotidin@gmail.com; মোবাইল নাম্বার: ০১৯১১৬৮০৮৭৪
আবেদনকারীর অবশ্যই পালনীয় -
# কর্মরত জেলা ও উপজেলার স্থায়ী বাসিন্ধা হতে হবে।
# অফিসের নিদের্শে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।
# অন্য কোন অনলাইন পত্রিকায় কাজ করা যাবে না।
# কপি নিউজ করা যাবে না।
# দুনীতির সংবাদে যথাযথ প্রমাণ পাঠাতে হবে।
# রাষ্ট্রদ্রোহী ও স্বাধীনতাবিরোধী নিউজ করা যাবে না।
# কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়া যাবে না।
# সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অফিস আদালতে দালালি করা যাবে না।
# নিয়োগের পরে প্রতিনিধি গ্রুপে সংযুক্ত করা হবে এবং সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা
সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে।
সরাসরি যোগাযোগ: ১৪ পুরানা পল্টন, ৯মতলা, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
ছবি: সংগৃহীত
স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও স্বকীয়তার চেতনায় মোড়ানো মাস ফেব্রুয়ারি। জাতীয় চেতনা স্ফুরণের মাস ফেব্রুয়ারি। ভাষা রাষ্ট্রের জন্ম দিতে পারে, এই উদাহরণ সৃষ্টির মহিমায় মোড়া এই মাস। এ মাসের আগমনী সুরে বদলে যায় জাতীয় মন ও মানস। গোটা জাতি বাঁধা পড়ে যায় এক সূত্রে। এক ভাষা, এক সুর, এক চেতনায় বিলীন হয়ে যায় ধর্মীয় ও জাতিগত ভেদাভেদ।
ছোট বড় সকলে এক সারিতে এসে দাঁড়ায় এই মাসে। জাতীয় ঐক্যতানের এক অপূর্ব রঙধনু দ্যুতি ছড়ায় এই মাসে। ভাষাকে কেন্দ্র করে রকমারি আয়োজনের মধ্যে হারিয়ে যায় বাংলা ভাষা আন্দোলনের গোড়ার কথা। হারিয়ে যায় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রসঙ্গ, বাংলা ভাষার বর্তমান অবস্থানের স্বপ্নদ্রষ্টা যিনি। আমরা কুণ্ঠাবোধ করি অধ্যাপক আবুল কাসেম এবং তমদ্দুন মজলিসের কথা স্মরণ করতে। আমাদের স্মৃতির মোহনা থেকে হারিয়ে যায় কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের অবদানের কথা। অথচ এই টুকরো টুকরো অধ্যায়গুলো বাংলা ভাষার অবস্থানকে বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। ভাষার মাসে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি তাদের। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবনের এক অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি আমাদের জাতীয় স্বাতন্ত্র্য ও চেতনাবোধকে শাণিত করেছে। উদ্দীপ্ত করেছে, উজ্জীবিত করেছে। এক সূত্রে গেঁথেছিল তৎকালীন পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষীদের। পাকিস্তানের প্রভাব বলয়ের ভেতরে ধীরে ধীরে পল্লবিত হয়ে এক সময় বিরাট মহীরুহে রূপান্তরিত ভাষা আন্দোলন ভবিষ্যৎ স্বাধীনতার ভিত্তি রচনা করেছিল।
একই সাথে তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি এস এম মোর্শেদকে সভাপতি করে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে। উদ্দেশ্য ছিল যথোপযুক্ত পরিভাষা তৈরি, প্রয়োজনীয় বই রচনা, শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় ভাষায় পাঠদান প্রক্রিয়া চালুকরণ।
কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, প্রভৃতি বই রচনায় সাফল্য দেখায়। সাথে সাথে নজরুল রচনাবলী (চার খণ্ড), ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচনাবলী, ড. জি সি দেবের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘তত্ত্ব বিদ্যাসার’ প্রকাশ করে। প্রকাশ করে পাকিস্তানের লোককাহিনী। কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড একই সাথে মধ্যযুগের বাংলা পাণ্ডুলিপি ও প্রাচীন বইপত্র সংগ্রহ, মানসম্মত বাংলা মুদ্রণযন্ত্র উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নের জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার মতো কিছু মৌলিক কার্যক্রম গ্রহণ করে। এ ক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে কাজ করেছিলেন ড. মমতাজউদ্দীন আহমেদ (সাবেক ভিসি, রাবি), মো: শামসুল হক (ডিপিআই, ইপি), ড. কাজী মোতাহার হোসেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক মু. আ: হাই, কবি জসিম উদ্দীন, কবি গোলাম মোস্তফা, ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ, ড. মুহম্মদ এনামুল হক। বোর্ড পাঠ্যপুস্তক রচনা ও প্রকাশের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা পাঠ্যক্রম তৈরিতে অভ‚তপূর্ব সাফল্য দেখায় বোর্ড। পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের বাংলা পরিভাষায় বই রচনায় তাদের অবদান আজো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে হয়।
তালপাতায় লেখা পুঁথি ও অসংখ্য দুর্লভ বই সংগ্রহ করে এক সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড যা পরবর্তী সময়ে বাংলা একাডেমির সাথে একীভূত হয়ে যায়। বোর্ডের অর্থায়নে ও পৃষ্ঠপোষকতায় অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর বাংলা কি-বোর্ডের (মুনীর অপটিমা) আধুনিকায়ন বোর্ডের একটি অনন্য অবদান। একই সাথে বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়াটিক সোসাইটিকে বাংলা ভাষায় সাহিত্য সাময়িকী, বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা, ইতিহাস সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান এক অভ‚তপূর্ব কর্মচাঞ্চল্য তৈরি করে। বোর্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ভাষা সাহিত্য সপ্তাহ’ বাংলা ভাষা চর্চার ক্ষেত্রে অন্যরকম আরেকটি মাইলফলক। প্রদর্শনীতে বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিবর্তন; চর্যাপদ থেকে শুরু করে ক্রমধারায় নজরুলকে ধারণ করে তালপাতার পুঁথি, তুলোট কাগজে লেখা দুর্লভ বইপত্র প্রদর্শন করা হয়। আয়োজন করা হয় কয়েক প্রস্থ সেমিনারের, প্রাচীন বাংলা সাহিত্য, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য, আধুনিক বাংলা সাহিত্য প্রসঙ্গে আলোচনা উপস্থাপন করেছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ড. এনামুল হক ও সৈয়দ আলী আহসান। আলোচকমণ্ডলীর ভেতর ছিলেন অধ্যাপক আহমদ শরীফ, ড. নীলিমা ইব্রাহিম, অজিত গুহ, মুনীর চৌধুরী ও সৈয়দ মুর্তজা আলী। বাংলা ভাষা উন্নয়ন ও চর্চার ক্ষেত্রে এ ধরনের আয়োজন আর হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। বোর্ডের আরেকটি মহতী উদ্যোগ ছিল ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ রচনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগকে আর্থিক মঞ্জুরি- যদিও কার্যত ইতিহাস রচনার কাজ সম্পাদিত হয়নি।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলা একাডেমি এবং বাংলা উন্নয়ন বোর্ডকে একীভূত করা হয় ড. মযহারুল ইসলামকে একই সাথে উভয় প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে। উচ্চশিক্ষা, অফিস আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের ক্ষেত্রে বোর্ডের কার্যক্রম আজো প্রশংসার দাবিদার। স্বল্প সময়ে ৩৫ হাজার ৮৭টি দুর্লভ বিভিন্ন ভাষার বই, পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী ছাড়াও বিভিন্ন মানচিত্র এবং মুদ্রা সংগ্রহ করে এক বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়েছিল ভবিষ্যতে বাংলা ভাষার বিস্তারের লক্ষ্যে। বাংলা একাডেমির লাইব্রেরিতে পুরোনো বইয়ের সংগ্রহ তালিকায় বোর্ডের সংগৃহীত বই তাদের ঐকান্তিক একনিষ্ঠ চেষ্টার কথা, সফলতার কথা সগৌরবে ঘোষণা করছে। সূত্র: নয়াদিগন্ত
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি: ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ( সম্মান) ১ম বর্ষে এ, বি, সি, ডি ও ই ইউনিটে বিষয়প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ১ম মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ( শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ হয়।
এবার এ
❝এ ইউনিট (বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদ) ❞ এ
"প্রথম শিফটে" সাইন্স থেকে ২৮৪টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩৩০তম পর্যন্ত।
"দ্বিতীয় শিফটে" সাইন্স থেকে ২৮৭টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩২৯তম পর্যন্ত।
"তৃতীয় শিফটে" সাইন্স থেকে ২৮৯টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩৭১তম পর্যন্ত।
❝বি ইউনিট ( কলা ও আইন অনুষদ )❞ এ
"প্রথম শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২৮টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩৪তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১৮৭টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২১১তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৫০টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৬১তম পর্যন্ত।
"দ্বিতীয় শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২৮টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩১তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১৮৭টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২২৫তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৪৯টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৬০তম পর্যন্ত
"তৃতীয় শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২০টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২৪তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১২৮টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ১৫৯তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৩৩টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৪১তম পর্যন্ত।
❝সি ইউনিট ( বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ❞ এ
"প্রথম শিফটে " এ বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২৩০টি সিটের বিপরীতে সাবজেক্ট গিয়েছে ২৪০তম পর্যন্ত।
এবং "তৃতীয় শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২৩০টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২৪২তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১৬টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ১৬তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৪৪টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৪৫তম পর্যন্ত।
❝ডি ইউনিট ( সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ)❞ এর
"প্রথম শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ৩১টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩১তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১৮৪টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২০৭তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৬৪টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৭৭তম পর্যন্ত।
"তৃতীয় শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২৯টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩১তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১৮৬টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২২৯তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৬৬টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৭১তম পর্যন্ত।
❝ই ইউনিট ( চারুকলা অনুষদ) ❞ এ
৬০টি সিটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৬৪তম পর্যন্ত।
উক্ত ইউনিট গুলোতে বিষয় প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আগামী ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখ হতে ৫ মে, ২০২৫ তারিখের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে নিজ নিজ প্যানেলে লগ ইন করে ভর্তি ফিস জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ, বি
( ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, সংগীত, নাট্যকলা) বিভাগ ও ই ইউনিটের জন্য ভর্তি ফিস ১২,৪০০ টাকা এবং বি ( ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, সংগীত ও নাট্যকলা) বিভাগ ছাড়া ও সি ইউনিটের জন্য ১০,৪০০ টাকা ভর্তি ফিস নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভর্তি ফিস জমাদানকারী শিক্ষার্থীদের আগামী ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখ হতে ৬ মে, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সরাসরি সংশ্লিষ্ট ডিন অফিসে "এসএসসি ও এইচএসসির মূল নম্বর পত্র, প্রত্যবেক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষরিত এডমিট কার্ড, প্রিন্টকৃত ভর্তি ফরম এবং সদ্য তোলা ৪ কপি পার্সপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি " জমা দিয়ে বিভাগ হতে কাগজপত্র জমাদান স্লিপ সংগ্রহ করে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।