a
ফাইল ছবি
সএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন ১৯ হাজার ৩৫৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। আর পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য ২৪ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসিতে প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলে কোরআন মজিদ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২ হাজার ২৬৪টি কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ১৮ হাজার ২৯২ জন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
কুমিল্লার লাকসামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে তিনগুণ বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় লাকসামে ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৯ জনের নতুন করে করোনা পজেটিভ আসে। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় তিনগুণের বেশি।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পৌরসভার পশ্চিমগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা প্রাশাসনের পক্ষ থেকে স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লাকসাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গতকাল সোমবার এখানে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় মঙ্গলবার ২১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৯ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।
নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে পৌর এলাকার পশ্চিমগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৮ জন করোনায় আক্রান্ত।
আক্রান্ত শিক্ষকরা হলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সম্পা রানী সাহা, সহকারী শিক্ষক মো. শাহ আলম, মো. একরামুল হক খন্দকার, মন্টু চন্দ্র ঘোষ, উম্মে কুলসুম, বিলকিছ নাসরিন, কামরুন্নাহার ও রুবিনা ইসলাম।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সম্পা রানীর তথ্য মতে, শনিবার আমি ও আমার এক সহকারী জ্বরের কারণে ছুটি কাটিয়েছি। রবিবার প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হই, পরের দিন আরও দুই শিক্ষককে অসুস্থতা অনুভব করতে দেখি। মঙ্গলবার স্কুলে আসার আগেই আমি এবং আমার স্বামী লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করতে যাই। পরীক্ষায় আমাদের দুই জনেরই রেজাল্ট পজিটিভ আসে। পরে স্কুলে এসে পুরুষ শিক্ষকদের করোনা পরীক্ষা করতে পাঠাই। তাদেরও রেজাল্ট পজিটিভ আসায় নারী শিক্ষকদের পরীক্ষা করা হয়, তাদেরও রেজাল্ট পজিটিভ আসে। বিষয়টি লাকসাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন স্যারকে অবহিত করি। পরবর্তীতে তিনি স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেন।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। তাছাড়া রোগীদের চিকিৎসা সেবায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ সর্বদা তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
লাকসাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন আরো জানান, আমরা দুপুর ১২টায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করি। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ কে এম সাইফুল আলম, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী অফিসার (সিইও) নিলুফার ইয়াসমিন এবং পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন আহমেদও করোনায় আক্রান্ত। তারা সকলেই হোম আইসোলেশনে আছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ভারতের বর্ধিত শুল্কারোপের পেঁয়াজ দেশে আসার আগেই ব্যবসায়ীরা মূল্য বাড়িয়ে অস্থির করে তুলেছে বাজার। গত দু’দিনে আমদানি পর্যায়ে ১০ টাকা এবং খুচরায় কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত এর মূল্য বাড়ানো হয়। অতিমুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীরা কাজটি করেছে।
স্থলবন্দরগুলোর কাস্টমসের তথ্য মতে, ভারতের রফতানি শুল্ক বাড়ানোর কোনো পেঁয়াজ এখন পর্যন্ত দেশে প্রবেশ করেনি। মূল্য বৃদ্ধির পরিস্থিতি সামাল দিতে দিনাজপুরে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অপর দিকে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চীন, জাপান, ইরান, মিসর ও তুরস্কসহ যে কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আনতে চাইলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা বলেছে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট শনিবার ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে ভারত। অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণে একটি ব্যবস্থা হিসাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সংবাদের পরপর বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা দেখা দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে পেঁয়াজের মূল্য দাঁড়িয়েছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা কেজি। বেনাপোলের আমদানিকারক জান্নাত এন্টারপ্রাইজের মালিক আল মামুন গণমাধ্যমকে জানায়, সবশেষ ভারত থেকে ৩৮ থেকে ৪৬ টাকায় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বর্ধিত শুল্কারোপের পর পেঁয়াজ আমদানি করলে তার মূল্য পড়বে কেজি প্রতি ৫৩ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত। অথচ পুরোনো আমদানিকৃত পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে শতটাকা কেজি।
প্রশ্ন উঠেছে বাজার মনিটরিং দুর্বল ব্যবস্থা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মনিটরিং দুর্বল না। আসলে খোলা বাজার অর্থনীতি। সেখানে বাজার কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কাজেই ইচ্ছা করলেই বাজার মনিটরিং করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। বিষয়টি নির্ভর করছে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা কেন সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছি না। আসলে সিন্ডিকেট ভাঙা অনেক কঠিন। তবে পেঁয়াজ সেলফলাইফ বাড়াতে পারলে ভবিষ্যতে এ নিয়ে সমস্যা থাকবে না।
রাজধানীর পাইকারি আড়ত শ্যাম বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা। যা দুই দিন আগে ৬০-৬৫ টাকা ছিল। বিদেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকা, যা আগে ৪৫-৫৫ টাকা ছিল।
রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। আর পাড়া-মহল্লার দোকানে ১০০ টাকা। গত দুই দিন আগেও ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর