a
ফাইল ছবি
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সিটের জন্য আবেদন। আগামী ১লা অক্টোবর ২০২১ তারিখ হতে অনলাইনে হলের সিটের জন্য আবেদন করা যাবে। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম এবিষয়টি জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধিদের নিশ্চিত করেছেন।এবিষয়ে আগামীকালের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। ছাত্রীরা যেন দ্রুত হলে উঠতে পারে এজন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত তার সবই করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর তৎকালীন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ, এম.পি বাংলাবাজারে অবস্থিত বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০ই অক্টোবর ২০১৪ তারিখে ৯ম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ড. এ.কে আজাদ চৌধুরী।
প্রায় ৭ বছর পর নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং গত ২০ই অক্টোবর ২০২০ তারিখে জবির এ হলের শুভ উদ্ভোদন ঘোষণা করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। বর্তমানে হলের প্রভোস্টের দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম এবং আবাসিক শিক্ষক হিসেবে আছেন সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারনে এতদিন হলে ছাত্রী উঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। কিন্তু আগামী ৭ই অক্টোবর ২০২১ থেকে জবিতে সশরীরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সে বিষয়টি সামনে রেখে ইতোমধ্যে অনেকবার হলে ছাত্রী উঠানোর গুঞ্জন শুরু হলে প্রতিবারই পিছিয়ে যায়। এবার আর পেছানোর সুযোগ নেই বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা। তবে ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু না হওয়া পর্যন্ত হল খুলে দেওয়া হবে না বলে পূর্বে জানানো হয়েছিল।
সংগৃহীত ছবি
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও বাড়ানো হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ছুটি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ছবি সংগৃহীত: খালেদা জিয়া
নিউজ ডেস্ক: অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে উন্নত চিকিৎসার্থে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের বিশেষ উপহার রয়েল কাতার আমারি বিশেষায়িত ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ যোগে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। তাঁকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ১১টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দরে তাঁকে ভিআইপি প্রটোকল প্রদান করবে হিথ্রো কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরে বেগম জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমানসহ পরিবারের সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।
ছবি: খালেদা জিয়ার এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে জনতার ভিড়
অর্ধযুগেরও বেশি সময় পর দেখা হবে মা ও ছেলের। যুক্তরাজ্যে পৌঁছে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে বিএনপি চেয়ারপারসনকে সরাসরি পশ্চিম লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল (অ্যাডভান্স হেলথকেয়ার সেন্টার) ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ নেওয়া হবে এবং সেখানেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হবে বলে যুক্তরাজ্য বিএনপির একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ৮০ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন।
যুক্তরাজ্য যাত্রার আগে প্রিয় নেত্রীকে বিদায়ি শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানের বাসা ফিরোজার সামনে ছিল দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। এর ফলে একপর্যায়ে ফিরোজার সামনের রাস্তাটিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা ছিল ব্যাপক, অপরদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।
বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বেলা ৩ টায় ফিরোজায় প্রবেশ করেন। নেতা-কর্মীদের ভিড় ঠেলে ফিরোজা থেকে রাত ৮টায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি গুলশান-২-এর চৌরাস্তা হয়ে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ ধরে বনানী-কাকলী পয়েন্ট দিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। তাঁকে বহনকারী কাতার আমিরের বিশেষ বিমান ‘রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’টি সোমবার ঢাকায় পৌঁছায় সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে।
টিউলিপ লন্ডনের সেই ফ্ল্যাটটি নিয়ে মিথ্যাচার করায় মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে তাঁর রাজকীয় বহরের এই বিশেষ বিমান দিয়েছেন। দলীয় চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে গুলশানের বাসা ফিরোজা এবং বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতা দল ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।
ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ৬জন সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া বেগম জিয়ার সঙ্গে তাঁর ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বিদেশের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে আল্লাহর রহমতে আবারও সবার মাঝে ফেরত আসতে পারেন সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটিসহ দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন