a
ফাইল ছবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য ১ হাজার ৮৮৯টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখ ৭ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থীর। সে হিসেবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বে ১৬৩ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) এবং কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২০ জুন থেকে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বাড়িয়ে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে শনিবার (১৪ আগস্ট) রাত ১২টা পর্যন্ত ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পেয়েছে।
জাবি কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসান জানান, এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রাথমিক আবেদন শেষে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেছেন মোট তিন লাখ ৭ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী। যা গত বছরের তুলনায় ৫১ হাজার ৯৮৪ জন কম।
তিনি আরও জানান, এ বছর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মোট ৯টি ইউনিটের জন্য পৃথকভাবে ফরম পূরণ করতে হয়েছে। এর মধ্যে এ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ) ৬৮,২০২ জন, বি ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ) ৩৭ হাজার ৮৪৭ জন, সি ইউনিট (কলা ও মানবিক অনুষদ) ৪১ হাজার ৬৭৭ জন, সি ১ ইউনিট (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগ) ১০ হাজার ২৬৮ জন, ডি ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ৬৯ হাজার ১২৯ জন, ই ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ১৮ হাজার ৩৩ জন, এফ ইউনিট (আইন অনুষদ) ২৪ হাজার ৭৩ জন, জি ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ৮ হাজার ৮৬১ জন, এইচ ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) ২৩ হাজার ২৪০ জন এবং আই ইউনিট (বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) ৬ হাজার ৭১০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।
ভর্তি পরীক্ষা কবে নাগাদ হতে পারে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমরা ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের বিজ্ঞপ্তিতেই জানিয়েছে যে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এখনো সেই সিদ্ধান্ত বহাল আছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের জানানো হলেই পরে আমরা জানিয়ে দিতে পারবো।
ছবি সংগৃহীত: কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
কোটা আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদের খোঁজ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ থাকার ৫ দিন পর গতকাল বুধবার আসিফ ও বাকেরকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়েছে বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দুজনই নিশ্চিত করেন। আর রিফাত এখন অবধি আত্মগোপনে আছেন।
এই তিন ছাত্রই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। আসিফ মাহমুদকে রাজধানীর হাতিরঝিল ও আবু বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয় বলে তাঁরা নিজেরাই জানান। তাঁদের কে বা কারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, ফেসবুক পোস্টে তা স্পষ্ট করে বলেননি। আর রিফাত ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গুম হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম।’
আসিফ মাহমুদ বিকেলে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গত ১৯ জুলাই রাত ১১টায় আমাকে হাতিরঝিলের মহানগর আবাসিক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। চলমান আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দিতে চাপ দেওয়া হয়। না মানায় ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস (অচেতন) করে রাখা হয়। এই চার-পাঁচ দিনে যতবার জ্ঞান ফিরেছে, ততবার ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস করে রাখা হয়। আজ বুধবার বেলা ১১টায় আবার একই জায়গায় চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায়।’
আসিফ আরও লিখেছেন, ‘এখন আমি পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসারত আছি। এই কয়েকদিনে যা ঘটেছে, তা জানার চেষ্টা করছি। কিছুটা সুস্থ হলেই সমন্বয়কদের সাথে কথা বলে আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত বলব।’
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফেসবুক পোস্টে বাকের লিখেছেন, ‘আমাকে ১৯ জুলাই সন্ধ্যার পর ধানমন্ডি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং আন্দোলন বন্ধে স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) দিতে বলায় আমি অস্বীকৃতি জানালে একটা অন্ধকার কক্ষে আটকে রাখে। যে এলাকা থেকে তুলে নেয়, তার পাশের এলাকায় আমাকে চোখ বেঁধে ফেলে যায়। আমি এখন আমার পরিবারের সাথে নিরাপদে আছি। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আপনাদের সামনে সবিস্তারে সব বলব।’
সোয়া সাতটার দিকে রিফাত রশীদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি বেঁচে আছি, মরি নাই। আমি গুম হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম। সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত মেনেই আমি নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়েছিলাম। তারপর এই সাপ-লুডুর জীবন। আজ এর বাড়ি তো কাল ওর বাড়ি। এর মধ্যে যতবার ফোন কানেক্ট করার চেষ্টা করেছি, ততবারই ফোন ট্র্যাকিংয়ের শিকার হয়েছি। জানি না, কতক্ষণ নিরাপদে থাকব।’
আসিফ ও বাকেরের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। রিফাত রশীদের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আসিফ মাহমুদের বাবা মো. বিল্লাল হোসেন বলেছিলেন, ‘পত্রিকায় আসিফের গুমের খবর দেখে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তালাশ করেছি। তাকে পাই নাই। এখন আমার একটাই আবদার, আসিফের সন্ধান চাই।’ আন্দোলনের অন্য সমন্বয়কেরাও আসিফের সন্ধান দাবি করেন।
গতকাল সন্ধ্যায় আসিফের বাবার মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও নন্দীপাড়ার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে তুলে নেওয়া হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর তাঁকে পূর্বাচল এলাকায় ফেলে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আলটিমেটাম শেষ হবে আগামীকাল
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম আজ গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা চার দফা ‘জরুরি দাবি’ পূরণে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার যে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন (আলটিমেটাম), তার সময়সীমা আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শেষ হবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামীকাল যে কোনো সময়ে সংবাদ সম্মেলন বা অন্য কোনো উপায়ে তাঁরা গণমাধ্যমকে পরবর্তী বক্তব্য বা অবস্থান জানাবেন। সূত্র: প্রথম আলো
সংগৃহীত ছবি
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাসাকা প্রদেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি বহরকে আটকে দিয়েছে সেই এলাকার সাধারণ জনগণ। সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের মোতায়েনের কারণে দেশটির জনগণ যে প্রচণ্ড সংক্ষুব্ধ সামরিক বহর আটকে দেয়ার ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বহরে চারটি গাড়ি ছিল কিন্তু জনতার বাধা ও অনড় অবস্থানের কারণে মার্কিন সেনারা বহর নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এসময় লোকজন মার্কিন সামরিক বহরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বহরের সঙ্গে কুর্দি গেরিলাদের একটি গাড়িও ছিল। সিরিয়ার কুর্দি গেরিলাদেরকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে আসছে আমেরিকা।
এদিকে, গতকাল (মঙ্গলবার) একটি বিশাল সামরিক বহরে করে সিরিয়ার হাসাকা প্রদেশ থেকে কয়েক টন গম ইরাকের আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত কুর্দিস্তানে নেয়া হয়। ওই বহরে অন্তত তিন ডজন ট্রাক ছিল। কুর্দি প্রভাবিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ’র গেরিলারা এসব ট্রাক পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।