a
ফাইল ছবি
করোনার (কোভিড-১৯) প্রকোপের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম) শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ স্থগিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এর আগে গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল।
গতকালের আদেশে বলা হয়েছে, ‘দেশে করোনাভাইরাস মহামারির বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হলো।’
ফাইল ছবি
চলতি বছরের পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ফলে এ বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায় যে, এ বছর পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার বিষয়ে আগে থেকে সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। তাই চলতি বছরের পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করতে ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
ফাইল ছবি
প্রথম আলো প্রত্রিকার অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বিনা অনুমতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফাইলের ছবি তোলা এবং কিছু কাগজ পত্র লুকিয়ে রাখার অভিযোগ করে মামলা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দায়ের করা অফিশিয়াল সিক্রেক্টস আইন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন রোজিনা ইসলাম। গত ২০ মে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ হয়, জামিন আবেদন বিষয়ে শুনানি হয় আজ ২৩ মে (রবিবার)। পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তের ভিত্তিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও নির্যাতন করা হয়। পড়ে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়।
শুনানিতে রোজিনা ইসলামের আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, সৃজিত ও উদ্দেশ্যমূলক। জামিন পাওয়ার অধিকার তিনি সংরক্ষণ করেন। এটা তাঁর প্রাপ্য। তবে মামলার ধারাগুলো জামিন অযোগ্য বলে দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ।
শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ মে রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তাঁকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাকে আদালতে প্রেরণ করেন
মামলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি ছিল, করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়, সংগ্রহ সংক্রান্ত গোপনীয় নথি নাড়াচাড়া ও শরীরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এ সব নথি জনগণের সামনে এলে অন্যান্য দেশের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।