a
ফাইল ছবি
দেশে দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষগুলো আগে থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে তা পালন না করতে পারায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই অধ্যক্ষের নেতৃত্বে গঠিত মনিটরিং কমিটির সদস্য শিক্ষকদেরও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে তাদের সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবার সচেতনতা একরকম নয়। যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবেন, তাদের একটু সচেতন থাকতে হবে। স্কুলের প্রতিটা আনাচে-কানাচে খুঁজে দেখতে হবে। কোথাও যেন ময়লা না থাকে। যতটা ভালো পারা যায়, আমরা চেষ্টা করছি।
শিক্ষামন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য প্রত্যেক জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। পরে এর নম্বরগুলো প্রচার করা হবে। যে কেউ এসব নম্বরে ফোন করে যদি জানান, যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোনও রকম সমস্যা আছে, আমরা তা সমাধানে ব্যবস্থা নেবো।’
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: দেশের সর্বস্তরের মানুষ কোন না কোনভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ৫ ই আগস্টের পর এই বৈষম্যগুলো যেন আরো বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে। সকল পেশাজীবীদের মত সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন শিক্ষকরা।
আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি, শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনে শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা, সর্বজনীন বদলি, ইবতেদায়ির নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন, ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা, অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যানের অর্থ প্রদানের দাবিতে "শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আজ ১৫ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে অধ্যক্ষ মোঃ মাঈনউদ্দিনের সভাপতিত্বে, উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ নাসির উদ্দিন খান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মাহবুবুর রহমান, ড. মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, ড. মোর্শেদ আলম ছালেহী, ড. মুহাম্মদ আবু ইউসুফ, মুফতি বদিউল আলম সরকার, ড. মোঃ আবু ছায়েম, ড. মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মোঃ লুৎফর রহমান, জনাব মোঃ রেজাউল হক, মাওলানা শেখ নজরুল ইসলাম, মো: নুরুল হুদা, মোসলেহউদ্দিন, কারি মোঃ রফিকুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ আহমদ উল্লাহ, সেতারা পারভীন, প্রফেসর ড. ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।
সবার শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, মোঃ আবদুর রহমান, মহাসচিব, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষক কর্মচারি জোট।
সংগৃহীত ছবি
আজ রবিবার ১৮ এপ্রিল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে দুইটি পিসিয়ার মেশিনসহ তিন কোটি টাকার গবেষণা সরঞ্জাম। বিশ্বিবিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইনস্ট্রুমেন্টাল একসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২০ পায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ।
বাংলাদেশ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। গত বছর ২৭ মে সিডিং ল্যাবের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ এওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ বিজ্ঞানীদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য স্বল্প খরচে উন্নত মানের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. দিলারা ইসলাম শরীফ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘গত বছর বিশ্বের ১০টি দেশের মোট ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এওয়ার্ডটা পেয়েছি। যে গবেষণা সরঞ্জাম আমরা পেয়েছি, এতে করে একটি উচ্চ মানসম্পন্ন ল্যাব তৈরি করতে পারবো। যা বায়োটেকনোলজিক্যাল গবেষণার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ২ টি পিসিআর মেশিন, ল্যামিনার ফ্লো, মাইনাস ২০ ডিগ্রি ফ্রিজসহ প্রায় ৯৪ টি উচ্চতর গবেষণা ইকুয়েপমেন্ট।’
উনি আরো বলেন,"বর্তমান এ করোনা মহামারীর সময়ে হয়তো পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার প প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ না পাওয়ায় আমরা এখন করোনা টেস্ট করতে পারবে না।কিন্তু নতুন স্ট্রেন গুলো নির্ধারণ করে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা কিংবা এর প্রতিরোধ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া সম্ভব হবে। যা করোনা টেস্ট এর চেয়েও অধিক গুরুতর হবে বলে আমরা মনে করি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগে উন্নতমানের এসব যন্ত্রপাতি বসিয়ে একটি আদর্শ ল্যাব তৈরি করতে পারলে ভবিষ্যতে আরো সুদূরপ্রসারী স্থানে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমরা কাজ করতে সম্ভবপর না হলেও পরবর্তীতে আমরা এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে হয়তো উন্নত বিশ্বের সামনে নতুন নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও বিশ্লেষণমূলক কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবো।"
উল্লেখ্য, আমেরিকার সিডিং ল্যাব নামের একটি বেসরকারি সংগঠন এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। যার উদ্দেশ্য নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের নতুন কিছু আবিষ্কার ও গবেষণায় উৎসাহিত করা। জানা যায়, এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে গবেষণার যন্ত্রপাতি বিশ্বের ১০টি দেশের ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি বিভাগে সরবরাহ করবে। এছাড়া যারা মনোনীত হয় তাদেরকে বিশ্বব্যাপী সিডিং ল্যাবের অন্য বিজ্ঞানীদের সংস্পর্শে আসার সুযোগ থাকবে।