a
ছবি সংগৃহীত: অভিনেত্রী অঞ্জনার প্রথম জানাজা বিএফডিসিতে
নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে অভিনেত্রীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে বিএফডিসিতে। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিনোদন অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় অভিনেত্রীর মরদেহবাহী গাড়িটি প্রবেশ করে চলচ্চিত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসির ভেতরে। সেখানে অঞ্জনাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিচালক ছটকু আহমেদ, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও অভিনেতা সনি রহমানসহ চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতের অনেকে।
এ সময় অঞ্জনার ছেলে নিশাত রহমান মনি জানান, বাদ জোহর এফডিসিতে জানাজা শেষে অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে। সেখানে আরেকবার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শেষ শয্যায় শায়িত হবেন অঞ্জনা।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। ইনফেকশন তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর ১ জানুয়ারি (বুধবার) বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় অভিনেত্রীকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালটির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
মৃত্যুর সংবাদ শুনে হাসপাতালে ছুটে যান স্বজন ও চলচ্চিত্রের মানুষেরা। এ সময় শোকে ভারি হয়ে উঠে সেখানকার পরিবেশ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের (অস্কার) ৯৩তম আসরের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হলো। এবার সেরা চলচ্চিত্রসহ সর্বাধিক চারটি বিভাগে সেরা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান ভাষায় নির্মিত ‘প্যারাসাইট’। সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কারের ৯৩ বছরের ইতিহাসে ইংরেজি ব্যতিত অন্যভাষার ছবির জয়ের ঘটনা এটাই প্রথম।
প্রতি বছরের মতো এবারও সেরা ছবি, সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতা, সেরা অভিনয়শিল্পী, সেরা প্রামাণ্যচিত্রসহ ২৩টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করেছে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদানের জমকালো এই আয়োজনে ছিল না কোনও সঞ্চালক। এবিসি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৫টি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় অনুষ্ঠানটি।
একনজরে ৯৩তম অস্কারের বিজয়ীরা
সেরা চলচ্চিত্র: নোম্যাডল্যান্ড
সেরা অভিনেতা: অ্যান্থনি হপকিন্স (দ্য ফাদার)
সেরা অভিনেত্রী: ফ্রান্সেস ম্যাকডরম্যান্ড (নোম্যাডল্যান্ড)
সেরা পরিচালক: ক্লোয়ি জাও (নোম্যাডল্যান্ড)
সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা: ড্যানিয়েল কালুইয়া (জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসায়া)
সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী: ইয়া-জাঙ উন (মিনারি)
সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য: প্রমিসিং ইয়াং ওম্যান (এমারেল্ড ফেনেল)
সেরা অ্যাডাপ্টেড চিত্রনাট্য: দ্য ফাদার (ক্রিস্টোফার হ্যাম্পটন ও ফ্লোরিয়ান জেলার)
সেরা অ্যানিমেটেড ছবি: সৌল (পিট ডক্টর ও ডানা মারে)
সেরা চিত্রগ্রহণ: ম্যাঙ্ক (এরিক মেসারস্মিট)
সেরা পোশাক পরিকল্পনা: মা রেইনি’স ব্ল্যাক বটম (অ্যান রোথ)
সেরা প্রামাণ্যচিত্র: মাই অক্টোপাস টিচার (পিপ্পা এরলিচ, ক্রেগ ফস্টার ও জেমস রিড)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র: কলেট (অ্যালিস ডয়ার্ড ও অ্যান্থনি গিয়াচ্চিনো)
সেরা সম্পাদনা: সাউন্ড অব মেটাল (মিকেল ই. জি. নিলসেন)
সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র: অ্যানাদার রাউন্ড (ডেনমার্ক)
সেরা রূপ ও চুলসজ্জা: মা রেইনি’স ব্ল্যাক বটম (সের্গিও লোপেজ-রিভেরা, মিয়া নিল ও জেমিকা উইলসন)
সেরা মৌলিক সুর: সৌল (ট্রেন্ট রেজনা, অ্যাটিকাস রস, জন বাটিস্ট)
সেরা মৌলিক গান: ফাইট ফর ইউ (জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসায়া)
সেরা শিল্প নির্দেশনা: ম্যাঙ্ক (ডোনাল্ড গ্রাহার বার্ট ও জ্যান পাসকেল)
সেরা শব্দ: সাউন্ড অব মেটাল (জেইম বখত, নিকোলাস বেকার, ফিলিপ ব্লাড, কার্লোস করতেস ও মিশেল কুটোলেঙ্ক)
সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস: টেনেট (স্কট আর. ফিশার, অ্যান্ড্রু জ্যাকসন, ডেভিড লি ও অ্যান্ড্রু লকলি)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড ছবি: ইফ অ্যানিথিং হ্যাপেনস আই লাভ ইউ (মাইকেল গোভিয়ার ও উইল ম্যাককরম্যাক)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: টু ডিস্ট্যান্ট স্ট্রেঞ্জার্স (ট্রেভন ফ্রি ও মার্টিন ডেসমন্ড রো)
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রমণপ্রবণ ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল মাত্র তিন মাস পূর্বে। এরপর কয়েকটি দেশে অবিশ্বাস্যভাবে ছড়িয়ে পড়ে ধরনটি। তবে আশার কথা হচ্ছে, অকস্মাৎ উত্থানের পর এখন দ্রুতই ওমিক্রন ঢেউয়ের পতন ঘটছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ধরনটি শনাক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ কয়েকটি দেশে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি দেশে নজিরবিহীন সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যায় উল্লম্ফন দেখা যায়।
ডেলটার কারণে বিশ্বে এক দিনে সর্বোচ্চ ৯ লাখের মতো কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তবে ওমিক্রনের তাণ্ডব তাকে বহুগুণে ছাড়িয়ে যায়। এ ধরনের প্রভাবে বিশ্বে এক দিনে (গত ২০ জানুয়ারি) ৩৭ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়।
অবশ্য এরপর থেকেই সংক্রমণের গতি কমতে শুরু করে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাবে, গত সোমবার বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ২২ লাখের মতো মানুষ। গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ৫ শতাংশ। এ সময় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩ শতাংশ, ফ্রান্সে ৭ ও ভারতে ২৩ শতাংশ। বাংলাদেশসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্তের হার কমেছে ৮০ ভাগ। তবে জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
ওমিক্রনের দাপটে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও মৃত্যু তেমন বাড়েনি। বর্তমানে বিশ্বে দৈনিক মৃত্যু আট থেকে সাড়ে আট হাজারের কাছাকাছি অবস্থান করছে। ডেলটায় মৃত্যু এক দিনে ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ওমিক্রনের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস মহামারির বিদায় ঘণ্টা বাজবে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি মনে করেন, ওমিক্রনের মধ্য দিয়েই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চলমান মহামারি পর্ব শেষ করে এনডেমিক বা সাধারণ রোগের স্তরে পৌঁছাতে পারে। এনডেমিক পর্যায়ে একটি ভাইরাসজনিত রোগ কোনো এলাকায় সাধারণ রোগে পরিণত হতে পারে। এর মানে হলো, ওই এলাকায় রোগটি থাকবে, মানুষ আক্রান্তও হবে। তবে এর প্রকোপ ও ভয়াবহতা হবে মহামারি পর্যায়ের চেয়ে অনেক কম; এ রোগের ব্যবস্থাপনাও সহজ হবে। অবশ্য ফাউসি মনে করেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় এখনও আসেনি।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিপ অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের এপিডেমিওলজিস্ট (মহামারি বিশেষজ্ঞ) আলী মোকদাদ ভক্স অনলাইনকে বলেন, ওমিক্রন যাকে পেয়েছে, তাকেই ধরেছে। কাজেই এটা যত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল, ততোধিক গতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কমে আসবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানলে ওমিক্রনের ঢেউ সামাল দেওয়া কঠিন হবে না। সূত্র: সমকাল