a
ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের বর্তমান সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেয়া হবে। পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন মোদি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এরপর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। বিকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাত ৮টায় ১০মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিভিশন’ উদ্বোধন, এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি ও কাশিয়ানী উপজেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে উলু ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে এবং ডঙ্কা ও কাঁসা বাজিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বরণ করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিনই তিনি সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দিরেও যাবেন। এছাড়া বাংলাদেশ সফরে তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অন্যতম। এছাড়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে আসবে বলেও আভাস দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে আজ থেকেই সারাদেশে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন। আজ রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, খুন, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, অপহরণ, নারী নির্যাতন, মব সহিংসতা, মাদক চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার যে কোনো সময় চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে বিশেষ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণসহ সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেন। সরকার জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী যে কোনো কার্যক্রম কঠোর হাতে দমন করবে বলে জানান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ থেকেই চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
নতুন করে গোলাগুলির পর আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে। মঙ্গলবার দুই জন সৈন্য নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ইউক্রেন।
পূর্বাঞ্চলের সীমান্তে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে ইউক্রেনের লড়াই চলছে ২০১৪ সাল থেকে। তবে গত কয়েক দিন থেকে এই উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ইউক্রেনের অভিযোগ, হঠাৎ সীমান্তে রাশিয়া সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে। ৭ বছর আগে ওই অঞ্চলে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয় মস্কো। নতুন করে ইউক্রেন সীমান্তে মস্কোর তৎপরতায় উদ্বেগ জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই উত্তেজনার মাঝেই দ্রুত সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এ বিষয়ে জোটগত সিদ্ধান্ত নেবে ন্যাটো।