a
সংগৃহীত ছবি
আলোচিত নায়িকা পরীমণি রাজধানীর বিভিন্ন সামাজিক ক্লাব ও বারে নিষিদ্ধ হচ্ছেন। সবাই এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে। এর মধ্যে সামাজিক ক্লাবগুলোর কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে পরীমণিকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার।
পরীমণি কিংবা তার মত কাউকে ক্লাবে কোনো সদস্য নিয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, কোন অনাকাংঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট সদস্যের সদস্যপদ খারিজ করা হবে। ক্লাব ও বারগুলোর এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী ও প্রদর্শকরাও।
তারা বলছেন, ব্যক্তি বিশেষের দায়ভার কোনোভাবেই পুরো চলচ্চিত্র জগত নিতে পারে না। পরীমণি বাংলাদেশের সিনেমার বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করেছে। নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছেন চলচ্চিত্র জগত সম্পর্কে। তার কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অন্য অভিনেত্রীরাও।
এদিকে, পুলিশ গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমণির ভাঙচুর ও মাতলামির সকল সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে সত্যতা পেয়েছে। এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বোট ক্লাবের ফুটেজগুলো। প্রয়োজনে পুলিশ পরীমণি ও তার সঙ্গীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সংগৃহীত ছবি
বুধবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই সময়টা বন্ধ থাকবে ছোট-বড় সব সিনেমা হল। তবে ছয়টি বিশেষ শর্তে স্বল্প পরিসরে নাটক ও সিনেমার শুটিং চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনয় শিল্পীরা।
সিনেমার শুটিং প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনে কেউ যদি শুটিং করতে চান তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এখন শুটিং না করাই ভালো বলে মনে করি।’
অন্যদিকে, নাটকের শুটিংয়ের বিষয়ে টিভি নাটকের পাঁচ সংগঠন এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, লকডাউনে সব ধরনের শুটিংয়ের কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার ব্যাপারে আন্তঃসংগঠন একমত পোষণ করলেও জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প পরিসরে ৬টি শর্তে টিভি নাটকের শুটিং করতে পারবেন প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনয় শিল্পীরা।
ছয়টি শর্ত হলো-
১) আন্তঃসংগঠনের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে কাজ করতে হবে।
২) শুটিংয়ের আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান শিল্পী-কলাকুশলীদের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ ও শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অবহিত থাকবেন।
৩) করোনাভাইরাসের তীব্রতার মধ্যে পরিস্থিতি বিচারে কোনো শিল্পী, কলাকুশলীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুটিংয়ে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে জোর করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো শিল্পী সঙ্গত কারণ দেখিয়ে চুক্তিবদ্ধ কাজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারবেন।
৪) ঢাকা শহর অথবা ঢাকার বাইরে শুটিংয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিল্পী-কলাকুশলীদের আনা-নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যবস্থা করবেন।
৫) সদস্যবৃন্দের যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে নিজ নিজ সংগঠনে পরিচয়পত্র সাথে রাখবেন।
৬) যেহেতু প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে, অতিব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। তাই জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হবেন।
এর আগে গত বছরের লকডাউনে প্রায় ছয় মাস সিনেমা হলের পাশাপাশি সব ধরনের শুটিং বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন বিনোদন জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্বল্প আয়ের মানুষরা, বিশেষ করে যারা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন। বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজকরাও। সেই দিক বিবেচনায় এবার শুটিংয়ের বিষয়ে কিছুটা নমনীয় পরিচালক ও শিল্পী নেতারা।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
২২ মে ২০২২ (রবিবার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এর সাথে স্পেন দূতাবাসের উপপ্রধান এমিলিয়া সেলেমিন রেদোন্দো সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এসময় আধুনিক ভাষা ইনষ্টিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক জনাব খন্দকার মোন্তাসির হাসান সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), স্পেন দূতাবাসের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। আধুনিক ভাষা ইনষ্টিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেনিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স অন্তর্ভূক্তিকরন বিষয়ে স্পেন দূতাবাসের সাথে আজ আলোচনা হয়। এর আগে গত (৩ নভেম্বর ২০২১-বুধবার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এর সাথে স্পেন দূতাবাসের উপপ্রধান এমিলিয়া সেলেমিন রেদোন্দো সৌজন্য সাক্ষাতে করেন। তখনি আধুনিক ভাষা ইনষ্টিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেনিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স অন্তর্ভূক্তিকরন বিষয়ে স্পেন দূতাবাসের সাথে প্রাথমিক আলোচনা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড.মোস্তফা কামাল জানান, আধুনিক ভাষা ইনষ্টিটিউট (আইএমএল) এ আজকে স্পেনিশ ভাষা চালু করার বিষয়ে স্পেন দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের সাথে মিটিং হয়েছে। তাদের একদল প্রতিনিধি আমাদের এখানে শিক্ষক হিসেবে থাকবেন এবং শিক্ষার্থীদের স্পেনিশ ভাষার ক্লাস নিবেন।
আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের পরিচালক খন্দকার মোন্তাসির হাসানের কাছে প্রতিনিধি দলের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেনিশ ভাষার কোর্স চালু করতে আগ্রহী। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ তারা পছন্দ করেছেন। জানুয়ারি থেকে স্প্যানিশ ল্যাংগুয়েজ কোর্স চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এমিলিয়া সেলেমিন রেদোন্দো ডরমেটরি ও আই.এম.এল (জবি) ঘুরে দেখে দ্রুত স্প্যানিশ কোর্স চালুর জন্য সকল সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
খন্দকার মোন্তাসির হাসান আরও বলেন, যেসব বিদেশি ভাষার কোর্স গুলো আমরা চালু করব তা যেন সে ভাষার নেটিভ শিক্ষক দ্বারা নিতে পারি। তাহলে আমদের শিক্ষার্থীরা কোর্সে আগ্রহ পাবে। দূতাবাসের সহায়তায় আমরা যদি স্হায়ী ফ্যাকাল্টি পাই তবে অদূর ভবিষ্যতে স্প্যানিশ ল্যাংগুয়েজে অনার্স চালু করার পরিকল্পনা আছে।
আই.এম.এল এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার মনে করেন, এর মাধ্যমে নতুন একটি ভাষা শেখার দ্বার উন্মোচন হবে যেখানে আই.এল.এল সহ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টগুলো এর সুবিধা পাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল ইসলাম রাকিব বলেন, এটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব ভালো একটি উদ্যোগ। স্পেনিশ, ফ্রেঞ্চ, মান্দারিন(চায়নিজ), জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স থাকাটা সময়ের দাবী। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও স্প্যানিশ শেখার প্রতি খুবই আগ্রহী। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডিগ্রির পাশাপাশি যাতে অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোর মাধ্যমে ভিন্ন কিছু শিখতে ও জানতে পারে সেই ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। দেরীতে হলেও স্পেনিশ ভাষার কোর্স চালু হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো।
আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রিসাত রহমান জানান,আসলে আমাদের বিভাগে বিদেশি একটি ভাষার কোর্স চালু হচ্ছে আমরা এতে আনন্দিত। আশা করি এর মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আরো উন্নত হবে।