a
ফাইল ছবি
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বিয়ে করেছেন, এমন গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই চারদিকে শোনা যাচ্ছে। গাজীপুরের রাকিব সরকার নামের একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের সঙ্গেই নাকি ঘর বেঁধেছেন তিনি। সেখানকার কিছু সূত্রে গণমাধ্যমে খবরটি উঠে আসে। যদিও রাকিবের সঙ্গে সম্পর্ককে স্রেফ বন্ধুত্ব বলেই দাবি করেছেন মাহি।
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল মাহি ও রাকিব সরকারের একটি ছবি। যেখানে মাহিকে দেখা যাচ্ছে শাড়ি পরা অবস্থায় এবং রাকিব আছেন পাঞ্জাবীতে।
নেটিজেনদের মতে, এটা তাদের বিয়ের সময়ে তোলা ছবি। ঘরোয়া আয়োজনে তারা বিয়ে করেছিলেন। সে কারণে তেমন সাজসজ্জা নেই। মাহি কিংবা রাকিব নিশ্চিত না করলেও অন্য একটি ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে এই ছবির সমীকরণ মেলালে বিয়ের গুঞ্জনটা পোক্ত হয়। গত ১১ জুন ফেসবুকে মাহি একটি শাড়ি পরে ছবি দিয়েছিলেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে গান, সিনেমা, সবখানে অনুভব করি। আলহামদুলিল্লাহ্’।
মজার ব্যাপার হলো, তিন মাসের আগের ওই ছবিতে মাহির পরনে যে শাড়ি ছিল, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ছবিতেও ঠিক একই শাড়ি। তাই নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিচ্ছেন। অধিকাংশই ধারণা করছেন, দুটি ছবিই বিয়ের সময়ের। তবে গোপন রেখেছেন নায়িকা।
কয়দিন আগেই তিনি বলেছেন, ১৩ সেপ্টেম্বর একটি সারপ্রাইজ দেবেন। অনেকেই মনে করছেন, এদিন বিয়ের কথাই প্রকাশ্যে আনবেন মাহি। উল্লেখ্য, ভালোবেসে সিলেটের ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ অপুকে ২০১৬ সালে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। চলতি বছরের ২৩ মে তিনি জানান, অপুর সঙ্গে আর থাকছেন না। তারা বিবাহ বিচ্ছেদ করছেন।
ফাইল ছবি
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ফোরকান মিঞা জানান, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ভাই আমার কাছে এসেছিলেন তবে মামলা করেননি।
বড়পর্দায় নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। শুক্রবার (১২ মার্চ) মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর পরিচালনায় তার অভিনীত সিনেমা‘তুমি আছো তুমি নেই’। সিনেমাটির পোস্টার ও ট্রেলার প্রকাশ হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। সিনেমার মান নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন। ট্রেলারের একটি দৃশ্যে দীঘির হাতে বোতলের মাইক্রোফোন ব্যবহার নিয়ে ট্রলও হয়েছে।
এদিকে, এসব নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীঘি নিজেই সিনেমাটি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। যে কারণে পরিচালক ঝন্টু চটেছেন দীঘির উপর। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দাবি করেন বরেণ্য এই নির্মাতা। তিনি বলেন, ‘দীঘি, তার বাবা এবং মামা তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি’। তবে ঝন্টুর আইনজীবীর বলছেন উল্টো কথা। ঝন্টুর আইনজীবীর দাবি, মামলা এখনো হয়নি। ঝন্টু তাঁর কাছে এসে চা খেয়ে চলে গেছেন।
ঝন্টু কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন বলে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে বিকেলে ও সন্ধ্যায় দুই দফা তাঁর সঙ্গে কথা বললে তিনি মামলার ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বলেন,‘ঢাকার জজ কোর্টে মামলা করেছি। আমার আইনজীবী মোহাম্মদ ফোরকান মিঞা।’
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী জানান ভিন্ন তথ্য। তাঁর দাবি,‘পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ভাই আমার কাছে এসেছিলেন। শলা-পরামর্শ করে, চা খেয়ে চলে গিয়েছেন। কোনো মামলা করেননি।’তবুও বার বার মামলার কথা শিকার করে বছেন খোদার কসম আমি মামলার নথি পত্রে সাময়িক সাক্ষর করে চলে আসছি বাকিটা আমার আইনজীবী (অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফোরকান মিঞা) জানেন।’
জানা গেছে, আগামী ১২ মার্চ মুক্তির অপেক্ষায় থাকা‘তুমি আছো তুমি নেই’সিনেমার পোস্টার ও ট্রেলারে হতাশ হয়েছেন দর্শকদের একাংশ। অন্তর্জালজুড়ে দীঘি যতটা জনপ্রিয়, ঠিক ততটাই সমালোচনা হচ্ছে প্রথম সিনেমার মান নিয়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, সিনেমাটির ট্রেলার দেখে নিজের ভালো না লাগার কথা জানান দীঘি। তাঁতেই ক্ষুব্ধ হন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে ব্যাকমেইল করে ও হুমকি ধমকি দিয়ে এক মহিলা তাকে বিয়ের করার জন্য তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনকি তার স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল সেই নারী।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে লাইভে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব অভিযোগ করেন কাউন্সিলর খোরশেদ। এ সময় তার পাশেই ছিলেন স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। লাইভের শেষের দিকে স্ত্রীও কথা বলেন এবং রাষ্ট্রের কাছে তার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান।
ফেসবুক লাইভে খোরশেদ জানান, সাইদা শিউলি নামে ওই নারী ভয়ংকর চরিত্রের অধিকারী। তার সঙ্গে প্রশাসন ও উচ্চ মহলের বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের উঠাবসা। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও তিনবার বিয়ে করেছেন। ওই নারীর দুটি সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এবং এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশুনা করেন।
খোরশেদ বলেন, ‘আমি করোনার শুরু থেকেই করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিয়েছি ও সম্মুখে থেকে লডাই করে দাফন সৎকার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। একপর্যায়ে গত মে মাসে আমি ও আমার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হই। তখন অক্সিজেনের অভাবে আমার স্ত্রীকে একপর্যায়ে আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়। তখন একটি সংবাদের নিচে ওই মহিলা কমেন্ট করে জানান, তিনি অক্সিজেন দিতে চান এবং আমার সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেন। তখন থেকেই তিনি আমার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত হন এবং কথা বলা শুরু করেন।’
‘একপর্যায়ে আমি বুঝতে পারি তার মতলব ভিন্ন। আমি তাকে তখন দূরে সরাতে চেষ্টা করি এবং বোঝাই। এরপর তার ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেকেও আমি এসব ঘটনা জানাই, তখন সে আমাকে বলে তার মা হয়তো দুষ্টুমি করছে, এরকম কিছু সম্ভব নয়। কাজ হবে না বুঝে পরবর্তীতে নভেম্বর-ডিসেম্বরে তার ভগ্নিপতিকে জানাই। এতে তিনি আরও ক্ষুব্ধ হন এবং আমার পেছনে উঠেপড়ে লাগেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্মানকে ভয় পাই বলেই এতদিন মুখ খুলিনি। আমি ধৈর্য ধরেছি। কারণ, আল্লাহ হয়তো একটি ফয়সালা করবেন। তবে দুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় দুটি পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে এ সংক্রান্ত নিউজ হওয়ায় আমি নিজেই বিষয়টি সবার কাছে বলতে এসেছি। আমার পাশে থাকার জন্য আমি আমি সাংবাদিক, আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও প্রতিপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ।’
খোরশেদ বলেন, ‘২১ জানুয়ারির পর থেকে হোয়াটস অ্যাপে, ম্যাসেঞ্জারে, টেলিফোনে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন এবং হত্যার হুমকি জানাচ্ছেন ওই মহিলা। আমার পরিবারের সবাইকে মারাত্মক মানষিক অত্যাচার করছেন। সর্বশেষ আমার স্ত্রী ও সন্তান নকিবকে তুলে নিয়ে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেন। আমি এসব ঘটনায় শুরু থেকেই সরকারি সংশ্লিষ্ট সব দফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং অবহিত করেছি। বিভিন্ন ঘটনা ঘটার পর পরই তাদের অবহিত করা হয়।’
তনি বলেন, ‘আমার বাড়ি একটি মরা বাড়ি হয়ে গেছে। একের পর এক লাশ দাফন করি। আবার আমার বাচ্চাদের থেকে এসব কারণে লুকিয়ে থাকতে হয়। ওদের জীবনের ভয়ে আছি আমি। আমার ছেলে মেয়ে আমার চিন্তায়, পারিবারিক অশান্তিতে অসুস্থ হয়ে গেছে। এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার কারণ কি? আমি এসব থেকে মুক্তি চাই আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষকে ব্যবহার করে তিনি আমাদের জ্বালাতন করতেন। এতদিন কষ্ট সহ্য করেছি, আর পারছি না। অনেকে লজ্জায় আমার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন না। আপনাদের কাছে এ ঘটনার বিচার চাই। সাংবাদিক ভাইরা লেখনি ও প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে আমাকে এ অবস্থা থেকে বাঁচান। আমি এ নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই। আমি আমার পরিবারের কাছেও ক্ষমা চাই এসব ঘটনায়।’
কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডের সচিবকে ফোন দিয়ে বলেছেন, আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে ঐ মহিলা হত্যা করবে। আমার সাথে তার সব কথার রেকর্ড আছে। সাংবাদিকসহ যে কেউ চাইলে আমরা এসব রেকর্ডিং দেব। আমি আমার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তা চাই রাষ্ট্রের কাছে।’