a
ফাইল ছবি
ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন।গতকাল শনিবার স্বামী মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সংসার ভাঙার কারণ ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ না করলেও গণমাধ্যমে এ নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। বেশ কিছুদিন ধরেই দুজন আলাদা থাকছেন। মাহিয়া জানিয়েছেন ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ের বোঝাপড়া না হওয়ায় সম্প্রতি তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
মাহি বলেন, মানুষের জীবনে অনেক কিছুই ঘটে। অনেক কিছু ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে।এইটুকু বলব, আমি অপুকে সম্মান করি। আমাদের মধ্যে ব্যক্তিগত বোঝাপড়া নিয়ে কিছু বিষয়ে সমস্যা ছিল। যেটা হয় তো আমাদের সম্পর্ক টিকতে দিল না। এছাড়া আরও কিছু বিষয় ছিল।
‘তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ, তার ও আমার কোনো অসম্মান হোক তেমন কিছু চাইনা।’
২০১৬ সালের ২৫ মে সিলেটের মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে বিয়ে হয় মাহিয়া মাহির।আগামী পরশু তাদের পঞ্চম বিবাহবার্ষিকী।
ফাইল ফটো:
গতকাল সোমবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে নায়ক শাহীন আলম ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কিডনিজনিত জটিলতা নিয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত ৬ মার্চ থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সোমবার রাত ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় এই নায়ক ১৯৮৬ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। ফিল্ম ক্যারিয়ারে অনেক উল্লেখযোগ্য সিনেমা রয়েছে তার। তবে মৃত্যুর আগে অনেক বছর ধরেই তিনি ছিলেন সিনেমা জগতের বাইরে ছিলেন। মৃত্যুর আগে কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে ইসলামকে ভালোবেসে অভিনয় ছেড়ে দেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
শাহীন আলম বলেছিলেন, ‘আমি তো মুসলমান। পরকালে বিশ্বাসী। আমাকে একদিন না একদিন ওই সর্বশক্তিমানের কাছে ফিরতেই হবে। তখন কী জবাব দেব? একটা মানুষ কত দিন বাঁচে? ধরুন খুব বেশি হলে ১০০ বছর। এরপর তো আল্লাহর কাছে গিয়ে জবাবদিহি করতে হবে। তাই আমি বলব, আগে পরকালের হিসাবের খাতাটা ঠিক রাখতে হবে। এসব বিবেচনা করেই সিনেমা থেকে সরে এসেছি। আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।’
সিনেমাজগৎ থেকে সরে আসার আরো কয়েকটি কারণ জানিয়েছিলেন এক কালের রূপালী পর্দা কাঁপানো জনপ্রিয় নায়ক শাহীন আলম।
উল্লেখ্য, মঞ্চনাটকের মাধ্যমে অভিনয়ের শুরু করেন শাহীন আলম। ১৯৮৬ সালের এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘মায়ের কান্না’, যেটি ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়। যদিও গোয়েন্দা কাহিনি 'মাসুদ রানা' দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখার কথা ছিল তার। অর্থ সংকটে পড়ে বিগবাজেটের ছবিটি ৩০ শতাংশ কাজ হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। তবে 'নয়া বাইদানি' ছবিতে অভিনয়ের পর শাহীন আলমকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তবে 'স্বপ্নের নায়ক’ ছবিতে অমর নায়ক সালমান শাহর সঙ্গে অভিনয় করে বেশি আলোচনায় আসেন জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক।
ক্যারিয়ারে দেড়শ’র বেশি ছবিতে অভিনয় করা এ চিত্রনায়কের অন্যতম ছবিগুলো হচ্ছে - ঘাটের মাঝি, এক পলকে, গরিবের সংসার, তেজী, চাঁদাবাজ, প্রেম প্রতিশোধ, টাইগার, রাগ-অনুরাগ, দাগী সন্তান, বাঘা-বাঘিনী, আলিফ লায়লা, স্বপ্নের নায়ক, আঞ্জুমান, অজানা শত্রু, দেশদ্রোহী, প্রেম দিওয়ানা, আমার মা, পাগলা বাবুল, শক্তির লড়াই, দলপতি, পাপী সন্তান, ঢাকাইয়া মাস্তান, বিগবস, বাবা ও বাঘের বাচ্চা।
রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান । ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজায় টানা কয়েকদিনের ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। বৃহস্পতিবার তিনি আফগান ও কিরগিজ প্রেসিডেন্টর সঙ্গে ফিলিস্তিনে সম্প্রতি ইসরাইলি হামলার বিষয়ে টেলিফোনে আলাপ আলোচনা করেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট অফিসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ইয়েনি শাফাক।
কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সদর জাপারোভের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, এরদোগান আশা করছেন আল-আকসা মসজিদ, গাজা ও ফিলিস্তিনিদের হামলাকারী ইসরাইলকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে তার সঙ্গে তুরস্কের পাশে কিরগিজস্তানকে থাকতে অনুরোধ করা হয়।
এ ছাড়া আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি ফিলিস্তিনে চলমান ইসরাইলি হামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ইসরাইলকে মোকাবেলা করতে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি আফগানিস্তানের যে কোনো জটিল পরিস্থিতিতে তুরস্ক পাশে রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন এরদোগান।
এর আগে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গেও আলোচনা করেন এরদোগান। গত বুধবার আলেজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন এরদোগান। তিনি এ সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
ইসরাইলের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে গত ৯ মে পবিত্র শবে কদরের নামাজ শেষে আল-আকসা চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। এরপর ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর নিশংস হামলায় এখন পর্যন্ত ৮৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হন।