a যে ঘটনায় কলকাতা ছেড়ে পালিয়েছিল উত্তম কুমার
ঢাকা সোমবার, ১১ কার্তিক ১৪৩২, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

যে ঘটনায় কলকাতা ছেড়ে পালিয়েছিল উত্তম কুমার


বিনোদন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:০০
যে ঘটনায় কলকাতা ছেড়ে পালিয়েছিল উত্তম কুমার

ফাইল ছবি

উত্তম কুমার নায়ক তো নয়, ছিলেন তিনি মহানায়ক। সুদর্শন চেহারা আর অভিনয় নৈপুণ্যের মাধ্যমে জয় করেছিলেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়। তাইতো যুগ যুগ পেরিয়েও এখনো তিনি সবার স্বপ্নের নায়ক হয়েই আছেন।

আজ ৩ সেপ্টেম্বর উত্তম কুমারের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটিতে তার সম্পর্কে একটি অজানা ঘটনা জানাতে চাই।

উত্তম কুমারের ক্যারিয়ারের শুরুটা মোটেও সুখকর ছিলোনা। বলা হতো ফ্লপ মাস্টার। টানা ৭টি ফ্লপ সিনেমার পর তার উত্থান হয়। এরপর রচিত হয় এক ইতিহাস। ষাটের দশকের শেষ ভাগে তার একের পর এক সিনেমা সফল হয়। সত্তরের দশকেই তিনি মহানায়ক খ্যাতি পেয়ে যান।

সত্তর দশকের শুরুতে কলকাতায় শুরু হয় নকশাল আন্দোলন। একদিন নিউ থিয়েটারস স্টুডিওর মেকআপ রুমে বসে ছিলেন উত্তম কুমার। তখনই কয়েকজন ব্যক্তি অস্ত্রসহ হানা দেয় সেখানে। তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে জোরালো হুমকি। মুহূর্তেই ভয়ে কুপোকাত উত্তম। প্রাণনাশের হুমকি দিয়েই তারা চলে যায়।

কিন্তু ওই ঘটনায় উত্তম কুমার এতোটাই ভয় পেয়েছিলেন যে, কলকাতা ছেড়েই পালিয়ে যান। দ্রুত নিজের চুল ছোট করে উঠে পড়েন মুম্বাইয়ের ট্রেনে। যাতে কেউ চিনতে না পারে। চলে যান মুম্বাই। সেখানে গিয়ে ওঠেন অভিনেতা অভি ভট্টাচার্যের বাড়িতে। মাস খানেক ওই বাড়িতে থাকার পর উত্তম যান অভিনেতা বিশ্বজিত্‍ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে।
 
উত্তম প্রায় ঠিক করে ফেলেছিলেন, আর কলকাতায় ফিরবেন না। একদিন তো বিশ্বজিতকে বলেই ফেলেন, ‘চল, তুই আর আমি মিলে এখান থেকেই বাংলা সিনেমা বানাব।’ অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বন্ধু-সহকর্মীদের আশ্বাসে ফিরে যান কলকাতায়।

১৯৮০ সালে উত্তম কুমার শুটিং করছিলেন ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিনেমার। শুটিং চলাকালীন স্ট্রোক করেন। তাকে ভেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৬ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৪ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান উত্তম কুমার।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মাহিয়া মাহির বিয়ে নিয়ে নতুন গুঞ্জন


বিনোদন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৯:৫৫
মাহিয়া মাহির বিয়ে নিয়ে নতুন গুঞ্জন

ফাইল ছবি

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বিয়ে করেছেন, এমন গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই চারদিকে শোনা যাচ্ছে। গাজীপুরের রাকিব সরকার নামের একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের সঙ্গেই নাকি ঘর বেঁধেছেন তিনি। সেখানকার কিছু সূত্রে গণমাধ্যমে খবরটি উঠে আসে। যদিও রাকিবের সঙ্গে সম্পর্ককে স্রেফ বন্ধুত্ব বলেই দাবি করেছেন মাহি।

এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল মাহি ও রাকিব সরকারের একটি ছবি। যেখানে মাহিকে দেখা যাচ্ছে শাড়ি পরা অবস্থায় এবং রাকিব আছেন পাঞ্জাবীতে।

নেটিজেনদের মতে, এটা তাদের বিয়ের সময়ে তোলা ছবি। ঘরোয়া আয়োজনে তারা বিয়ে করেছিলেন। সে কারণে তেমন সাজসজ্জা নেই। মাহি কিংবা রাকিব নিশ্চিত না করলেও অন্য একটি ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে এই ছবির সমীকরণ মেলালে বিয়ের গুঞ্জনটা পোক্ত হয়। গত ১১ জুন ফেসবুকে মাহি একটি শাড়ি পরে ছবি দিয়েছিলেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে গান, সিনেমা, সবখানে অনুভব করি। আলহামদুলিল্লাহ্’।

মজার ব্যাপার হলো, তিন মাসের আগের ওই ছবিতে মাহির পরনে যে শাড়ি ছিল, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ছবিতেও ঠিক একই শাড়ি। তাই নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিচ্ছেন। অধিকাংশই ধারণা করছেন, দুটি ছবিই বিয়ের সময়ের। তবে গোপন রেখেছেন নায়িকা।

কয়দিন আগেই তিনি বলেছেন, ১৩ সেপ্টেম্বর একটি সারপ্রাইজ দেবেন। অনেকেই মনে করছেন, এদিন বিয়ের কথাই প্রকাশ্যে আনবেন মাহি। উল্লেখ্য, ভালোবেসে সিলেটের ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ অপুকে ২০১৬ সালে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। চলতি বছরের ২৩ মে তিনি জানান, অপুর সঙ্গে আর থাকছেন না। তারা বিবাহ বিচ্ছেদ করছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আরও পড়ুন

এসএসসির দুই পরীক্ষায় একই প্যারাগ্রাফ, সব মহলে অসন্তোষ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ০৮ মে, ২০২৩, ১১:৩৩
এসএসসির দুই পরীক্ষায় একই প্যারাগ্রাফ, সব মহলে অসন্তোষ

ছবি সংগৃহীত


গত ৩০ এপ্রিল হতে সারাদেশে একযোগে চলছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রুটিন অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চারটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তবে এরই মধ্যে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কেননা এই দুই পরীক্ষার প্রশ্নে একই প্যারাগ্রাফ দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, ইংরেজি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় ‘আওয়ার ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ (Our National Flag)’ নিয়ে প্যারাগ্রাফ লিখতে বলা হয়েছে । আর তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কও উঠেছে।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, একই প্রশ্নে দুই পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। মূলত এ প্রশ্নটি আমাদের হয়নি। এটা কোন বোর্ড করেছে জানতে হবে।

তিনি বলেন, সাধারণত একই প্রশ্নে দুই বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয় না। যারা প্রশ্ন করেন তারা এক সঙ্গে দুই ধরনের প্রশ্ন করেন। কিন্তু কেন-কিভাবে এমন প্রশ্ন হল সেটি জেনে পরে জানানো যাবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান তানবিরুল আলম বলেন, একই প্রশ্ন দুই পরীক্ষা নেওয়ার নিঃসন্দেহে মারাত্মক ভুল। একটি প্রশ্ন অন্তত পাঁচটি ধাপে চেকিংয়ের পর প্রিন্টে যায়। এত বড় ভুল মেনে নেওয়ার নয়।

তিনি বলেন, এভাবে পরীক্ষা নিলে পরীক্ষার মান কমবে। ছেলেমেয়েরা হতাশ হবে। এসব বিষয় নিয়ে সচেতন থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - বিনোদন