a
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চলমান কঠোর লকডাউন আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহন।
সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কোরবানি ঈদের মানুষের চলাচল ও পশুরহাটে কেনাবেচার বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে ভার্চুয়ালিভাবে সরকারি অফিস চলবে এবং বন্ধ থাকবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও খোলা থাকবে শপিংমল ও দোকানপাট।
ছবি সংগৃহীত: খালেদা জিয়া
নিউজ ডেস্ক: অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে উন্নত চিকিৎসার্থে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের বিশেষ উপহার রয়েল কাতার আমারি বিশেষায়িত ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ যোগে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। তাঁকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ১১টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দরে তাঁকে ভিআইপি প্রটোকল প্রদান করবে হিথ্রো কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরে বেগম জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমানসহ পরিবারের সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।
ছবি: খালেদা জিয়ার এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে জনতার ভিড়
অর্ধযুগেরও বেশি সময় পর দেখা হবে মা ও ছেলের। যুক্তরাজ্যে পৌঁছে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে বিএনপি চেয়ারপারসনকে সরাসরি পশ্চিম লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল (অ্যাডভান্স হেলথকেয়ার সেন্টার) ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ নেওয়া হবে এবং সেখানেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হবে বলে যুক্তরাজ্য বিএনপির একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ৮০ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন।
যুক্তরাজ্য যাত্রার আগে প্রিয় নেত্রীকে বিদায়ি শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানের বাসা ফিরোজার সামনে ছিল দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। এর ফলে একপর্যায়ে ফিরোজার সামনের রাস্তাটিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা ছিল ব্যাপক, অপরদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।
বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বেলা ৩ টায় ফিরোজায় প্রবেশ করেন। নেতা-কর্মীদের ভিড় ঠেলে ফিরোজা থেকে রাত ৮টায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি গুলশান-২-এর চৌরাস্তা হয়ে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ ধরে বনানী-কাকলী পয়েন্ট দিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। তাঁকে বহনকারী কাতার আমিরের বিশেষ বিমান ‘রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’টি সোমবার ঢাকায় পৌঁছায় সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে।
টিউলিপ লন্ডনের সেই ফ্ল্যাটটি নিয়ে মিথ্যাচার করায় মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে তাঁর রাজকীয় বহরের এই বিশেষ বিমান দিয়েছেন। দলীয় চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে গুলশানের বাসা ফিরোজা এবং বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতা দল ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।
ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ৬জন সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া বেগম জিয়ার সঙ্গে তাঁর ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বিদেশের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে আল্লাহর রহমতে আবারও সবার মাঝে ফেরত আসতে পারেন সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটিসহ দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘটনায় ছাত্র, যুব ও শ্রম অধিকার পরিষদের ৫৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই সংগঠনের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ছাত্র ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনকে ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায় এবং তার দুদিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ছাত্রী, কিশোর, চাকরিজীবীসহ অন্তত ১০ জন রয়েছেন, যাদের নাম মামলার এজাহারে নেই। মামলাগুলো তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।
ছাত্র, যুব ও শ্রম অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক এ বিষয়ে বলেন, সব কটি মামলাই হয়রানিমূলক। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তাদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল রাস্তায় নামলেই তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা জানিয়েছিলেন, সভা-সমাবেশ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং যেকোনো মূল্যে তারা কর্মসূচি পালন করবেন। সে অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ তাঁরা মতিঝিলে মিছিল নিয়ে যান। সেখান থেকেই তাদের ৩৮ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় বলে জানায়।
এক দিন পর ২৭ মার্চ ভাসানী অনুসারী পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং নতুন একটি মামলা দেওয়া হয়। সফরকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে চারজন উধাও হয়েছিলেন। তাদের একজন নাজমুস সাকিবকে ৮৪ ঘণ্টা আটকে রেখে পুলিশ ছেড়ে দেয়। বাকি তিনজনকে দুদিন আটকে রাখার পর গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ পল্টন ও শাহবাগ থানায় দুটি এবং ২৭ মার্চ শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়।
পল্টন থানার মামলায় হত্যাচেষ্টা, ‘মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র’ নিয়ে দাঙ্গা ঘটানো, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয় ৫১ জনের নামে। এর বাইরে শাহবাগ থানায় ‘আসামি’ ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় মতিঝিলের মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আবুল কালাম আজাদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়। শাহবাগ থানার অপর মামলায় অভিযোগ ছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাসে আগুন দিতে উদ্যত হওয়া’।