a
ফাইল ছবি
গত বছর প্রেক্ষাগৃহে এসেছিল কাজী হায়াতের ৫০তম চলচ্চিত্র ‘বীর’। শাকিব খান ও শবনম বুবলী অভিনীত ছবিটি নিয়ে বেশ আলোড়ন হয়েছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতে সিনেমাটি এবার দেখা যাবে বিনামূল্যে।
অর্থাৎ টেলিভিশনে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে এটির। যা করছে দীপ্ত টিভি। এসকে ফিল্মসের ব্যানারে যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন শাকিব খান ও মোহাম্মদ ইকবাল। ইকবাল বলেন, ‘‘বীর’ নানা কারণে আলোচিত চলচ্চিত্র। ছবিটি দর্শকের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে।’’
চলচ্চিত্রটি নিয়ে শাকিব খান জানিয়েছিলেন, ছবির গল্পটাই এমন যে তাকে নতুনভাবে প্রস্তুত হতে বাধ্য করেছে। কারণ, ‘বীর’ হলো দেশ ও প্রেমের ছবি।
সিনেমাটিতে আরও আছেন মিশা সওদাগর, নাদিম প্রমুখ।
এদিকে দীপ্ত টিভি জানায়, শাকিব ও বুবলী অভিনীত দর্শকপ্রিয় এই সিনেমা চলবে দীপ্ত টিভির ৭ দিনের ঈদ অনুষ্ঠানমালার প্রথমদিনে। এবারই প্রথম টেলিভিশনে প্রচার হতে যাচ্ছে ‘বীর’ ছবিটি।
সংগৃহীত ছবি
করোনা পরিস্থিতি মোকেবেলায় বইমেলা ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধের সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ সুপারিশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। পরামর্শক কমিটি এই নির্দেশনা জারিকে স্বাগত এবং ধন্যবাদ জানায়। তবে এগুলো কার্যকর করার জন্য বাস্তবায়ন কর্মসূচি বা প্রস্তুতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন।
রোগ প্রতিরোধের জন্য অবিলম্বে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করা দরকার। পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা এ সম্পর্কে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সব নির্দেশনা যাতে পালন করা হয় তার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে দিক নির্দেশনা নেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর বেইলি রোডের ট্র্যাজেডির পর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। এসব অভিযানের মধ্যে ধানমন্ডিতে গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের ১২টি রেস্টুরেন্ট সিলগালা ও একটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজউক। জিগাতলার সাতমসজিদ রোডে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজার ১১টি রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়। এ ছাড়া কেয়ারি ক্রিসেন্ট ও রূপায়ণ জেড আর প্লাজার চার প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুরান ঢাকার ওয়ারীর র্যাংকিন স্ট্রিটে গতকাল ১৬টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। র্যাংকিন স্ট্রিটের ওইসব রেস্তোরাঁর সিঁড়িতে রাখা ছিল গ্যাস সিলিন্ডার, কোনোটিতে রান্নার সামগ্রী। আবার কোনোটির ছিল না অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা, জরুরি বহির্গমন সিঁড়িও ছিল না কোনো কোনোটির। বেশির ভাগ রেস্তোরাঁই চলছিল আবাসিক ভবনে।
গতকাল বিকালে সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের অনিয়ম পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এর আগে বেলা ১১টায় ধানমন্ডির আলোচিত গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। একই সঙ্গে আরও ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়। এ অভিযানে সহযোগিতা করে পুলিশ ও র্যাব।
রাজধানীর যেসব রেস্টুরেন্টে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে ও নিরাপত্তা নেই, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ওয়ারীর অভিযানের বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, র্যাংকিন স্ট্রিটের অন্তত ১৬টি রেস্তোরাঁ ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকি নিয়ে চলছিল। অধিকাংশ রেস্তোরাঁয় অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ও জরুরি বহির্গমনের পথ নেই। এখানে এমনও রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেখানে রান্নাঘর থেকে অন্তত তিনটি দরজা পেরিয়ে সিঁড়িতে আসতে হয়। সেখানে আগুন লাগলে কেউ বের হয়ে আসতে পারবেন না।
ওয়ারী থানার পাশে রোজ ভ্যালি শপিং মলে গতকাল পৌনে ৪টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। ভবনের দোতলার আই লাভ মেজ্জান, তিন তলার ফুড স্টোভ, অরেঞ্জ ক্যাফে, বার্গারোলজি ও বার্গার এক্সপ্রেসে অভিযান চালিয়ে তারা বেশ কিছু অনিয়ম পায়। এসব রেস্তোরাঁ থেকে অন্তত পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া ওয়েস্টার্ন গার্ডেন, দ্য ডাইনিং লাউঞ্জ, পেশওয়ারাইন, কেএফসি, পিজাবার্গ, সিরাজ চুই গোস্ত, কাচ্চি ভাই, ফুডল্যান্ড ক্যাফে, চিপ তাইফ, পাস্তা ক্লাব, ডমিনোস পিজ্জা, সিক্রেট রেসিপি ও স্লাইজ নামের রেস্টুরেন্টগুলোয় অভিযান চালানো হয়।
বেশির ভাগ রেস্টুরেন্টের মালিক, ব্যবস্থাপক এবং কর্মচারীদের পাওয়া যায়নি। আগেই টের পেয়ে পালিয়ে যান তারা। ওয়ারীর অনেক রেস্টুরেন্টের গেটে তালা ঝুলানো অবস্থায় দেখা গেছে। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসাইন বলেন, আমরা র্যাংকিন স্ট্রিটের ভবনগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছি। আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে। সেগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। রেস্তোরাঁয় যেখানে বসে লোকজন খাচ্ছেন, তার পাশেই চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। কোনো কোনো ভবনে নেই বহির্গমনের সিঁড়ি।
ভবনের সিঁড়ি ছোট ও সিঁড়ির মুখে বিভিন্ন মালপত্র রেখে জায়গা ছোট করে ফেলা হয়েছে। তিনটি রেস্তোরাঁ থেকে ব্যবস্থাপকসহ ছয়-সাতজনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে কিছু গ্যাস সিলিন্ডার। তিনি জানান, জিগাতলায় সাতমসজিদ রোডের পাশের কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজাটি ১৫ তলা। ওই ভবনে ১১টি রেস্তোরাঁ খুলে ব্যবসা করা হচ্ছিল। ভবনের দুটো সিঁড়ির একটি বন্ধ, সেখানে রাখা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। আর ভবনের ছাদে তালা লাগানো। ভবনে আগুন লাগলে কারও পক্ষে ছাদে যাওয়া সম্ভব নয়। অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও ছিলেন। অভিযান চলাকালে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজায় নিয়মবহির্ভূতভাবে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে অনিয়ম পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজার সামনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢোকার মুখেই একটি কাগজ ঝোলানো, তাতে লেখা- ‘সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে’। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তানহার ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এখানে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। তাই ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ১১তলা বিশিষ্ট কেয়ারি ক্রিসেন্ট টাওয়ারে ১০ ও ১১ তলায় অবস্থিত দুটি ভিসা প্রসেসিং অফিসের ভিতরের নকশা, গ্লাস ও কাঠ দিয়ে করা রুমগুলোকে আগুন লাগার জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় ভিসা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অ্যাডমিশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করায় প্রতিষ্ঠানের ইমন, টগন, রফিক নামের তিনজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জনসাধারণের কথা বলে জানা যায়, তারা বলছেন আমাদের দেশে বড় রকমের দূর্ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে ও দৌড়-ঝাপ বেড়ে গেলেও পরেবর্তীতে তা আস্তে আস্তে থিতিয়ে যায় এবং সবকিছু আবারও আগের মতোই চলতে থাকে। তাই তাদের এসব অভিযান অনেকটা লোক দেখানো এবং জনগণের নজর কাড়ানোর অভিযান বলতে চাচ্ছেন।
সাধারণ জনসাধারণের দাবি, সরকারী দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো যদি রুটিন মাফিক কাজ করতে পারে এবং সংস্থাগুলোর উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ না করে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হয়, তবে বছরে বছরে বিভিন্ন অনাকাংখিত দূর্ঘটনা থেকে শত শত মানুষের প্রাণ রক্ষা পেতে পারে! সূত্র: বিডি প্রতিদিন