a
ফাইল ছবি । অভিনেতা সালমান খান
বলিউড অভিনেতা সালমান খান। তাকে বলিউডের ব্যাচেলর অভিনেতাও বলা যায়। বয়স ৫৫ পেরিয়েছে কিন্তু এখনও বিয়ে করেননি। তবে তাকে ঘিরে একের পর এক প্রেমের গুঞ্জন বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে। কিন্তু সংসার পেতে থিতু হয়েছেন এমনটি আর হচ্ছে না। এখনও কেন বিয়ে করেননি, চিরকুমারই থেকে যাবেন? ভক্তদের মুখে এ সব প্রশ্ন শুনতে শুনতে কান পেকে গেছে সালমানের। অবশ্য তিনি কখনও রাগেন না। মজার ছলে জবাব দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান সবসময়। কিন্তু এবার ঘটল উল্টোটা। গুঞ্জন উঠল, সালমান নাকি বিয়ে করেছেন। স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখেছেন দুবাইয়ের কোনো এপার্টমেন্টে। তার নাকি ১৭ বছরের সন্তানও আছে! এমন সব কথা শুনে রীতিমতো ক্ষেপে গেলেন সালমান। বললেন, সব বাজে কথা।
গত ২১ জুলাই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন বলি সুলতান। তার ভাই আরবাজ খানের টক শো ‘পিঞ্চ’-এর একটি পর্বে অংশ নেন সালমান। শোয়ের একটি পর্বে সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান সালমান। এতে একজন নেটিজেনের মন্তব্য পড়ে শোনান আরবাজ খান। প্রশ্নসহ মন্তব্যটি ছিল- ‘কোথায় লুকিয়ে আছো ভীতু? ভারতের সবাই জানে যে, তুমি দুবাইতে নিজের স্ত্রী নূর এবং ১৭ বছরের সন্তানের সঙ্গে আছো। ভারতের মানুষকে কত দিন মুর্খ বানিয়ে রাখবে?’
এটা প্রশ্নটা শুনে সালমান প্রথমে জানতে চান, ‘কাকে উদ্দেশ্যে এটা বলা হয়েছে?’ আরবাজ জানান, অবশ্যই তোমাকে নিয়ে। তখন জবাবে সেই নেটিজেনকে ধুয়ে দেন সালমান খান। বলেন, ‘এসব মানুষ খুবই জ্ঞানী! একদম বাজে কথা এটা। আমি জানি না, এগুলো কে বলেছে বা কোথায় লেখা হয়েছে, তারা কী মনে করে এইসব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমি তাদের গুরুত্ব দেব? ভাই, আমার কোনও বউ নেই। আমি ভারতেই থাকি, আর গোটা ভারত জানে আমি কোথায় থাকি সেই ৯ বছর বয়স থেকে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে। আমি এইসব লোকজনের প্রশ্নের জবাব দিতে চাই না।’ তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ফাইল ছবি
সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন বাংলা সিনেমার মিষ্টি মেয়ে কবরী। করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে মারা যান এই অভিনেত্রী ও রাজনীতিক।
১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তার আসল নাম মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। তারপর টেলিভিশন ও পরে সিনেমায়।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ ছবির মাধ্যমে সারাহ বেগম কবরীর অভিনয় জীবন শুরু। চট্টগ্রামের মেয়ে মিনা পাল চলচ্চিত্রের লাল-নীল জগতে পা দিয়েই নতুন নাম পান ‘কবরী’। পরিচালক সুভাষ দত্তই তাকে এই নাম দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
দক্ষ অভিনয় শৈলী দিয়ে ‘মিষ্টি মেয়ে’ হয়ে ওঠেন এই অভিনেত্রী। তারপর জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় কবরীর শুধুই দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা।
এরপর অভিনয় করেছেন হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, পারুলের সংসার, বিনিময়সহ অসংখ্য সিনেমায়। আগন্তুকসহ জহির রায়হান নির্মিত উর্দু ছবি ‘বাহানা’ এবং ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।
কবরী বিয়ে প্রথম করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী পাঁচ সন্তানের মা।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যুক্ত ছিলেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-তে প্রকাশিত হয়েছে তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’।
হঠাৎ খুসখুসে কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হলে করোনার নমুনা পরীক্ষা করান কবরী। ৫ এপ্রিল ফলাফল পজিটিভ আসে। ওই রাতেই তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৮ এপ্রিল দুপুরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ এপ্রিল বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নিলেন নায়িকা।
সংগৃহীত ছবি
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তান। এতে পাকিস্তানে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে কয়েক শতাধিক লোক। এছাড়া বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আফগানিস্তানে ক্ষয়ক্ষতি আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা একনো নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.৬।
মঙ্গলবার (২১ মার্চের) রাতের ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ছিল হিন্দুকুশ পর্বতমালার মাটির ১৮০ কিলোমিটার গভীরে। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের পাশাপাশি তাজিকিস্তানেও ভূমিকম্পের ‘প্রভাব’ পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পাকিস্তানে ভূপর্যবেক্ষণ সংস্থা। রাজধানী ইসলামাবাদসহ লাহোর, কোয়েটা, পেশোয়ারের মতো পাক শহরে বুধবার রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরের নাগরিকেরা।
এদিকে উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও ভূমিকম্প হয়। রাজধানী দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকাসহ জম্মু-কাশ্মির, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জেলাতেও কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন স্থায়ী হয়েছিল ৪০-৫০ সেকেন্ড। বিশেজ্ঞদের মতে, পরবর্তীতে হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে। সূত্র : আল জাজিরা।