a চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা সম্রাটের অবস্থার অবনতি
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা সম্রাটের অবস্থার অবনতি


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১, ১০:৩০
চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা সম্রাটের অবস্থার অবনতি

ফাইল ছবি । ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের অবস্থার অবনতি হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বুকে তীব্র ব্যাথার সাথে তার হার্টের বিট অনেক দ্রুত ও অনিয়মিত হচ্ছে। সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

বর্তমানে গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে বিএসএমএমইউ’র একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা জানান, দীর্ঘদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। কিছুদিন হলো বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু হৃদকম্পন দ্রুত ও অনিয়মিত হওয়ায় কিছুদিন হলো তাকে পুনরায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে সম্রাটের পরিবারের দাবি, আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে ওপেন হার্ট সার্জারী ও ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয় সম্রাটের। দীর্ঘদিন বন্দী থাকায় উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন যুবলীগের এই নেতা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে


কর্নেল(অব.) আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ১১:১২
সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে

ছবি সংগৃহীত

 

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার অনেক পুরনো কৌশল। সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থকে উপেক্ষা করে। এটি ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন ঘটে, তেমনই জাতীয় জীবনেও দেখা যায়।  

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বিএনপির সাত্তার সরকার যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন জেনারেল এরশাদ সেই সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেন এবং তার শাসনামলে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তিনি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কিছু কাজ করেছিলেন, কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে উপেক্ষা করেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।  

২০০৭ সালে, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান ড. ইয়ারুদ্দিনকে সরিয়ে জেনারেল মইনউদ্দিন ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সেই সময়ের সামরিক বাহিনীর এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা তাকে বঙ্গভবনে প্রবেশে সহায়তা করেন, যিনি এখন নির্দোষ হওয়ার ভান করছেন। এটি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ ষড়যন্ত্র ছিল, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।  

ব্যক্তিগত স্বার্থে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে জেনারেল মইনউদ্দিন ইতিহাসের দ্বিতীয় মীরজাফর হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত মীরজাফরের মতোই তার পরিণতি ঘটে এবং ভারতের নির্দেশে তিনি ক্ষমতা আওয়ামী লীগের হাতে তুলে দেন।  

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মাত্র দুই মাস পর, বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন—এমন হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।  

যে জেনারেল তার অধীনস্থ অফিসারদের জীবন রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরের মতোই নিষ্ক্রিয় থাকেন। বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রে দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় শুধু ক্ষমতা হারায়নি বরং প্রায় দুই শতাব্দী ব্রিটিশ শাসনের অধীনে দাসত্ব করতে বাধ্য হয়েছে।  

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর শত বছরের সংগ্রামে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়।  

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসেও আমরা একের পর এক বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আজও সেই ষড়যন্ত্র চলছে, আমাদের স্থায়ীভাবে দুর্বল করে রাখার জন্য। তবে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব আমাদের সামনে পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। কিন্তু এখনো সেই পরিবর্তনের যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।  

বিপ্লবী নেতৃত্বকে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং ক্ষমতার জন্য অস্থির হওয়া উচিত নয়। জনগণ সবসময় তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।  

ড. ইউনুসের নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা থাকলেও, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি না হওয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় তারা হতাশ।  

এদিকে, দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আলাদা পথে এগোনোর চেষ্টা করছে, যা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। যখন জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন, তখন তাদের এই বিভক্তি শত্রুদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।  

সম্প্রতি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান 'শহীদ সেনা দিবস'-এ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সামনে রাজনৈতিক সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের বিবাদ বন্ধ না করলে এবং দায়িত্বশীল না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।  

তবে তার বক্তব্য নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, তিনি কোনো বিশেষ শক্তির ইঙ্গিতে কাজ করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, তার ও ড. ইউনুসের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।  

তবুও, আমরা এখনো তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে চাই এবং বিশ্বাস করি যে, তিনি দেশের ও জনগণের স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

 

লেখক: রাজনৈতিক কলাম লেখক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করবে না: আসিফ নজরুল


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:৪৪
সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করবে না: আসিফ নজরুল

ফাইল ছবি: আসিফ নজরুল

রাজধানীসহ সারা দেশে সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। আগামী দুই মাসের জন্য সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ক্ষমতায় থাকবেন। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোতে নাশকতা, অরাজকতা এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার মতো কিছু কর্মকাণ্ড ঘটছে বলে আমরা লক্ষ করেছি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে এই পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য। এসব অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য, মোকাবেলা করার জন্য। সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এর কোনো অপপ্রয়োগ ঘটবে না বলে আশাবাদী আইন উপদেষ্টা।

গতকাল (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৬০ দিনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩, ১৪২ অনুযায়ী এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তারা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা আগামী দুই মাস ফৌজদারি অপরাধের বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি