a
ফাইল ছবি
বিপথগামী মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার অধীনে ছিল ১০০ সুন্দরী। তাদের দিয়ে ধনীর দুলালদের নিজের ফাঁদে ফেলতেন পিয়াসা। ব্ল্যাকমেলিং করে দিনের পর দিন তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। বারিধারায় আড়াই লাখ টাকার অভিজাত ফ্ল্যাটে বসবাস, কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি কিংবা আলিশান জীবনযাপনের জন্য এর বাইরে তার কোনো আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো তথ্য পায়নি তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
অন্যদিকে, পিয়াসার অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার মরিয়ম আক্তার মৌ-ও একই কায়দায় ধনীর দুলালদের ব্ল্যাকমেলিং করার তথ্য পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রাতে বাসায় পার্টির নামে বিত্তবান পরিবারের যুবকদের ডেকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করে প্রতারণাই ছিল তাদের অন্যতম পেশা। রবিবার রাতে গ্রেফতারের পর পিয়াসা এবং মৌ দুজনকেই পৃথক দুটি মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছেন দুই তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনোদনজগতে প্রতিষ্ঠা না পেয়ে মূলত টিকে থাকার জন্যই বিপথগামী হয়েছেন পিয়াসা এবং তার সহযোগীরা। কেউ ভয়ংকরভাবে মাদকাসক্ত হয়ে হারিয়েছেন সৌন্দর্য্য। কারও বিরুদ্ধে হচ্ছে মাদক কারবারের মামলা। প্রতারণা বা নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মডেল-নায়িকার বাসায় অভিযান চালাতে গেলেই পুলিশ পাচ্ছে ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। মৌ তার বাসায় মিনি বার বানিয়ে মাদকদ্রব্য বিক্রি করছিলেন। রবিবার ছিল পিয়াসার জন্মদিন। জন্মদিনের পার্টির জন্য তিনি এবং তার সহযোগীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে এর আগেই তার বাসায় হাজির হয় পুলিশ।
এর আগে গত শনিবার রাতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা সিমন হাসান একার রামপুরার উলনের বাসায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, গাঁজা ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে একার বাসায় গিয়েছিল পুলিশ। ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘পিয়াসা ও মৌ দুজনই একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এদের অধীনে রয়েছে ১০০-১৫০ সুন্দরী রমণী। টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের পেছনে লেলিয়ে দিয়ে তাদের বাগে আনতেন তারা। পরে হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। মান-সম্মানের ভয়ে ওই ব্যক্তিরা কারও কাছে মুখ খুলেননি। পিয়াসা এবং মৌ-এর ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা হবে।
সূত্র বলছে, পিয়াসা রাজধানীর বারিধারা, উত্তরা এবং গুলশানের কয়েকটি বাসায় মাঝে মধ্যেই পার্টির আয়োজন করতেন। ওই পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হতো বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। প্রতিটি পার্টিতেই গোপন ক্যামেরা বসাতেন পিয়াসা। রাখা হতো মদ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য। একপর্যায়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে কৌশলে তাকে গোপন একটি কক্ষে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। পরবর্তীতে ওইসব দৃশ্য সামনে রেখেই তার কাছ থেকে নিয়মিতভাবে হাতিয়ে নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের অর্থ। সর্বশেষ একটি অভিজাত বিপণিবিতানের মালিকের সুন্দরী স্ত্রীর সঙ্গে অন্য এক ব্যক্তির কথিত সম্পর্কের বিষয়টিকে পুঁজি করে তার কাছ থেকে মোটা অঙ্গের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল পিয়াসা গং। তবে তিনি বেঁকে বসায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। ভিত নড়ে যায় তাদের অপকৌশলের। তবুও অভিযানকারী কর্মকর্তাদের শুরুর দিকে দফায় দফায় হুঙ্কার ছেড়েছেন পিয়াসা। হুমকি দিয়েছিলেন তাদের দেখে নেওয়ার।
যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, এ চক্রটির অদ্যোপান্ত আমরা বের করব। বনানীর রেইনট্রি হোটেলের নেপথ্য ভূমিকা ছিল পিয়াসার। তার বিষয়ে অনেক অভিযোগ আমরা পাচ্ছি। সব তথ্যই আমরা আমলে নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। রবিবার রাতে রাজধানীর বারিধারা এলাকার ৯ নম্বর রোডে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পিয়াসার ঘরের টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা জব্দ করে ডিবি। পরে তার রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে নয় বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের একপর্যায়ে ফ্রিজ খুলে একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল ও বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পাওয়া যায়। ডিবির একই দল রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের ২২/৯ নম্বর বাড়ির নিচতলায় আরেক মডেল মৌ-এর বাসায় অভিযান চালায়। ড্রয়িং রুমের পাশেই একটি মিনি বার পায় ডিবি। বাসার ভিতরের বেডরুমের একটি ড্রয়ার থেকে পাঁচ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
ডিবির সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার। সেই মামলার আসামি তার সাবেক স্বামী বলেও দাবি করেন পিয়াসা। এনটিভির রিয়েলিটি শো ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’র প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া পিয়াসা দুই-একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন। কয়েক বছর ধরে হাই সোসাইটিতে ব্ল্যাকমেলিং কারবারে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। মৌ মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠা পায়নি। তবে মডেল পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কয়েকটি পরিবার পুলিশের কাছে পার্টির ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে টাকা এবং বিভিন্ন সুবিধা আদায়ের অভিযোগ করেছে। তবে সেসব পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করেননি ডিবির কর্মকর্তারা।
গতকাল গুলশান থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পুলিশের মামলায় পিয়াসাকে এবং মোহাম্মদপুর থানায় একই আইনে পুলিশের মামলায় মৌকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত দুজনেরই পৃথকভাবে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ড আবেদনে মৌ-এর বাসায় নাচ ও গানের আসরের আড়ালে টাকার বিনিময়ে মদ-ইয়াবার কারবারে আরও দুই-তিনজন জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। পিয়াসার বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পর তথ্য পাওয়া গেছে মাদকবিক্রেতা ও সেবনকারী চক্রে তার সম্পর্ক আছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি । অভিনেতা সালমান খান
বলিউড অভিনেতা সালমান খান। তাকে বলিউডের ব্যাচেলর অভিনেতাও বলা যায়। বয়স ৫৫ পেরিয়েছে কিন্তু এখনও বিয়ে করেননি। তবে তাকে ঘিরে একের পর এক প্রেমের গুঞ্জন বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে। কিন্তু সংসার পেতে থিতু হয়েছেন এমনটি আর হচ্ছে না। এখনও কেন বিয়ে করেননি, চিরকুমারই থেকে যাবেন? ভক্তদের মুখে এ সব প্রশ্ন শুনতে শুনতে কান পেকে গেছে সালমানের। অবশ্য তিনি কখনও রাগেন না। মজার ছলে জবাব দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান সবসময়। কিন্তু এবার ঘটল উল্টোটা। গুঞ্জন উঠল, সালমান নাকি বিয়ে করেছেন। স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখেছেন দুবাইয়ের কোনো এপার্টমেন্টে। তার নাকি ১৭ বছরের সন্তানও আছে! এমন সব কথা শুনে রীতিমতো ক্ষেপে গেলেন সালমান। বললেন, সব বাজে কথা।
গত ২১ জুলাই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন বলি সুলতান। তার ভাই আরবাজ খানের টক শো ‘পিঞ্চ’-এর একটি পর্বে অংশ নেন সালমান। শোয়ের একটি পর্বে সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান সালমান। এতে একজন নেটিজেনের মন্তব্য পড়ে শোনান আরবাজ খান। প্রশ্নসহ মন্তব্যটি ছিল- ‘কোথায় লুকিয়ে আছো ভীতু? ভারতের সবাই জানে যে, তুমি দুবাইতে নিজের স্ত্রী নূর এবং ১৭ বছরের সন্তানের সঙ্গে আছো। ভারতের মানুষকে কত দিন মুর্খ বানিয়ে রাখবে?’
এটা প্রশ্নটা শুনে সালমান প্রথমে জানতে চান, ‘কাকে উদ্দেশ্যে এটা বলা হয়েছে?’ আরবাজ জানান, অবশ্যই তোমাকে নিয়ে। তখন জবাবে সেই নেটিজেনকে ধুয়ে দেন সালমান খান। বলেন, ‘এসব মানুষ খুবই জ্ঞানী! একদম বাজে কথা এটা। আমি জানি না, এগুলো কে বলেছে বা কোথায় লেখা হয়েছে, তারা কী মনে করে এইসব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমি তাদের গুরুত্ব দেব? ভাই, আমার কোনও বউ নেই। আমি ভারতেই থাকি, আর গোটা ভারত জানে আমি কোথায় থাকি সেই ৯ বছর বয়স থেকে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে। আমি এইসব লোকজনের প্রশ্নের জবাব দিতে চাই না।’ তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ফাইল ছবি
বিএনপির গণমিছিল প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি আছে। আমাদের প্রস্তুতি তো বড় কথা নয়, তাদের আমরা অনুমতি দিলাম, তাদের দায়িত্বটা বড়।’
‘কথায় কথায় তাদের সঙ্গে অ্যাকশন নেওয়া এসব করতে চাই না। আমরা সবাই দায়িত্বশীল। তাদের দায়িত্বের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা রাখতে চাই। তারপরও যদি তারা দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তাহলে তার দায়-দায়িত্ব তাদের বহন করতে হবে।’
আজ শুক্রবার এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি কী? আমাদের পুলিশ থাকবে। তাদের অনুমতি দিয়েছি শর্তসাপেক্ষে। শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। ভবিষ্যতে যদি তারা বারবার শর্ত ভঙ্গ করে, তার দায়-দায়িত্ব তাদের বহন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য আমাদের যতটুকু কঠোর হওয়া দরকার, আমরা ততটুকু কঠোর হব।’
খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ শুক্রবার বিকাল যুগপৎভাবে ঢাকায় গণমিছিল করছে বিএনপি। সূত্র: বিএনপি