a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। আইএসের ভয়াবহ ওই হামলায় এখনো মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এরমধ্যে আবারো সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আবারো কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। আফগানিস্তান থেকে উদ্ধারকারী যুক্তরাষ্ট্রের শেষ ফ্লাইটগুলো সম্ভবত আগামী মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক অবস্থায় থাকবে।
পশ্চিমা সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের অবশিষ্টাংশ সে দেশ থেকে বহন করে আনবে এবং তাদের সুরক্ষার জন্য ভূমিতে আর কোন সৈন্য থাকছে না, এরইমধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকের ভয়াবহ হামলায় রক্তের দাগ না শুকাতেই আবারো সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছেন, ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আবারো কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা।
মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বলছেন সর্ব শেষ প্রহরার ব্যবস্থা তুলে নেয়ার পর বিমান বন্দর থেকে বিমানগুলোর উড়ানের সময়ে তাদেরকে নির্ভর করতে হবে তালিবান যোদ্ধাদের উপর এটা নিশ্চিত করতে যে ইসলামি স্টেট খোরাসান বা আইসিস-কে বিমান বন্দরে কোন রকেট বা মর্টার হামলা চালাচ্ছে না।
ব্রিটেনের ডিফেন্স স্টাফ প্রধান জেনারেল নিক কার্টার শনিবার (২৮ আগস্ট) বলেন, সকলের জানা প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের শেষ বিমানগুলো নিরাপদে আফগানিস্তান ত্যাগ করার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডার ও সৈন্যদের কি দুর্দান্ত পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। ব্রিটেনের স্কাই নিউজকেও তিনি বলেন, শেষ বিমানটির আফগানিস্তান ত্যাগের কথা ভাববো এবং সেই সাহসী লোকদের জন্য এটা যে কত বড় চ্যালেঞ্জ আমরা রুদ্ধ শ্বাসে সেই কথা ভাববো।
ব্রিটেন শনিবার তার শেষ ফ্লাইট নিয়ে কাবুল থেকে যাত্রা করে। ব্রিটিশ বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের স্থলবাহিনীর কড়া নজরদারিতে বিমান বন্দর ত্যাগ করে। বিমানবন্দরের অদূরে গত বৃহস্পতিবার ইসলামিক স্টেটের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ জন আমেরিকান সৈন্য এবং কমপক্ষে ১৭০ জন আফগান অসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়। পেন্টাগন বলছে, ওই হামলায় অন্তত ১৮ জন সৈন্য আহত হয়েছে।
তালেবান কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত আফগান নাগরিকদের অনেকেরই মরদেহ নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয় এবং ওই ঘটনায় কমপক্ষে ২০০ জন আফগান নাগরিক আহত হয়। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা।
ফাইল ছবি
ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের তৈরি করা স্পাইওয়্যার পেগাসাসের কেলেঙ্কারি ঠেকাতে ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করেছে দেশটি।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর তা সামাল দিতে এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েল। খবর রয়টার্সের।
ইসরাইলের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স জানায়, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিচার মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানসহ ১৬টি সংবাদপত্রের অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে পেগাসাস কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে। বলা হচ্ছে, এনএসও গ্রুপ থেকে এই স্পাইওয়্যার কিনে নিজের দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চালিয়ে আসছে ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকারগুলো।
ইসরাইলের সংবাদ মাধ্যমগুলো মঙ্গলবার রাতে জানায়, এই টাস্ক ফোর্স খাতিয়ে দেখবে স্পর্শকাতর সাইবার সরঞ্জামাদি বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ‘নীতি পরিবর্তন’ দরকার আছে কিনা।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকারগুলোর কাছে পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রির খবর ফাঁসের পর ইসরাইলের ওপর কূটনৈতিক চাপ বেড়েছে।
তাছাড়া এনএসওর গ্রাহকদের সংগ্রহ করা তথ্যে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রবেশাধিকার আছে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে, যদিও ইসরাইল এবং এই নজরদারি প্রতিষ্ঠান উভয়ই এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ বলেন, এনএসওর পেগাসাস প্রকল্পের কথা জানাজানি হওয়ার পর তাদের সরকার বিষয়টি ‘খতিয়ে’ দেখছে।
আমরা সাইবার পণ্য রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছি শুধু বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে বিক্রি করতে এবং শুধু আইনসম্মতভাবে তা ব্যবহারের জন্য।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার কোথাও বিক্রির ক্ষেত্রে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের অনুমোদন নিতে হয়।
অপরাধীদের ওপর নজরদারি চালাতে তা শুধু সরকারি কোনো সংস্থার কাছেই বিক্রি করা হয়। আর তার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ইসরাইল সরকার।
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি জিয়ার মাজারে ফুল দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, জিয়ার মাজারে ফুল দিতে এসেছিলাম আমরা। পুলিশের কাছে অনুমতি নেওয়া ছিল। কিন্তু জিয়ার মাজারে ঢুকতে সব পথ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তবে এ বিষয় এখনও পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ভিডিও লিংক: https://www.facebook.com/watch/live/?v=254406929835990&ref=external
সূত্র: যমুনা টিভি/যুগান্তর