a
সংগৃহীত ছবি
আঙ্গ বাড়ি মেলান্দহে
---- আশরাফুল মান্নান
আঙ্গ বাড়ি মেলান্দহে
ফুলকোচাতে ঘর
চাকরি আছিল পত্রিকাতে
এহন অবসর ।
বাপ-মাও আছিল, মইরা গেছে
ফাফুর করে মন
বাড়িত গেলে বাল্লাগে না
কমছে মানুষ জন।
চুয়ান্নতে নানার বাড়িত
জম্ম আমার অয়
দিনে দিনে লুপ পাইতাছে
আঙ্গ পরিচয়।
ফুলকোচাতে করছি কত
আনন্দে হই চই
আমার হঙ্গে পড়ছে যারা
এহন তারা কই ?
অয় না দেহা কারোর হঙ্গে
চিন্ত্যা করি তাই;
আছে কেডা, মরছে কেডা
খবরডা না পাই।
আগের কতা বইয়্যা বইয়্যা
চিন্ত্যা করি খুব
ঘাইম্যা গেলে ডাঙ্গার বিলে
দেইন্যা এহন ডুব ।
ছবি সংগৃহীত: শহীদ ফাইয়াজ
ফাইয়াজ -এর জন্মদিনে মায়ের আবেগঘন চিঠি
প্রিয় ফাইয়াজ,
আব্বা আমার - আমার কলিজা বাচ্চা, আমার চাঁদের টুকরা। কেমন আছো আব্বা? পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকলে আজকে তোমার জন্য একটি বিশেষ দিন ছিল। কত কত স্মৃতি আমাদের। আব্বা আমি জানি তুমি খুব ভালো আছো। আমি তোমার জন্য কান্না করলেই মাহা আমাকে বলে 'মা, ভাইয়া তো শহীদ, ভাইয়া কত ভালো আছে! তুমি কাঁদো কেন?'
জানো বাবা, সেদিন বাজার করতে গিয়ে যেই চকোলেট এর শেল্ফ এর সামনে দিয়ে যাচ্ছি- আমি দেখতে পেলাম ঠিক তুমি দাঁড়িয়ে, আর ক্যাডবেরির একটা বড় Silk এর প্যাকেট আমাকে দেখিয়ে বলছো মুনাম্মা নেই এটা?' বাবা আমি আর চকোলেট কিনি না, মাহা মাইরীন ও আর আবদার করেনা।
সেইদিন মাইরীন মাহাকে বলছে 'জানো মাহা-মা আর কখনও বিরিয়ানি রাধবে না। ভাইয়া যে নাই, তাই।' সত্যিই তো বাবা, আমি কী করে রান্না করবো বলো? তোমাকেই তো খাওয়াতে পারবো না!
আব্বা, আমি কেমন আছি জিজ্ঞেস করবে না? আমি যে কেমন আছি জানি না বাবা- শুধু আমার কিছু ভালো লাগে না। শুধু মনে হয় অনেক দূরে হাঁটতে হাঁটতে কোথাও চলে যেতে পারতাম-। যেখানে কেউ নাই! চুপচাপ।
আমি যখন স্কুলে যাই বা অন্য কাজে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর ক্রস করতে হয়, জানো বাবা আমি পুরোটা রাস্তা চোখ বন্ধ করে থাকি। সিটি হসপিটালের সামনে দিয়ে গেলেও চোখ বন্ধ করে রাখি। মনে হয় কেন আমাকে এসব পথে চলতে হচ্ছে। ধানমণ্ডি ২৭ টা এখন সবচেয়ে বিভীষিকাময় আমার জন্যে।
আচ্ছা বাবা এই যে তোমার জন্মদিন, রোজার ঈদ, কুরবানীর ঈদ, পহেলা বৈশাখ আসবে..- আমি কী করবো বলো তো? আমাদের না একসাথে শপিং এ যাওয়ার কথা! তারপর শপিং শেষে পিৎজ্জ্বা আর কফি খেয়ে রিকশা চড়ে গল্প করতে করতে বাসায় ফেরার কথা!
আমি সারাটা দিন মনে মনে তোমার সাথে কথা বলি, তুমি যে কত কত উপদেশ দাও আমাকে! কত বড় হয়ে গেছো তুমি আব্বা!
জানো বাবা তোমার জন্য যখন দোয়া করি, তখন আমি একটু স্বার্থপর হয়ে যাই। আমি আল্লাহকে বলি, আল্লাহ ফাইয়াজ কি বুঝতে পারছে, ওর জন্য আমি কত কষ্টে আছি? ওকে প্লিজ একটু বলে দিয়েন যে তোমার মুনাম্মা ভালো নাই। তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা তোমার মুনাম্মার জন্য কঠিন শাস্তি হয়ে যাচ্ছে। আবার মনে হয়, এটা শুনলে হয়তো তোমার মন খারাপ হবে! তখন আবার কথা বদলে ফেলি। শুধু চাই তুমি ভালো থাকো।
তুমি ইনশাল্লাহ অনেক অনেক ভালো আছো। কারণ, যত মানুষ তোমার জন্য কেঁদেছে আর যত লোক তোমার জন্য দোয়া করছে- তুমি নিশ্চয়ই জানতে পারছো। মাতৃভূমির ক্রান্তিলগ্নে যেই ছেলে বীরের মত প্রান দেয়, তাকে কেউ ভালো না বেসে পারে বাবা? সমস্ত পৃথিবী তোমাকে এখন চেনে, আব্বা।
অনেক ভালোবাসি বাবা, অনেক দোয়া রইল। শুভ জন্মদিন বাবা ❤️।
তোমার মুনাম্মা
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি
কাধেঁর অস্ত্রোপচারের পর আর পাকিস্তানের টেস্ট দলে ঠাঁই পাননি পেসার মোহাম্মদ আব্বাস। তবে দল যে একজন সেরা পারফরমারকে মিস করছে তা টের পাইয়ে দিলেন আব্বাস। ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে চোখের পলকে গুড়িয়ে দিলেন প্রতিপক্ষের ইনিংস।
এমন দুর্দান্ত বোলিং কমই দেখা মেলে। মাত্র ১৭ বল করে ৫ উইকেট নিয়েছেন আব্বাস। এরমধ্যে একটি হ্যাটট্রিকও রয়েছে। এক ওভার মেডেন দিয়ে রান দিয়েছেন মাত্র ৩টি। অর্থাৎ স্কোরবোর্ডে এই পাক পেসারের বোলিং ফিগার দেখাচ্ছিল ২.৫-১-৩-৫! এ কী বিশ্বাস করার মতো?
তবুও বিশ্বরেকর্ড হাত ছাড়া মাত্র এক বলের জন্য। ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সাউদাম্পটনের রোজ বোলে শুক্রবার মিডলসেক্সের বিপক্ষে এমন অতিমানবীয় পারফরম্যান্স দেখালেন পেসার মোহাম্মদ আব্বাস। হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলে মাত্র ৭৯ রানেই গুড়িয়ে দিলেন মিডলসেক্সের প্রথম ইনিংস।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার প্রথম ইনিংসে ৩১৯ রান তুলে অলআউট হ্যাম্পশায়ার। দিনের আরো ৬ ওভার বাকি থাকে। আর ওই ৬ ওভারের মধ্যেই নিজের করা ৩ ওভারে ধ্বংস করে দেন মিডলসেক্সকে।
১৪ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে মিডলসেক্স। ৫ উইকেটের সবটিই পান আব্বাস। আব্বাসের হ্যাটট্রিকটি ছিল দুই ওভার মিলিয়ে। ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মিডলসেক্সের ওপেনার ম্যাক্স হলডনকে ওয়েদারলের ক্যাচে পরিণত করেন আব্বাস।
পরের বলেই অর্থাৎ ওভারে শেষ বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন নিক গ্যাবিন্সকে। আব্বাসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে মিডলসেক্সের অধিনায়ক স্টিভ এসকিনাজি উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বন্দি হন। ফলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় এই পাকিস্তানি পেসার।
নিজের পরের ওভারে জোরা শিকার করেন আব্বাস। রবি হোয়াইট আর মার্টিন অ্যান্ডারসন-দুই ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান। শেষ পর্যন্ত আব্বাসের ১১ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন আব্বাস। মেডেন দিয়েছেন ৬টি!
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলের মধ্যে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রায়ান প্যাটেলের। ২০১৮ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে গিল্ডফোর্ডে ১১ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। যেই বিশ্বরেকর্ড এখনও রয়েই গেল।