a
সংগৃহীত ছবি
আঙ্গ বাড়ি মেলান্দহে
---- আশরাফুল মান্নান
আঙ্গ বাড়ি মেলান্দহে
ফুলকোচাতে ঘর
চাকরি আছিল পত্রিকাতে
এহন অবসর ।
বাপ-মাও আছিল, মইরা গেছে
ফাফুর করে মন
বাড়িত গেলে বাল্লাগে না
কমছে মানুষ জন।
চুয়ান্নতে নানার বাড়িত
জম্ম আমার অয়
দিনে দিনে লুপ পাইতাছে
আঙ্গ পরিচয়।
ফুলকোচাতে করছি কত
আনন্দে হই চই
আমার হঙ্গে পড়ছে যারা
এহন তারা কই ?
অয় না দেহা কারোর হঙ্গে
চিন্ত্যা করি তাই;
আছে কেডা, মরছে কেডা
খবরডা না পাই।
আগের কতা বইয়্যা বইয়্যা
চিন্ত্যা করি খুব
ঘাইম্যা গেলে ডাঙ্গার বিলে
দেইন্যা এহন ডুব ।
ফাইল ছবি । মোসলেমা পারভীন
আজীবন নিমজ্জিত
মোসলেমা পারভীন
তুমি আমার সামনে থেকে
সব সুন্দর মুছে দিতে পারো,
সরিয়ে নিতে পারো সুন্দর,
ঢেকে দিতে পারো আঁধারে,
তবু আমার দুচোখ খুঁজে নেবে সুন্দর।
সুন্দরকে দেখার যে চোখ,
যে মন ও মনন,
সে আমারই থেকে যাবে আজীবন—
অন্ধ বধির তো হয় মন,
দৃষ্টি কিংবা শ্রবণ নয়।
যে মন যে চোখ চিরকাল
খুঁজে ফেরে সুন্দর
সে আঁধারেও সুন্দরের দেখা পায়!
আঁধারের সৌন্দর্য তো
কেড়ে নেয়া যায়না!
অতল আঁধারে ডুবে দেখেছো কোনদিন?
চেয়ে দেখেছো কি কখনও, কোন সুন্দর
লুকানো সেখানে?
ভালোবাসা সুন্দর,
ভালোবেসে সুন্দরকে খুঁজে দেখেছো কখনও?
সৃষ্টি সুন্দর, ভালোবাসাই সৃষ্টি,
ভালোবাসায় সুন্দরের সৃষ্টি।
যে চোখে, যে মনে ভালোবাসা থাকেনা
সে চোখে, সে মনে সুন্দর অপসৃয়মান।
মমতার আর্দ্রতা ছাড়া
কোন সুন্দর সৃষ্ট হয়নি কোনদিন!
আমার পৃথিবী চিরকাল সুন্দর,
আমার আকাশ চিরকাল কথা কয়।
মানুষ যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
আমার আদিগন্ত আকাশ,
আমার সুষ্ময় পৃথিবী
আর্দ্রতায় স্নিগ্ধ করে রেখেছে আমাকে।
আমি আজীবন নিমজ্জমান
অন্তঃহীন সুন্দরের সমুদ্রে।
ফাইল ছবি
তীব্র শীতের চন্দ্র রাতের পর দিন এলেও ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযানের অবতরণ বাহন (ল্যান্ডার) বিক্রম। ফলে সময় যতো গড়াচ্ছে ততোই কমে আসছে চন্দ্রযানটির সজাগ হওয়ার আশাও।
তবে এখনই হাল ছাড়তে নারাজ ইসরো। চন্দ্র দিবস শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান চাঁদের একদিন।
গত শুক্রবার ইসরো জানিয়েছে, তারা ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। তবে তারা কোনো সংকেত পাচ্ছে না।
আগস্ট মাসে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। দুই সপ্তাহ চাঁদের মাটিতে সচলভাবে কাটানোর পর চন্দ্ররাত নামলে বিক্রম ও রোভারকে স্লিপিং মুডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশা ছিল চন্দ্র দিবসে রোদ্রালোক পেলেই জেগে উঠবে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। তবে সেই আশায় আপাতত গুঁড়েবালি। ইসরোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযানের দুই অংশই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন