a
ফাইল ছবি: মুক্তা দাশ
তোমাকে খুব মনে পড়ে..!!
কুয়াশা আলগোছে সরিয়ে শিশির ঝরে , মৃতপ্রায়
লাউ গাছটায় গজানো লকলকে নতুন ডগায় ।
খাচায় বন্দী শালিকটা ডেকেই যাচ্ছে একমনে... !
ভাপা পিঠার গরম ভাপ নাক মুখ ছাপিয়ে সবার হাতে হাতে পেটে চালান হচ্ছে ম্যারাথন দৌড়ে।
ঘোমটা মাথায় উনুনে পাটকাঠি জ্বলছে দাউ দাউ...! সংসারে চাকা ঘুরছে সময়ের নিয়ম মেনে।
এলোমেলো ভাবনাগুলো এখন গুছিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছি...
পারছি কি?
হয়তো হ্যাঁ ! হয়তো না !!
বুমেরাং হয়ে স্মৃতিগুলো সব ফিরতি ট্রেনে শেষ স্টেশন ধরে আমাকেই।
ধ্যানমগ্ন ঋষির মতো অতীতটাকে মাটিচাপা দিচ্ছি....তুষের ছাই দিয়ে।
ধর্মের ফাঁদে নতুন ছাঁচে জীবনকে সাজানোর চেষ্টা..... বৃথাই বাল্মিকী মুনিনামা !
সেও তো এক রকমের প্রতারণা
নিজের সাথে নিজের ছলনা,
তবুও যদি পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
তোকে মনে না করার বাহানায় আটপৌরে আমি
ক্ষণে ক্ষণে তোকেই খুঁজি!
' তুমি থেকে তুই
তুই থেকে তুমি '...!
স্পর্শে তোকে মনে রাখা যতটা সহজ
স্পর্শহীন তোকে ভুলে থাকা ততটাই কঠিন ।
তোমাকে খুব মনে পড়ে ...!!
প্রতিটি নতুন ভোরে.... নিশুতি রাতের গভীরে
খুব মনে পড়ে ।।
ফাইল ছবি
হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আল আলাল নামে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পদ হারালেন। আজ শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু।
জানা যায়, বহিষ্কৃত আলাল উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে বহিষ্কার করে।
উল্লেখ্য, আলাল তার নিজের ফেসবুক আইডিতে মামুনুল হকের পক্ষে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি নজরে আসে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট। মামুনুলের পক্ষে ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার অপরাধে পদ হারাতে হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আল আলালকে।
ফাইল ছবি
ডাবের দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার তদারক করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ডাব কেনাবেচায় রাখতে হবে পাকা রসিদ। কোনোভাবে ন্যায্য মূল্যের বেশি দাম নিলে ব্যবসায়ীদের জরিমানাসহ কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ভোক্তা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে যৌক্তিক মূল্যে ডাব কেনাবেচা সংক্রান্ত সচেতনতামূলক সভায় ডাবের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণের সুযোগ নিয়ে হঠাৎ করেই ডাবের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। অসহায় রোগীদের জিম্মি করে ডাব ব্যবসায়ীদের অনৈতিক এ অতিমুনাফা কোনো যুক্তিতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মহাপরিচালক বলেন, গত ২৪ আগস্ট গভীর রাতে কারওয়ান বাজার আড়তে অভিযান চালিয়ে পাইকারি পর্যায়ে ডাবের সর্বোচ্চ মূল্য প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেছে।
অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো মানের ডাব খুচরায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকার বেশি হতে পারে না, যা বাজারে দ্বিগুণ পর্যন্ত দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘ডাব কেনাবেচায় কোনো রকম পাকা ভাউচার কিংবা ক্রয়-বিক্রয় রসিদ রাখা হয় না। এ সুযোগে ডাবের আড়ত, পাইকারি ও খুচরা প্রতিটি স্তরে মূল্যবৃদ্ধির এক মহোৎসব চলছে। আমরা এরই মধ্যে সারা দেশে ডাব নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এর প্রভাব বাজারে পড়েছে। ডাবের মূল্য কমতে শুরু করেছে।’
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমি সবাইকে বলছি, যতক্ষণে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০০ টাকার মধ্যে না আসবে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মনিটরিং জোরদার রাখব। মঙ্গলবার থেকে ডাব ব্যবসায়ীদের অবশ্যই পাকা রসিদ সংগ্রহে রাখতে হবে। তা না হলে অভিযানের মাধ্যমে জরিমানাসহ কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বৈঠকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডেঙ্গুর সুযোগ নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা ডাবে অতিরিক্ত লাভ করছেন। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডাবের দাম বাড়াচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে খুচরা কিংবা পাইকারি উভয় পর্যায়ে কোথাও অতিরিক্ত লাভে ডাব বিক্রির অভিযোগ পেলে, তাকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। সূত্র: বাসস