a
ফাইল ছবি: মুক্তা দাশ
তোমাকে খুব মনে পড়ে..!!
কুয়াশা আলগোছে সরিয়ে শিশির ঝরে , মৃতপ্রায়
লাউ গাছটায় গজানো লকলকে নতুন ডগায় ।
খাচায় বন্দী শালিকটা ডেকেই যাচ্ছে একমনে... !
ভাপা পিঠার গরম ভাপ নাক মুখ ছাপিয়ে সবার হাতে হাতে পেটে চালান হচ্ছে ম্যারাথন দৌড়ে।
ঘোমটা মাথায় উনুনে পাটকাঠি জ্বলছে দাউ দাউ...! সংসারে চাকা ঘুরছে সময়ের নিয়ম মেনে।
এলোমেলো ভাবনাগুলো এখন গুছিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছি...
পারছি কি?
হয়তো হ্যাঁ ! হয়তো না !!
বুমেরাং হয়ে স্মৃতিগুলো সব ফিরতি ট্রেনে শেষ স্টেশন ধরে আমাকেই।
ধ্যানমগ্ন ঋষির মতো অতীতটাকে মাটিচাপা দিচ্ছি....তুষের ছাই দিয়ে।
ধর্মের ফাঁদে নতুন ছাঁচে জীবনকে সাজানোর চেষ্টা..... বৃথাই বাল্মিকী মুনিনামা !
সেও তো এক রকমের প্রতারণা
নিজের সাথে নিজের ছলনা,
তবুও যদি পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
তোকে মনে না করার বাহানায় আটপৌরে আমি
ক্ষণে ক্ষণে তোকেই খুঁজি!
' তুমি থেকে তুই
তুই থেকে তুমি '...!
স্পর্শে তোকে মনে রাখা যতটা সহজ
স্পর্শহীন তোকে ভুলে থাকা ততটাই কঠিন ।
তোমাকে খুব মনে পড়ে ...!!
প্রতিটি নতুন ভোরে.... নিশুতি রাতের গভীরে
খুব মনে পড়ে ।।
ফাইল ফটো: জেবুন নাহার
কাঁপছে আকাশ, ডাকছে ঝিঁ ঝিঁ
আসছে ঘনিয়ে অন্ধকার
চল না আজ পেয়ে যাই আশকারা
সান্ধ্য বাতাসে হয়ে যাই একাকার
সময় যে আজ শুধুই দুজন দুজনার
ভিজে যাই চল মাথায় নিয়ে বৃষ্টি ভালোবাসার।
ধর ঝরে গেল সব ভালোবাসা
পেয়ে কোন নিরেট আকার
তোর যাওয়ার পথে নেই কোন বাঁধা
ভেঙ্গে সব অহংকার
শীতল আবহে
চারিদিক হাহাকার
তারপরেও দিনটি হয়ে উঠুক আজ শুধুই ভালোবাসার।
বিসর্জনেও সুখ
জোড়া লাগে সব অভিমান আবদার
ভালোবাসার আবরন
মুছে গিয়েও ধরে রাখে
হৃদ মাঝারের খেলোয়াড়
ভালোবাসার জোয়ারে ভাসুক সব চরাচর।
রজনীর পর রজনী জেগে অপেক্ষা
একটিবার হলেও তো ছুঁয়েছিলি প্রাণ
সাড়া দিয়েছিলি হৃদয়ের ডাকে
শুনেছিল সেই প্রতিধ্বনি
আকাশ বাতাস
সতেজ হয়েছিল চারপাশ
শুকিয়ে যাওয়া নদীতে
ফিরেছিল স্রোতের অবগাহন
নিশি রাতের শিশিরে ভিজাস না তোর পা
সাহারার তপ্ত বালুতেও যেতে হবে না তোকে
নিশুতি শহরের অলিতে গলিতেই
নিয়ন লাইটপোস্টের মশামাছির ঝাঁকে
কোলাহলে মেতে উঠুক তোর আমার ভালোবাসার ক্যানভাস
লেখনিতে লেখনিতে ভরে যাক সব জীর্ণ শহরের দেয়াল।
......... ফেসবুক পাতা থেকে সংগৃহীত
ফাইল ছবি
মহামারী করোনাভাইরাসের জন্য দীর্ঘ বিরতি দিয়ে নিজ দেশ ভারত থেকে সরিয়ে আইপিএল এর বাকি অংশ মাঠে গড়াচ্ছে দুবাইতে। কিন্তু সেখানে করোনার হানা। আরব আমিরাতের পর্ব শুরুর চতুর্থ দিনেই ধরা পড়েছে করোনাভাইরাস। কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পেসার থাঙ্গারাসু নাটরাজন।
আরটি-পিসিআর টেস্টে নাটরাজনের পজিটিভ ফল আসার কথা গতকাল বুধবার বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। আপাতত নাটরাজনকে সেলফ কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তবে, আক্রান্ত হলেও তাঁর কোনো উপসর্গ নেই। নটরাজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও রাখা হয়েছে আইসোলেশনে। এঁদের মধ্যে ক্রিকেটার আছেন একজন। তিনি হলেন বিজয় শঙ্কর। বাকিরা হলেন—দলের ম্যানেজার বিজয় কুমার, ফিজিওথ্যারাপিস্ট শ্যাম সুন্দর জে, চিকিৎসক অঞ্জনা ভান্না, লজিস্টিক ম্যানেজার তুষার খেদকার এবং নেট বোলার পেরিয়াস্বামি গানেসান।
তবে, সবার টেস্টই নেগেটিভ এসেছে। তবে, দলের বিপদের দিন মাঠে নেমেও হতাশ হয়েছে হায়দরাবাদ। দুবাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আট উইকেটে দিল্লির কাছে হেরেছে তারা। টুর্নামেন্টে খুব একটা স্বস্তিতে নেই তারা। আট ম্যাচ খেলে জিতেছে কেবল একটিতে। দুই পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান টেবিলের তলানিতে। গত মে মাসে করোনার প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় মাঝপথে স্থগিত হয়ে যায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর। ভেন্যু বদলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত রোববার শুরু হয় আইপিএলের বাকি অংশ। ভারতে প্রথম অংশে ২৯টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চার মাস পর স্থগিত হওয়া আইপিএলের বাকি ৩১টি ম্যাচ হচ্ছে এবার মরুর দেশে।