a মনের ভিতরে মন
ঢাকা শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মনের ভিতরে মন


ফেসবুক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৯ জানুয়ারী, ২০২২, ০৬:০৭
মনের ভিতরে মন

ফাইল ছবি: মুক্তা দাশ

তোমাকে খুব মনে পড়ে..!!
কুয়াশা আলগোছে সরিয়ে শিশির ঝরে , মৃতপ্রায়  
লাউ গাছটায় গজানো লকলকে নতুন ডগায় ।
খাচায় বন্দী শালিকটা ডেকেই যাচ্ছে একমনে... !
ভাপা পিঠার গরম ভাপ নাক মুখ ছাপিয়ে সবার হাতে হাতে পেটে চালান হচ্ছে  ম্যারাথন দৌড়ে।  
ঘোমটা মাথায় উনুনে পাটকাঠি জ্বলছে দাউ দাউ...! সংসারে চাকা ঘুরছে সময়ের নিয়ম মেনে।
এলোমেলো ভাবনাগুলো এখন গুছিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছি...
পারছি কি?
হয়তো হ্যাঁ !   হয়তো না !!
বুমেরাং হয়ে স্মৃতিগুলো সব ফিরতি ট্রেনে শেষ স্টেশন ধরে আমাকেই।
ধ্যানমগ্ন ঋষির মতো অতীতটাকে মাটিচাপা দিচ্ছি....তুষের ছাই দিয়ে।
ধর্মের  ফাঁদে নতুন ছাঁচে  জীবনকে সাজানোর চেষ্টা..... বৃথাই বাল্মিকী মুনিনামা !
সেও তো এক রকমের প্রতারণা
নিজের সাথে নিজের ছলনা,
তবুও যদি পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
তোকে মনে না করার বাহানায় আটপৌরে আমি
ক্ষণে ক্ষণে তোকেই খুঁজি!  
              ' তুমি থেকে তুই
              তুই থেকে তুমি '...!
 স্পর্শে তোকে মনে রাখা যতটা সহজ
স্পর্শহীন তোকে ভুলে থাকা ততটাই কঠিন ।
তোমাকে খুব  মনে পড়ে ...!!
প্রতিটি নতুন ভোরে.... নিশুতি রাতের গভীরে
খুব মনে পড়ে ।।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

মামুনুল হক হেফাজতের একজন, তবে মামুনুল হক মানেই হেফাজত নয়


নিউজ ডেস্ক:
শুক্রবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:০০
মামুনুল হক হেফাজতের একজন, তবে মামুনুল হক মানেই হেফাজত নয়

মারুফ কামাল খান সোহেল

নেতৃত্ব নিয়ে কথা উঠেছে। বিশেষ করে মাওলানা মামুনুল হক এপিসোডের পর। আরও বিশেষ করে বলা যায়, কথা উঠেছে ইসলামি সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব নিয়ে। ইসলামি সংগঠনগুলোতে নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের আস্থা, বিশ্বাস ও আনুগত্য অকুণ্ঠ ও অগাধ। নতুন করে ফের তার প্রমাণ মিলেছে।

আমি হেফাজতের কেউ না হলেও হেফাজতের লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক এবং তাদের সততা ও নিষ্ঠাকে সম্মান করি। তাদের অনুভূতিকে আহত করতে চাইনা। আমি মনে করি মামুনুল হক হেফাজতের একজন, তবে মামুনুল হক মানেই হেফাজত নয়। কিন্তু হেফাজতের কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা তাদের 'মামুনুল হুজুর' আর হেফাজতকে একাকার করেই দেখছেন। তার ইজ্জতকে হেফাজতের ইজ্জত হিসেবে দেখেই তারা লড়ে যাচ্ছেন অনলাইন ও অফলাইন, সবখানে। আমি সেই সঙ্গে হেফাজতের কর্মীদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করেছি গভীর কৌতুহল ও অভিনিবেশ সহকারে। আমার মনে হয়েছে, নেতার প্রতি হেফাজত কর্মীদের যে অচলা ভক্তি ও প্রশ্নাতীত আনুগত্য তা অনেকটাই রেজিমেন্টেড সংগঠনের মতন।

মামুনুল হকের রিসোর্ট সংশ্লিষ্ট অঘটন, এরপর ক্রমাগত উদঘাটিত হতে থাকা তথ্য এবং সরকার ও প্রশাসনের পদক্ষেপ আমি পর্যবেক্ষণ করছিলাম। একজন নাগরিক হিসেবে মামুনুল হকের প্রাইভেসি লঙ্ঘন করে তাকে হেনস্তার প্রতিবাদ আমিও লিখে জানিয়েছি।

একথা সত্য যে, বর্তমানে বাংলাদেশে সরকার, প্রশাসন, আইন-শৃঙখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা ও অবিশ্বাস সীমাহীন। হেফাজতের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আবহের মধ্যেই ঘটে মামুনুল হকের রিসোর্ট কাণ্ড। এ ঘটনা চাউর হলে হেফাজত কর্মীরা দ্রুত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা পুরো বিষয়টিকেই মামুনুল হককে হেয় করে হেফাজতের আন্দোলন দমাতে সরকারের একটি সাজানো-পাতানো চক্রান্ত বলেই ধরে নেন। কিন্তু পরে যখন আরো অনেক কিছু উদঘাটিত হলো এবং মামুনুল হকের নিজের স্বীকারোক্তিতেই তার নৈতিক মান অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়লো, তখনও তার প্রতি হেফাজত কর্মীদের অন্ধ সমর্থন থেকেই আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠলো যে, এই আনুগত্য পুরোপুরি ইসলামসম্মত কিনা? সেক্যুলার, বুর্জোয়া ও গণতান্ত্রিক ধারার নেতৃত্বে নৈতিক  প্রসঙ্গটিকে ততোটা গুরুত্ব দেয়া না হলেও ইসলামে নেতৃত্বের নৈতিকতার দিকটিকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান সীমিত। সেই সীমিত জ্ঞান থেকেই আমি জানি ইসলামে নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য নিঃশর্ত নয়। বিদায় হজের অভিভাষণে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেন, যদি একজন হাবসি ক্রীতদাসও তোমাদের নেতা হন, তবে তাকেও তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মেনে চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে সব কিছু আল্লাহ্'র হুকুম ও রাসুলের সুন্নাহ্ অনুযায়ী পরিচালনা করবে।

ইসলামের প্রথম খলিফা আমিরুল মুমেনীন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) তাঁর অভিষেক উপলক্ষে দেয়া ভাষণে বলেছিলেন- "হে লোকসকল, আমাকে তোমাদের উপর নেতা করে দেওয়া হলেও আমি কিন্তু তোমাদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি নই। সুতরাং যদি আমি সঠিক কাজ করি তবে তোমরা আমাকে সাহায্য করবে, আর যদি ভুল করি তবে আমাকে শুধরে দিবে। সততা একটি পবিত্র আমানত এবং মিথ্যা হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা। .... যদি কোনো জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তাহলে আল্লাহ্ অবশ্যই তাদেরকে পরীক্ষায় ফেলবেন। তোমরা আমাকে ততক্ষণ মেনে চলবে যতক্ষণ আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে মেনে চলি। যদি আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে মেনে না চলি, তাহলে আমার প্রতি তোমাদের আনুগত্যের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না।"

এই দিক-নির্দেশনা থেকে বুঝা যাচ্ছে- ১. নেতার আনুগত্য করতে হবে, তবে দেখতে হবে তিনি আল্লাহ্'র হুকুম ও রাসুলের সুন্নাহ্ অনুযায়ী নিজে চলছেন কিনা এবং সব কিছু পরিচালনা করছেন কিনা। ২. নেতার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের অহঙ্কার থাকবেনা, তাঁকে বিনয়ী হতে হবে। ৩. নেতাকে সঠিক কাজে সাহায্য করতে হবে। ৪. নেতা ভুল করলে সমালোচনার মাধ্যমে সেই ভুল অনুসারীদেরকেই শোধরাতে হবে। ৫. নেতাকে সততা বজায় রাখতে হবে এবং কখনো মিথ্যার আশ্রয় নেয়া চলবে না। ৬. অশ্লীলতা আল্লাহ্'র পরীক্ষা বা বিপর্যয় নিয়ে আসে। তাই, নেতাকে অশ্লীলতা পরিহার করতে হবে। এবং ৭. নেতা যদি আল্লাহ্ ও রাসুলের (সা.) পথ থেকে বিচ্যুত হন৷ তখন আর তার প্রতি অনুগত থাকার প্রয়োজন নেই। 

প্রতিটি নেতা এবং তার অনুসারীদের এইসব বিষয় ও শর্ত খুবই গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন ও মেনে চলা দরকার। হযরত আবু জর গিফারীর মতন প্রাজ্ঞ, জ্ঞানী ও ত্যাগী সাহাবীরা কিন্তু রাসুল(সা.)-এর কাছ থেকে 'জিন্নুরাইন' বা দু'চোখের মণি খেতাবপ্রাপ্ত আমিরুল মুমেনীন হযরত ওসমান(রা.)-এর পরিচালনা পদ্ধতি ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

লেখক:মারুফ কামাল খান সোহেল
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)/সূত্র:বিডিপ্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সূর্যের রঙ আসলে কোনটি? সাদা, লাল, নাকি হলুদ?


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৩
সূর্যের রঙ আসলে কোনটি? সাদা, লাল, নাকি হলুদ?

ফাইল ছবি

খুব সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি, তখন আমরা সবাই দেখে থাকি যে সূর্যের রঙ হলুদ বর্ণের। ধীরে ধীরে যখন বেলা বাড়তে থাকলে সূর্যের রঙ পরিবর্তন হয়ে কমলা রং ধারণ করে। আর দিনের শেষসময়ে সূর্য হয়ে উঠে একদম টাটকা লাল।

সূর্যের এ রঙ বদলানো নিয়ে আমরা কি চিন্তা করেছি কখনো? কেন এমনটা হয়? সূর্য আসলে কোন রঙের- লাল, হলুদ নাকি কমলা, নাকি অন্য কোনো রঙের! আমরা জানি সূর্য একটা নক্ষত্র, আর সব নক্ষত্রেরই কোনো না কোনো রঙ আছে। রঙগুলো হলো রেড জায়ান্ট, রেড ডোয়ার্ফ, ব্লু জায়ান্ট, সুপার জায়ান্ট ইত্যাদি।

নক্ষত্রের রঙ কেমন হবে তা সাধারণত তার তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে থাকে। একটি নক্ষত্রের ভেতর থেকে ফোটন বের হয়ে তা মহাশূন্যে হারিয়ে যায়, ফলে ফোটন থেকে বের হওয়া শক্তির পরিমান আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। এসব কারণে দেখা যায় একটি নক্ষত্র ইনফ্রারেড, আল্ট্রাভায়োলেট, লাল অথবা নীল রঙের আলোকরশ্মির বিকিরণ ঘটাচ্ছে একই সময়ে। এমনকি সেখানে বিদ্যমান থাকতে পারে এক্স ও গামা রশ্মিও।

নক্ষত্রের রঙের বিভিন্ন পরিবর্তন এর জন্য বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে,একটি নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি হয় সাড়ে পঁয়ত্রিশ হাজার কেলভিনের কম হয় তবে তার রঙ হবে লাল। আবার কোনো নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি দশ হাজার কেলভিনের উপরে হয় তবে তা  নীল রঙের হবে। সূর্যের তাপমাত্রার পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার কেলভিনের মতো। এ তাপমাত্রার নক্ষত্রগুলো সাধারণত হয়ে থাকে সাদা রঙের। সেক্ষেত্রে সূর্যের আসল রঙ হলো সাদা।

কি অবাক হচ্ছেন?  হ্যাঁ, সূর্যের রং আসলেই সাদা রঙের। আসলে মহাশূন্যে গিয়ে যদি আমরা সূর্যকে স্বচক্ষে দেখে আসতে সক্ষম হতাম, তবে ১০০ ভাগ নিশ্চিত হোমার  যে সূর্যের রঙ আসলে একেবারে সাদা। সূর্য ও সূর্যলোকের রঙ সাদা। তাহলে প্রশ্ন হলো সূর্যকে বিভিন্ন সময় লাল, হলুদ বা কমলারঙে দেখি কেনো? এর পিছনে বিশেষ কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে সূর্যরশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটে। ছোট ছোট তরঙ্গদৈর্ঘের নীল ও বেগুনি আলোকরশ্মি অপসারিত হয়ে যায়। সূর্য থেকে আসা আলোক বর্ণালির এ দুটো রঙ সরে গেলে  তা অনেকটা হলুদের মতো হয়ে যায়। সূর্যকে আমরা তখন হলুদ দেখি। অন্যান্য রঙের বেলায়ও এ ঘটনা ঘটে। 

এভাবে সূর্যের আলো যখন বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে পৃথিবীতে আসে তখন তার রঙ বদলে হলুদ, কমলা বা ম্যাজেন্টা রঙ ধারণ করে। তবে আরেকটি প্রশ্ন হলো সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যের রঙ লাল হয়ে যায় কেন? সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় ভাসমান ধূলিকণা ও বাতাসের অন্যান্য উপাদান সূর্যরশ্মির নীল প্রান্তের কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে বেশি বিক্ষিপ্ত করে ও লাল প্রান্তের বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে কম বিক্ষিপ্ত করে। ফলে সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করে থাকে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook